১. 'পাশের বাড়ির মাইয়া'
ছাদে উইঠা টাংকি মারে
পাশের বাড়ির মাইয়া
বারান্দাতে বইসা আমি
থাকি কেবল চাইয়া।
তুমি আমার প্রথম সকাল.....
গানটা উঠে গাইয়া
খোসা ফিকে আমার দিকে
চিনা বাদাম খাইয়া।
হঠাত আমার ভাইয়া
পিছন থিক্যা আইয়া
ধমক মারে - পড়তে বসো
নিজের ঘরে যাইয়া!
খেদায় দিয়া আমারে হায়
ভাইয়া থাকে চাইয়া
খিল খিলায়া হাইসা উঠে
পাশের বাড়ির মাইয়া।
২. 'ধরা খাওয়া'
দেখা-টেখা হয় প্রায়ই ,কথা হয়না...
(তাঁর লেখা প্রথম পড়েছি মনে হয় বাবুরাম সাপুড়ে। এছাড়া আবোল তাবোলের একটা শক্ত বাঁধাই কপি পেয়েছিলাম জন্মদিনে। এখনো যত্নে রেখে দিয়েছি। অবশেষে হাতে আসে সেই লাল মলাটে সবুজ বেড়ালের ছবিআলা বই সমগ্র শিশুসাহিত্য। এখনো বারবার পড়ি, মন খারাপের দিনে আবার একটু হলেও জাগিয়ে দিয়ে যায়। পড়তে পড়তে হাসি, আর হাসতে হাসতে ভালোবাসতে শিখি আরেকটু বেশি করে। শিশু এবং শিশুমনের বড় মানুষদের তিনি যা দিয়ে গেছেন...
প্যাঁচাল: ভ্রাতা নাজমুল আলবাব একটা ছড়ার কথা বলছিলো, কিন্তু খুঁইজা- টুইজা বাইর করতে বেশ দেরী হইয়া গেলো। সেই কোন জমানার কথা! যারা পড়বেন - মাত্রা-টাত্রা নিয়া মাথা ঘামাইয়েন না। ছড়ারে সর্বদা ছকে বানতে ইচ্ছা করে না আমার।
--------------------------------
অনেকেই পেতে চায়
সুন্দরী শর্মীকে
শর্মী ভালোবাসে
সাদা-মাটা বেকার এক
নাটকের কর্মীকে।
শর্মীর বাবা তা
কখনোই চান না
মাঝে মাঝে শর্মীর
পায় তাই কান্না।...
বেশি-ই-ই-ই...
বাড়িস না রে পাইক্যা!
ভদ্র হইয়া বইস্যা ছিলাম
মুক্ষে ছিপি কইষ্যা ছিলাম
এবার যামু বাঁইক্যা!
রাইত নামতেই চোরের মতো
ঢুইক্যা আমার দেশে
মাইরা মানুষ এখন ঘুরস
ভদ্রলোকের বেশে?
সেই ইতিহাস সবাই জানে
যতই রাখস ঢাইক্যা!
বেশি-ই-ই-ই...
বাড়িস না রে পাইক্যা!
নিরস্ত্র সব মাইরা মানুষ
সাজছিলি খুব বীর?
মুক্তিসেনার একটি ঠাপেই
তোর পাছা চৌচির!
সেই পাছাটা ঢাকার কাপড়
এই দুনিয়ায় নাইক্যা!
বে...
ফুটে দেখ ফুল কত
ফুটে কত ডিম যে
ফুটে তবু বোমা গোলা
ধুম ধাম ধ্রিম যে!
ফুটে চোখ দেখো ওই
ছোট কাক ছানাটার
লুটে নিয়ে মানিব্যাগ
ফুটে কে রে কানাটার?
ফুটে যায়..
হুল হায়..
কবি-পোঁদে..
কি ব্যথা!..
চেপে বসে দেয় তা
ফুটে শেষে কবিতা।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় বাশিরা খাতুনকে দোররা মারা হয়েছে !
খবরটা পড়ে মনে হলো - বেশ আগে লেখা এই ছড়াটা আজকে পোস্ট যায়।
ফতোয়া
'মুসলমানের দেশে -
এই রকমের বেলাহাজি
হইলো শুরু শেষে!
পোলাডারে দোররা মারো
মাইয়াডারে পাথর !'
ফতোয়া দান করে হুজুর
মাখেন খুশবু আতর।
মেশকেআম্বর গায়ে মেখে
কব্জি করেন মালিশ
ভাবে খালি আসামীদ্বয়-
যাদের জন্য শালিস।
ভালোবাসায় দোষটা কী যে
ওরা দুজন বোঝে নি যে -
গাঢ় প্রেম...
আমার বাড়ির
ছাদ ডিঙিয়ে-
মালাইকারী চায়ের দোকান।
নড়বড়ে বেঞ্চ
ধুলোর পরত-
ইঞ্চিখানেক জমছে নিদান।
কাচের গেলাস
ছলকে ওঠে;
চায়ের সুবাস আড্ডামাঝে।
টঙঘরের ওই
দোকান জুড়ে,
জমছে সবাই একে একে।
ফিরবো-না ঘর,
ভাবছি বসে;
‘আড্ডা’মদে মাতাল হয়ে।
ভাবুক তারা-
ভাবছে যারা;
‘মেয়েছেলে’টা গেছে ‘বখে’।
একটা পুকুর
এই শহরে;
বের করেছি অনেক খুঁজে।
জল ভরপুর
সিঁড়ির উপর;
জলকেলিতে সময় কাটে।
ছোট ছোট
ঝাঁক বাঁ...
মাঝে মাঝে ছড়া লেখার বদভ্যাস আছে। তবে সচলায়তনে ছড়া দেবার দুঃসাহস করতে অনেক সময় লাগলো।
ভার্চুয়াল প্রেমোলজি
চ্যাট দিয়ে শুরু, পরে একটু ঘনিষ্ঠ,
দুজনেই হল প্রেম-অনুভূতিপিষ্ট
পরে হল গলা শোনা, শুরু হল নিত্য
কথা বলা, প্রতীক্ষা, প্রেমায়িত চিত্ত!
হয় নি তো দেখা তবু কথা হলে বন্ধ
মনে হয় কোথা যেন কেটে গেছে ছন্দ।
পাবে নাকি পরিণতি এই সম্পর্ক?
এটা নিয়ে হতে পারে দুমদাম তর্ক।
এখন বলুন শুধু, নিন...
প্যাঁচাল: চাইছিলাম অন্য একটা লেখা পোস্ট করবো কিন্তু আইলসামির জন্য আর হইলো না। কয়েকদিনের জন্য Newquay (Cornwall ) যাইতেছি। আপনাদের অনেকেই শোহেইল মতাহির চৌধুরীর থেইক্যা কর্ণওয়ালের গল্প শুনছেন। আমিও ফিরা আইসা একটু লেখবো আশা করছি। শোহেইল ভাইর কিছু উপদেশবানী সঙ্গে নিছি। আর আমার - অদ্য লেখা পদ্যটা আপনাদের জন্য । কেমন লাগলো জানাইয়েন।
অপ্প সপ্প গপ্প
দুই মন্ত্রী খোশগল্প করে-
খেয়ো ভায়া র...
রূপকথা কখনোই পুরনো হয় না। কাহিনী যতই জানা থাক, রূপকথার নাম শুনলেই ছেলেবেলার সেই নিষ্পাপ দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়, যখন বয়স ছিলো মায়ের কোলে শুয়ে থাকার, যখন রাতের বেলা আব্দার করা যেতো গল্প না শুনে ঘুমাবো না বলে, যখন রাক্ষসকূলের সমাপ্তি ঘটাতে ঘুটেকুঁড়ানী মায়ের ঘরের রাখাল ছেলে ছুটে আসছে এই আনন্দে অধীর হওয়া যেতো। তাই রূপকথা ফিরেফিরে আসে বারবার।
আমার ছোটভাইকে ছোটবেলায় দৈববশে আমি গল্...