যদি আজকেই প্রকাশিত হয় তাহলে চৈত্র সংক্রান্তির শুভেচ্ছা
আর নইলে একটি কামারুজ্জামানমুক্ত নতুন বছরের শুভেচ্ছা
আমরা হলাম রাঘব বোয়াল,ওরা হল পুঁটি
ভালবেসে চড়-থাপ্পড় মারছি একটি দু'টি
পাহাড়ি লোকেরা খুব আনাড়ি
দেশটা নাকি তাদেরও বাড়ি?
এমনি সকল আজগুবি ভাব ঘুরছে তাদের মাথায়
বাঙ্গালিরা যে মা-বাপ তাদের, এইটা কে যে বুঝায়?
ইচ্ছে হলেই টানব কোলে
দোল খাওয়াব 'ভাইয়া' বলে
ইচ্ছে হলেই আমরা আবার জ্বালাব বাড়ি ঘর
সমান-সমান ভাগ চাইবি? হুঁশ হলো না তোর?
পাকিরা গেছে একাত্তরে, যায় নি তাদের ভূত
নোটন নোটন কোবিগুলো
ঝোটন বেধেছে
সবাই মিলে কাগজ কালি'র
গুষ্ঠি মেরেছে।
দেশে কাকের চেয়ে কোবি বেশি। কোবি শব্দটার ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন। যারা কবি নয়, কিন্তু কবিতাকে আশ্রয় করে কী যেন একটা করতে চায়, তারাই কোবি। যেমন, দৈনিক কোবি। কোবতে লিখতে গিয়ে চ-বর্গীয় শব্দ ব্যবহার নিয়ে দুইদিনের বৈরাগী কোবিদের কথাবার্তা-কারবারে বিরক্ত হয়ে একটা কোবতে লিখলাম। সিস্টেমকে ধ্বংস করতে গেলে নাকি সিস্টেমের অংশ হতে হয়। যদিও কোবতের ভেতরে বর্ণিত কোবিদের একজন হতে পাল্লাম্না এখনও। বড় হয়ে হবো আশঙ্কা করি।
একটা কোবি ছায়ায় বসে, একটা কোবি রোদে
১
এক বেরাদরে কাটে মুণ্ডু
পায় যদি সাহা-দাস-কুণ্ডু
আর বেরাদরে মোছে রক্ত
জোটে যদি মডারেট-তখত
মডারেট কাজ করে মলমের
খুনের পরের কাজ কলমের
আইসিস মুণ্ডুটা কাটবে
মডারেট তার হয়ে খাটবে
লাশ শুধু শুধু লাশ পড়ছে
মডারেট তার হয়ে লড়ছে
বলে ধর্মের এই শ্যাষ না
এইটাতো প্রকৃত [ড্যাশ] না
২
হত্যাকারীর নয় নিহতের
দায় বুঝি গুণে রাখা সে-ক্ষতের
হত্যার পরে হেসে বলে খান,
“দেখাও তো সেই পরিসংখ্যান”
কাঁপছে জাতি, ভীষণ জ্বরে
গোলাম আজম মরার পরে
গুষ্টি বেঁধে নামাজ ঘরে
মাগছে পানাহ, খোদাতা’লায়
মুনশি যখন জুতো মারে
সুশীল চেপে ধরে তারে
ফেনিয়ে ওঠা কথার ভারে
মানবতার গল্প শোনায়
ইতিহাসকে হারিয়ে খোঁজা
অস্বীকার আজ বড়ই সোজা
রাজাকারের শবের বোঝা
বাংলা মায়ের দূষণ বাড়ায়
মুক্তিসেনা, কষ্ট বুকে
রক্তে ভেজা হতাশ চোখে
ব্যাঘ্র জাতির তামশা দেখে
তীব্র ঘৃণায়, তীব্র ঘৃণায়।
ফেসবুকে কিছু পড়শী
সদাই অনলবর্ষী
স্ট্যাটাসে আগুন জ্বলে শতগুণ "আমি বিপ্লব করসি!"
যখনই জামাত ধকলে,
তারা থেমে যান সকলে,
স্ট্যাটাসের খাতা ফুল-পাখি-পাতা-লতা নিয়ে যায় দখলে।
কভু ফুকো কভু গ্রামশি
তুলো ধুনে হলো আমসি
নামজাদা যতো বামজাদা কন, "শুরু হলে নাহি থামসি!"
মারা যায় যদি গোআ রে
বিপ্লবীদের খোঁয়াড়ে
দ্রোহের অনল নিভে গিয়ে ছোটে আগরবাতির ধোঁয়া রে।
ছাইভস্মতে ফুঁ দি না,
ইটা মারলে পাটকেল খাইতে হয়, এটাই জগতের নিয়ম। চার বছর আগে আরিফ জেবতিকের ছোড়া ইটের আধলার জবাবে এক্ষনে পাটকেলের এই মৃদু বর্ষণ। জার্মান ভাইয়েরা ছিল্লা কাইট্যা দিয়া গ্যাছে, অহন সেই কাটা ঘাওয়ে এট্টু লবন লাগায়া দেই! মু হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ ..........................
কইরে শালা কইরে শালী
আমায় ফেলে কই পালালি!
আয় দেখে যা কি করেছি
'সুপারম্যানে'র যায় না পাওয়া দেখা,
হয় না দেখা 'ফ্ল্যাশে'র কয়েক ঝলক,
'ব্যাটম্যান'ও কোন অন্ধকারে থাকে,
'ভ্যাম্পায়ার'ও কেবল নামের ফলক,
'আয়রনম্যান' নগর গড়ে বুঝি
'স্পাইডারম্যান' কেবল পেষে কলম,
'ম্যানড্রেকে'রা অবিশ্বাসের কোপে
পাড়ার মোড়ে হয়ত বেচে মলম,