ছড়াগুলো লিখি নেহাত মজা করতে। কাউকে কষ্ট দেয়ার লক্ষ্যে নয় একেবারেই। আর তাই সেসব লঘুচিত্তে গ্রহণ করার অনুরোধ রইলো।
দ্বিতীয় ছড়াটি রচিত একটি রুশ কৌতুক থেকে আইডিয়া মেরে দিয়ে
এই সিরিজ "শ্লীলবায়ুগ্রস্তদের পাঠ নিষেধ" (কপিরাইট: হিমু)।
সেদিন আসিবে কবে
আছেন কিছু নারীবাদী
...
রাঁধবো মোরা রাঁধবো আজি রাঁধবো ছড়ার ছন্দেতে
তিনটি ভুবন ভরিয়ে দেবো সুখাদ্যেরই গন্ধেতে ॥
১) শাহী পনির
বাদশা ওমর কাজী খান যেই খাদ্য
শাহেনশাহি পনির বানাইবো অদ্য।
কটাহে ঢালিয়া ঘৃত শুরু হয় গল্প
জিরা ও মরিচ দিও তাতে কিছু অল্প,
পঁেয়াজ রসুন কুচি যোগ করো তাহাতে
লবণ হলুদ গুঁড়া ঢালি দাও বাঁ হাতে।
এইবারে দিও তাতে পনিরের খন্ড
সাবধানে ভাজো তাহে, বানায়ো না মন্ড।
সবুজ মটরশুঁটি উহাতে ...
কবে হবে সত্যিই
“দিন বদলের পালা”?
সন্ত্রাসীদের তান্ডবে যখন
বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা।
হরদম চলছে
নাম বদলের খেলা।
প্রশাসনে সর্বদা
ট্রান্সফারের মেলা।
ব্যবসা পায় মন্ত্রীর
ভাই আর শালা।
আর যাদের আছে
টাকা ভরা ডালা।
নেতাদের পেছনে সব
টাউট বাটপার চেলা।
দুর্নীতিতে সবাইকে হবে
আবার পেছনে ফেলা?
অহেতুক যোগ হল
বাড়ি বদলের জ্বালা।
প্রতিহিংসার বশে এবার
উচ্ছেদের পালা।
পলাতকরা ফিরছে সব
...
এই পহেলা বৈশাখে
আমার পাশে বইসা কে?
নকশা আঁকা রিকশাতে
চলছি দুজন একসাতে...
গেলাম নেমে ফারামগেটে...
এইখানে কী আরাম হেঁটে!
ঝুলিয়ে কাঁধে চটের থলে
হাঁটতে হাঁটতে বটের তলে...
পান্তাভাতে ইলিশ মাছ,
টাটকা রোদে সতেজ গাছ,
নবীন গলায় রবির তান
শুনিয়ে গেলাম ছবির গান!
ফেসবুক বা খোমাবই নিয়ে অনেকের লেখা পড়ে আমারও একটা লেখা তুলে দেবার প্রয়োজন মনে করলাম - ছড়ার আকারে। অনেকদিন আগে ফেসবুকে প্রথম একাউন্ট খোলার সাথে সাথে পুরনো অনেক বন্ধুকে পেয়ে আমি চরম আহ্লাদিত হয়েছিলাম। সেই আহ্লাদে তখন যে ছড়াটা লিখেছিলাম সেটাই এখন আপ্লোডালাম।
-------------------------------------------
বহু পুরাতন হে বন্ধুগণ পেয়েছি তোদের আবার,
এ যে ফেসবুক এনে দিল সুখ অতীতে হারিয়ে যাবার।
শুধু তাই নয় তোরা এস...
[সতর্কীকরণ: আব্রু নিয়ে যাদের খুঁতখুতানি আছে, .....পার্কের ভাস্কর্যচিত্রটি তাদের জন্য ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট হিসেবে বিব্রতকর হতে পারে।]
দামটা যতই চড়ুক ঈদে পার্বণে
ধাম করে আর যাবেন কোথায় কার বনে !
ঘাম ঝরিয়ে যেতেই হবে মার্কেটে
জানবেনও না- বসে আছেন কার পেটে !
ঘুরবে মাথা ভনভনভন
তাইলে এখন...!
লজ্জা ঢাকার পোশাক কেনার ভেট ধরে
দানা-পানিই না পান যদি পেট ভরে
লাভ কী তবে !
তার চেয়ে কি এই ভালো নয়, দিলা...
১
হারানদা সুখে ছিলো স্বদেশের মাটিতে
দেশ ছাড়লেন কোন্ মামদোর চাঁটিতে
গল্প শোনাবো তার আজকের সভাতে,
সার দিয়ে ব'সে যাও, হ্যাংলা ও হাভাতে।
২
বালক বয়স ছিলো, সবার কনিষ্ঠ,
সকলেই গুরুজন, সকলেই জ্যেষ্ঠ।
তরুণ অরুণ আলো মুখে মেখে দাঁড়ালেই
এটা চাই ওটা চাই, ব'লে হাত বাড়ালেই
সার বেঁধে চলে আসে উপহার গুচ্ছ,
আজ একটা ডিনার ছিলো এক ভারতীয় ডিপ্লোম্যাটের সাথে, যিনি কিনা আমাদের স্কুলের অ্যালাম। তালেবর লোক, আই এ এস পরীক্ষায় ৫ম হয়েছেন ইত্যাদি। কিন্তু ওঁর সাথে সেই ভোজসভায় বিনি পয়সায় সুখাদ্য খাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার ছিলো না আমার। খাঁটি কবিরা নাকি দুঃখে দারিদ্রে লেখার প্রেরণা পান, আমার তো দিব্বি কাব্যরস বইলো ফিলে মিনিয়ন খেতে খেতে (এতেই বোঝা যায় ভে...
একদা জোছনা রাতে বসেছিনু একা
কাইত করে চাঁদ দেখে ঘাড় হল ব্যাকা
ফুরফুরে হাওয়া ছিল লাগছিল বেশ
কে বা কারা হেগে মুতে রেখে গেল রেশ
মাঠ ভরা ঘাস ছিল ভাবিলাম শুই
ঘাস তলে গু’ও ছিল শার্ট কোথা ধুই?
জিন্নাহ টুপির তলায় যখন মিচকা হাসি পষ্ট হয়
কই ঈমানে, দেইখ্যা সেটা আমার অযু নষ্ট হয়।
যায় যত দিন বাংলা ভুলে উর্দু তাদের চোস্ত হয়
মানচিত্রের মাংস খায়া তাদের বুকে গোস্ত হয়।
হায়রে আশা! যেই না বিচার আমার হাতে ন্যাস্ত হয়
ফেব্রুয়ারীর পঁচিশ তারিখ "বিশেষ মহল" ব্যস্ত হয়।
কি আসে যায় দূর্নীতিতে প্রথম নাকি ষষ্ঠ হয়
ভাইয়ের খুনের বদলা ভুলে, দেশই যখন ভ্রষ্ট হয়।
নিজের প্রতি লজ্জা, ঘৃণায় মুখ হত...