রীতিমতো বড়দের ছড়া। শ্লীলবায়ুগ্রস্তদের পাঠ নিষেধ। সংসারে এক সন্ন্যাসীর "কামরাঙা ছড়া" সিরিজ দিয়ে বহুলাংশে অনুপ্রাণিত। শিরোনামে আংরেজি HORNY কথাটার বাংলা অনুবাদের দুশ্চেষ্টা করা হয়েছে।
হিমেরিক ৩১
আন্টি বাসায় ছিলেন না তাই পরিস্থিতি ভিন্ন
হঠাৎ ফেরায় তোমার আমার ক্রীড়ার আবেশ ছিন্ন
হায়, হুঁশিয়ার একটু হতাম!
খোলাই ছিলো জামার বোতাম ...
তোমার মায়ের দুই চোখে তাই প্রশ্নবোধক চিহ্ন!
হিম...
এই সিরিজের ছড়াগুলোর বৈশিষ্ট্য: প্রতিটি দ্বিপদীর অন্ত্যশব্দ দু'টির উচ্চারণ হবে অভিন্ন, তবে সেগুলো বহন করবে ভিন্ন অর্থ। "গিয়ে আমি বইমেলা / কিনেছিনু বই মেলা" গোছের।
৪১.
বইছে বাইরে ঝড়-বাতাস
লুডু খেলি, চলো, অথবা তাশ
৪২.
কইরা নিজে নয় বিয়া
(কয়) চারের বেশি নয় বিয়া
৪৩.
চেহারা তো তার নয় বেশি কমনীয়
মূল্যটি, ভাই, তাই কিছু কমও নিয়ো
৪৪.
কীসব কীর্তি পোলাপান করে!
এই বয়সেই পোলা পান করে?
৪...
বিফলে তার মূল্য ফেরৎ
গ্যারাণ্টি তার নামে
সেই ভরসায় চান্দুমামা
নিলেন চড়া দামে।
স্বপ্নে পাওয়া তাবিজ নাকি
দারুণ কার্যকর
কার্যসিদ্ধি করেই ছাড়ে
ঝেঁটে শরম ডর।
মামী একটা হবেই এবার
কেমনে ফস্কে আর
জমবে খেলা দেখবে সবাই
আসছে মঙ্গলবার।
দিনটা হলো কৃষ্ণপক্ষের
অমাবস্যা তিথি
এক দমে তা বাঁধতে হবে
এ-ই তাবিজের রীতি।
সুড়সুড়িয়ে না এসে পার
কেমনে পাবে শুনি
চুলের গোড়ায় তাবিজ বাঁধা-
কই যাবি ...
দেখতে যে যায়, চমকে ওঠে- এই চেহারা কার !
কোত্থেকে এক আয়না এলো বিদঘুটে কারবার !
করিম সাহেব আঁৎকে ওঠেন ছাগল বিম্ব দেখে,
নাকের আগায় শিং দেখে কি অবশেষে
বসলো হোসেন বেঁকে -
এই ছবিই আমার ?
থলথলে এই ঝুল-চামড়ায় আমি কি গণ্ডার !
আহারে তুই থাম্ না হোসেন, মীম’কে দেখতে দে-
দুই-মুখো এক সাপ দেখে মীম ফিচকে ওঠে কেঁদে।
যদুটাকে জানতো গাধা সবাই মোটামুটি
তাই বলে কি
শেয়ালমুখো টম’কে দেখে হেসেই কুট...
গাধী কয় 'ঘোড়া রে
ওরে মুখপোড়ারে
দেখে তোরে পড়ে গেনু
হয়ে গেনু খোড়া রে'
ঘোড়া কয় 'গাধীরে
জাত-পাতে নাদিরে
আয় সোনা কাছে আয়
খুরোডোরে বাঁধিরে'
অবশেষে হাছাহাছি
এলো তারা কাছাকাছি
দিলো ফি বচ্ছর
গ্যাদা গ্যাদা খচ্চর।
এই ছড়াগুলোয় বাংলা শব্দের শ্রুতিমাধুর্য ও ধ্বনি-দ্যোতনার বৈচিত্র্য প্রকাশ করার চেষ্টা (অপচেষ্টাও বলা যেতে পারে) করা হয়েছে মূলত।
আর তাই এসবে কোনও বক্তব্য বা ভাব-পারম্পর্য খুঁজে না পেলে রচয়িতাকে দোষারোপ করা যাবে না কোনওমতেই
১৬.
বংশটাকে ধ্বংস করে অংশ পেয়েই হর্ষিত? –
লগ্ন এ, হায়, ভগ্ন মনের – মগ্ন পাড়া-পড়শি তো!
১৭.
চ্যাপ্টামুখো ল্যাপটপেতে ম্যাপটা দ্যাখে অ্যামনে কি?
যক্ষা থে...
লিখতে গেলে ছন্দ ভুলি ছন্দ পেলে সুর
শব্দ খুজতে তোমায় পেলাম একি সুমধুর
রঙিন শব্দ রাত জুড়ে ছিল আমার ঘরে
সকাল হতেই তোমায় দেখি অনেক দূরে
কৃষক জানে কেমন করে চাষ দিতে ক্ষেত
মন ময়ুরী পেখম নাচে চায় বর্জ্রনাদ
দিন জুড়ে মাঝ উঠানে তোমার পদধ্বনি
সন্ধ্যা সাজে বুকের মাঝে উস্কানি দেয় উনি
তোমায় পেলে শব্দ ভুলে শ্বাসের বেগ বাড়ে
তুমি তখন শান্ত মনে ডুবলে অথৈ জলে
জল থেকে ডুবুরিদের তুলতে তোমায় বলে...
অনেক দিন কিছু লেখা হয় না। নোটপ্যাড খুলে বসে থাকি, লেখা আগায় না। খুবই যন্ত্রণার ব্যপার। বড় লেখকদের মত রাইটার্স ব্লকে পড়লাম বলে নিজেকে প্রবোধ দেই। হঠাৎ কিছু লাইন মাথায় এলো। বাস্তব অবাস্তবের মিশেলে খুঁজে পাওয়া এমন কিছু লাইন। এবারের লেখাটি লিমেরিক ধাঁচের। পকেটের মধ্যে, মানিব্যাগের ভাঁজে কিংবা বইয়ের পাতার ফাঁকে খুঁজে পাওয়া এমন কিছু খুচরো লাইন দিয়ে একটা সিরিজ করলে কেমন হয় এমন একটা ...
আশ্চর্য কথা! প্রোফাইল-পাতার পরিসংখ্যান বলছে, এটি সচলায়তনে আমার শততম পোস্ট! আমি নিজেই হতবাক! যে আমি লেখালেখি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ বিযুক্ত রেখেছিলাম দীর্ঘ কয়েক বছর, সেই আমি কিনা এক বছর চার মাসে সেঞ্চুরি করে ফেললাম! অথচ সচলায়তনের দেখা না পেলে আর আদৌ কখনও লেখা হতো কি না, সন্দেহ হয়।
চিত্রকর-প্রেমিক
মজে আছি প্রেমে বহুদিন হলো - প্রেমিক আমার আঁকিয়ে,
তবে সে পুরুষ নয় - এমন এ...
ধুত্তুরি ছাই ছন্দগুলো
এসে এসেও আসছেনা।
শব্দগুলো ঘুরছে শুধু,
মাথায় এসে বসছেনা।
তালগুলো সব বেতাল হয়ে
ছন্দ নদীর জল মাড়িয়ে,
হাওয়ায় যেন যায় মিলিয়ে;
কিচ্ছু করা যাচ্ছেনা।
স্বপ্নগুলো বিদ্রোহী সব,
ঘুমের ঘোরেও নেই কোন রব।
দেখছি এ যে মহাআপদ -
ছবি কিছুই ভাসছেনা!!
খাতার উপর কলমখানা
ভান ধরেছে লিখতে মানা!
মনের মাঝে মনপাখিটাও
উড়াল যেন দিচ্ছেনা!
বর্ণগুলো ইচ্ছে মতন
যেথায় যেমন যখন তখন
ঘুর...