সবাইকে নতুন ইংরেজী বছর ২০০৯-এর সলজ্জ শুভেচ্ছা।
[বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এখানে নিজেকে খুঁজে পাওয়া নিজস্ব সৃজনশীলতা বলেই গন্য হবে।]
চেক-আপ
মাথাটা সুস্থ কি ? নিশ্চিত ভাবনায় -
এসো ভাই চলো যাই ঘুরে আসি পাবনায়।
বিল ঝিল মাছ দই মন্ডাটা নামী তার
যতো পারো ডুবে খাও
নিয়ে যাবে ? হবে তাও,
সাথে শুধু নিতে হবে ইয়া এক দামী ‘কার’।
তবে ভাই যাই বলো, কেন নাম ডাক তার
জানো কি ?
আছে নাকি ওখানেই বড় বড় ডাক্তার।
...
রাজনৈতিক আলোচনার জোয়ারে বেমানানভাবে এই হালকা রচনা দিয়ে কারুর বিরক্তি উত্পাদন করে থাকলে আগে থেকেই ক্ষমাপ্রার্থনা করে রাখছি।
এই সিরিজের ছড়াগুলোর বৈশিষ্ট্য: প্রতিটি দ্বিপদীর অন্ত্যশব্দ দু'টির উচ্চারণ হবে অভিন্ন, তবে সেগুলো বহন করবে ভিন্ন অর্থ। "গিয়ে আমি বইমেলা / কিনেছিনু বই মেলা" গোছের।
~~~~~~~~~~~~~~~~~
৩১.
"বাংলা" নামের ধারণাটি কভু ছিলো না তাদের বিশ্বাসে
মওকা পেলেই ছোবল হানে - রয়েছে ...
ইউজারনেমঃ লীন
মেইলঃ
একাউন্ট স্ট্যাটাসঃ অ-সচল
= = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = =
গত কয়েকদিন ধরেই সচলায়তনের "গুঁতোগুতির শীর্ষে" রয়েছে "ষষ্ঠ পাণ্ডব" এর একটি ব্লগ। সেটা হলোঃ বুয়েটের মর্যাদা রক্ষায় এগিয়ে আসুন। হয়তো পড়েছেন।
যাই হোক, সচলায়তনের প্রথম পাতায় গেলেই চোখে পড়ে "সচলায়তন | চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির"। "ষষ্ঠ পাণ্ডব" এর ব্লগ এবং এই শ্লোগান দেখেই আমি সচল...
কথা নয় আজিকার
দেশে যত রাজাকার
ভোটে, জোটে আছে দল পাঁকিয়ে
আমি, তুমি, তাহারা
ভাই,বোন, মা হারা
দেখবো তা' শুধু শুধু তাকিয়ে?
আর কত অনাচার
দেশ নয় প্রাণ আচার
শুয়োরেরা চেটেপুটে যে খাবে
এক দুই করে তিন
এদেশেতে দিনদিন
ক্ষমতার নামতা সে শেখাবে।
তাই বলি এসময়
এখনি যে সে সময়
হও যদি দেশপ্রেমী সাচ্চা
ভোটে বলো-" সর তুই,
দূরে গিয়া মর তুই;
তুই হলি শুয়োরের বাচ্চা।"
যাচ্ছে গাড়ি যাত্রাবাড়ি
তাল হারিয়ে একা।
যাত্রাবাড়ি মধুর হাড়ি
যায়না ধরে রাখা।
যাত্রাবাড়ি কাড়িকাড়ি
পয়সা ধরে গাছে,
গাড়ি চলে ব্রেক ছাড়া তাই
কেউ নিয়ে নেয় পাছে।
যাত্রাবাড়ি সারিসারি
ঘিয়ের হাড়ি রাখা।
সবাই ছোটে উর্ধ্বশ্বাসে,
সব যদি পায় একা।
যাত্রাবাড়ি আমোদভারি
কেউ করেনা মানা।
সবাই চলে যে যার মতন
ছড়িয়ে দিয়ে ডানা।
যাত্রাবাড়ির যাত্রীগুলো
সকলে একচোখা,
বেজায় রকম একগুঁয়ে আর
ভীষনই এ...
একাত্তরে একটু না হয়
জান বাঁচাতে বেশ ধরেছি
মানুষ হয়েও পাক কুকুরের
নাপাক সরু লেজ ধরেছি
ভাইকে মেরে শেষ করেছি
মুক্তি নিরুদ্দেশ করেছি
আপনি মহান, তারপরও তাই
পাপ পুড়িয়ে less করেছি
ফ্ল্যাগ লাগিয়ে গাড়ির ডগায়
উন্নতিও বেশ করেছি
দেশের মাথা, কেশ ধরেছি
শুরুর ভুলেও শেষ ধরেছি
দূর অতীতেও পাশেই ছিলেন
আর্জি এ তাই পেশ করেছি
ভোটটা দিয়েন এইবারও ভাই
আমরাও তো দেশ গড়েছি!
এই ছড়াতে ছন্দ আছে, অশ্লীলতার গন্ধ আছে, বাইচা গেছেন যাদের দুচোখ বন্ধ আছে…
ছোট ছোট দু-লাইনে, মনটা কারো দুলাই নে, তবুও যদি একটু খানিক মনটা কারো দোলে… আসেন আমার কোলে!
০১.
ফ্যালো কড়ি, মাখো তেল,
ভ্যাসলিন বা হেয়ার জেল…
০২.
তুমি নারী, আমি নর…
আমি নাড়ি, তুমি নড়!
০৩.
আজ প্রেম কাল বিয়ে…
পরশু মর ফাল দিয়ে!
০৪.
হালকা চালে দুলকি তালে
গান শিখেছি রাত্রিকালে!
০৫.
ঝোপের ভেতর পিছল কাদা…
হড়কালে পা তাতে...
আহ্ হারে দিল খুশ!
জুতো খেলেন বুশ,
খেলেন কিন্তু বুশ!
একটু করুন হুঁশ।
বিশ্ববাসীর শান্তি কেড়ে,
লক্ষকোটি মানুষ মেরে
গেলেন কিন্তু বুশ!
কেউ কি করে হুঁশ?
বুশ বাবাজির বিদায় কালে
এই কি ছিল তার কপালে!
জানত কি কেউ এই আকালে
করবে ঠিকই হুঁশ –
সাহস কত
বাতাস এত
ধরে যেই ফুসফুস!!
জুতো মহান ধন্য তুমি;
তোমার প্রভুর চরণ চুমি,
বুশ বাবাজির ইমেজ ভাঙ্গি
আছড়ে পড়ে নামলে ভূমি!
বুকে আগুন-তুষ -
ভাবছি বসে এই ...
তুমি এসেছিলে শীত ছুঁয়ে ছুঁয়ে
রঙে রুপে ভরালে বসন্তে
গ্রীষ্মে লু হাওয়ায় আমি মরুময়
কোথা যে হারালে অনন্তে ।
বর্ষার জলে ভাসি অশ্রু প্লাবনে
কদম কেয়া কাঁদে বনান্তে
ভাদ্রে এ হৃদয় ভেঙ্গে চৌচির
পাথর হলাম যে হেমন্তে ।
তুমি হীনা চারিধার শুধু হাহাকার
আঁধার নেমেছে দিগন্তে
সব ঋতুতেই চাই তুমি ভাল থেক
থাক না যত দূর দুরান্তে।
অবশেষে হেসে তিনি লুংগিটা খুললেন
লাঙলের ফাল ছেড়ে নৌকাতে ঝুললেন।
হাসিনার সাথে তার ভাগ্যটা গুললেন
প্রেসিডেন্টের গদি চড়ে ঘোরে ঢুললেন।
গণতন্ত্রের চোটে মুখে ফেনা তুললেন
দেশপ্রেমে হাবুডুবু খেয়ে পানি,ফুললেন
আরও কিছু বললেন....
শুনে সেই অনেকেই তালে তালে দুললেন
শুনলেন?
অতীতের সবকিছু আপনিও ভুললেন?