ছড়া কার? ছড়া কার?
- কি মুস্কিল,
যে লিখেছে ছড়া তার!
ছড়াকার! ছড়াকার!
- কি যন্ত্রনা কি দরকার?
এই ছড়াটা পড়া কার?
- যে লিখেছে সেই পড়েছে
সেইতো প্রথম পড়া তার!
ছড়াকার! ছড়াকার!
- কি হল কী? কি আবার?!
এই ছড়াটা গড়া কার?
- ওরে উল্লুক, মেরুভল্লুক;
যে লিখেছে সেই পড়েছে সেই গড়েছে সবই তার!!
এখন বোঝা যায়?
হেঃ হেঃ, নিশ্চয় নিশ্চয়!
This is some sample text. You are using FCKeditor....
এই মিনি-সিরিজটিকে মৃদুল আহমেদের তৈরি সুস্বাদু নিমকি সেবনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে গণ্য করতে হবে। তাঁর ভাবী বিষয়ক ছড়াটি পড়েই আইডিয়া আসে: প্রতিটি দ্বিপদীর অন্ত্যশব্দ দু'টির উচ্চারণ হবে অভিন্ন, তবে সেগুলো বহন করবে ভিন্ন অর্থ। "গিয়ে আমি বইমেলা / কিনেছিনু বই মেলা" গোছের।
সিরিজটির চূড়ান্ত নামকরণটি হিমুর। আমি বলেছিলাম "ছড়াণু"। শুনে মুহূর্তেই তিনি প্রসব করলেন "ছড়মাণু"! মাথা একখ...
একটা সময় যখন কোথাও হত ভাতের কষ্ট,
তেড়ে গিয়ে অন্য দেশে করতো জীবন নষ্ট।
লুট করতো গরু বাছুর, ধন-সম্পদ যত,
মারতো মানুষ, পুড়তো বাড়ী, অনেক হতাহত।
লুট করেও অনেকের হয়না অভাব শেষ,
ধরে নিয়ে যেত, দিতো দাসের বেশ।
আমেরিকার কথাই ধরো, ওবামার ঐ দাদা,
আফ্রিকাতে বাড়ি তাঁদের, দাস ছিল একদা।
ভারতের পাশে আছে, দেখো সোনার দেশ,
ইংরেজরা ছুটে এল, করলো সবই শেষ।
নিজের দেশে নাই সম্পদ, নাই তো থাকার জায়গা,
কী করা তা...
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজকে কোথায় সেই জনতা?
বিচারপতি তুমিই পতি
তুমি যে ঈশ্বর।
তোমার ভুলে ভূগেও মোরা
করব নিচু স্বর।
বলব কেশে,
বলব হেসে,
ওটাই মোদের বর!
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজ ভেগেছে সবাই তারা।
তুমিই পতি,
তুমিই গতি,
তুমিই মান্যবর।
যারা তোমার ভুলটি ধরে
ঐ ব্যাটাদের ধর।
সাহস কতো ইঁদুর হয়ে ধরিস অজগর?!
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আবার জমে সবাই তারা!
তুমিই...
এই ছড়াতে ছন্দ আছে, অশ্লীলতার গন্ধ আছে, বাইচা গেছেন যাদের দুচোখ বন্ধ আছে…
ছোট ছোট দু-লাইনে, মনটা কারো দুলাই নে, তবুও যদি একটু খানিক মনটা কারো দোলে… আসেন আমার কোলে!
০১.
রসটা ছিল আদি…
শিকার হল বাঁদি!
০২.
ঢাকা এখন ভেটেরনারি…
মুচড়ে ওঠে পেটের নাড়ি!
০৩.
টেম্পোচালক বলল রাতে…
লন বাড়াডা যে যার হাতে!
০৪.
যেই বলেছি, ভাবি!
মিষ্টি হেসে তাঁকে ভাবার সম্মতি দেন ভাবি!
০৫.
ডাকত শুধু বিধাতাকে,
সহ্যে...
এইটা কিনলে ওইটা ফাও,
ডাইরি কিনলে বইটা ফাও।
কাগজ কিনলে কলম ফাও,
ডেটল কিনলে মলম ফাও।
ছাগল কিনলে খুটি ফাও,
মাখন কিনলে রুটি ফাও।
ইটা কিনলে বালু ফাও,
মাংস কিনলে আলু ফাও।
ফাওয়ের ভুবন বিশাল বড়
নেই কোনো তার শেষ,
কোনো কিছুই না কিনে ফাও
পেলে হত বেশ।
এই কথাটি ভেবে ভেবে
সাগর মিয়ার নাতি,
ঘুমিয়ে গেল দুয়ার খুলে
জ্বালিয়ে ঘরে বাতি।
ঘুমটি ভেঙ্গে দুঃখে নাতি
চেচিয়ে ওঠে জোরে,
ঘরে যে তার নেইতো কিছুই
...
সচলে আজ ছড়া দিবস
ছড়ার ফাঁদে সবাই বিবশ
দেখ -
হাসছে সবাই প্রান খুলে
মৃদুল দাদা আকতার ভাই
তাদের ছড়ার তুলনা নাই
বি ডি আরও নাচে দেখ
শূন্যে দু’হাত তুলে।
সন্ন্যাসীকে বলবো কি
পুতুল ভায়া করছে কি
নজু ভায়ার নাচন দেখে
আইছে আলমগীরে।
ছড়ায় ছড়ায় যুদ্ধ চলে
ছন্দ কলায় পঙতি জ্বলে
ছড়ার তালে আজকে সবাই
আনন্দে নাচিরে!!
(...
ভালো ভালো ছড়া পড়লে এমনিতেই মনটা ফুরফুরে হয়ে ওঠে আমার। আর আজ সচলায়তনে বিডিআর ঘোষিত ছড়া দিবস দেখে ব্যাপক পুলক বোধ করছি এবং শুধু এই প্রবাহে অংশ নিতেই খুদে দুটো ছড়া ছেড়ে দিচ্ছি প্রায় ঘষামাজাহীন।
নাউজুবিল্লাহ-উচ্চারণ-পিয়াসী পাঠকদের লক্ষ্য পূরণ না হলে সকল অপবাদ আমার প্রাপ্য। আর এ প্রসঙ্গে বলে রাখি, দ্বিতীয় ছড়াটি একটি রুশ কৌতুক অবলম্বনে রচিত।
পুরুষালি যুক্তি
মেয়েটির ছেল...
ভূমিকাটুকুর আগে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি মৃদুল ভাইয়ের প্রতি, নামকরণের জন্য।
আমি ছড়া লিখি না, লিখতে পারি না। কিন্তু আজকে সচলায়তনে ছড়ার যে ঢল নেমেছে, আমি যার নাম দিয়েছি “ছড়া দিবস”- তাতে খুব ইচ্ছে হলো একটা ছড়া লিখি, ভালো হতেই হবে- এমন তো কোন কথা নাই! তবে এটা বলতে পারি, এরশাদের পর, এই দ্বিতীয়বারের মতো কোন সামরিক ব্যক্তিত্ব ছড়া-কবিতা লিখলেন!
লেখাটা মাথায় আসলো আজ অফিস থেকে বাসা...
বিডিআর ভাইয়েরা সত্যি অনন্য, কত কী করছেন দেশের জন্য... পেলাম টের হাতেনাতে, একেবারে সন্ধ্যারাতে...
ক্যামনে? ঠিক অ্যামনে... আমাদের বিডিআর, কী যে পিডাপিডি আর কথা কয় সমানে, বন্দুকে কামানে... মিরপুরগামী ছিল অফিসের গাড়িতে, পারলে সে ঘুষি মারে চাপা-দাঁত-মাড়িতে... ল্যাপটপে টপাটপ গালি দেয়, পুতুপুতু করি দেখে হেসে হাততালি দেয়... আজ নাকি ছড়ানোছিটানো ছড়া... সচল ভরা... আজ নাকি ছড়াদিন... আমাকে শাসিয়ে বলে, আপনি...