শুনেছিলাম সেই সে কবে, রাষ্ট্র নাকি লড়বে,
আঙ্গুলেতে জয় দেখানো কাদের বোধহয় মরবে
কদিন ব্যাপক উথাল পাথাল সবই এখন ঠান্ডা।
আম জনতার মাথায় কেবল সদাই পিটছে ডান্ডা।।
অল্প পাজি বস্রা যারা, একটু রেগে নাম কেনে,
দুচার দিনেই আমরা সবাই, ধাতটা তাদের যাই জেনে।
অল্পে রাগে, অল্পে চেঁচায়, হয় সে খুশি অল্পেতে,
চা, সিগারেট, মুভির টিকেট, তেল লাগানো গল্পেতে।
তারেই বলি অল্প পাজি, আসল পাজি দেখবে কে?
(দশ দিনেতে ফেলবে পাতা, সেই বসের-ই রূপ দেখে।)
চেঁচায় না সে যখন তখন, রাখবে সে যে রাগ পুষে,
অ্যাপ্রাইজালের সময় এলেই, নেবে সবার খুন চুষে।
ফেরেশতা তুই, না পরী,
তা হয়নি কারো জানা,
ছোট্ট মানুষ, ক্যান এলি তুই?
কেউ করেনি মানা?
কীসের এত বল তাড়া তোর?
বল কীসে তোর ভাল?
মায়ের আধার সইল না আর?
চাইলি এতই আলো?
অন্ধকারের আড়াল ঘেষে
এই যে তোরা এলি-
ঘুমোয় মা তোর, কাঁদছে খালা,
বল না কী আর পেলি?
ভাবিস কেঁদে চোখ ভাসাবি,
মিলবে সবই তাতে?
ছোট্ট রে তুই, বুদ্ধি কোথা?
নেই কিছু তোর হাতে-
নেই বিছানা, নেই বালিশ আর
নেই মশারী, কাপড়,
ছড়াগুলো ফেসবুকে দিয়েছিলাম, ভাবলাম হারিয়ে, যাবে চাপা পড়বে বরং সচলে জমা থাক। কোন চিন্তাভাবনা ছাড়াই লিখে ফেলা, রাগ আর ক্ষোভের অক্ষম বহিঃপ্রকাশ। কেবলমাত্র প্রাপ্তমনস্কদের জন্য।
মতিচুর রহমান, বাজারের সর্দার,
হাই ফাই ফাল্গুনী আছে সব কেনা তার,
কাওরান বাজারের নাম করা মাসী সে,
ইস্লামী ব্যাঙ্কের কেনা সেবাদাসী সে।
মাসে মাসে ভাড়া দেয় খান্দানী পুটু তার,
হাসনাত আবদুল হাই-এর ল্যাঞ্জা
লুৎফর রহমান রিটন
নাই বুঝি টু করার শক্তি? হাত পা বুঝি বাঁধা?
মানব বুঝি যা বলো তাই? ভাবছ বুঝি গাধা?
মাটিতে পা পড়ছে না তো, উড়ছ আকাশটাতে?
মনে রেখ ঘুড্ডি তুমি, লাটাই আমার হাতে।
উচ্চ থেকে লাগছে আমায় পিপীলিকার মতো?
জান না কি সদলবলে শক্তি তাদের কতো?
ঘোলটা দেবে আমায় খেতে সরটা তুমি খেয়ে!
ভাবছ বুঝি দেখব কেবল এসব চেয়ে চেয়ে?
কেউ আমাকে মারবে ছুরি মাঝ বরাবর বুকে
আমি কেবল পড়ে পড়ে মরব ধুঁকে ধুঁকে?
(তারিফ শেরহান শুভ)
"আমি একটু সহজ-সরল, আপনি একটু কুটিল
আমি দেখতে টোকাই টোকাই, আপনি কিন্তু জটিল।
আমি একটু ব্যাকডেটেড, আপনি অনেক জ্ঞানী
যেই রাজ্যের চাকর আমি, আপনি সেটার রাণী।
আমি একটু 'ক্ষ্যাত' টাইপ, আপনি চরম ইসমারট
আমি তো জাস্ট মুদি দোকান, আপনি হলেন ওয়ালমার্ট ।
আমি খুবই জড়সড়, আপনি কনফিডেন্ট
আমি মাখি ম্যাজিক পাউডার, আপনি পেপসোডেন্ট ।
বয়সে আমি একটু ছোট, আপনি একটু বড়
আর কত চাস
মানুষের লাশ
লাল রক্তের ঢেউ?
আর কত চাস
করে হাঁসফাঁস
মৃতবৎ থাক কেউ?
জ্বলছে স্বদেশ, ভূক্তভোগীর
কান্না ভেজা চোখ
উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে
চতুর্দিকে শোক।