ঝকঝকে রোদে হেসে উঠল নাটোরের জলজ মাঠ। সবুজের উজ্জ্বলতা বাড়ল। আকাশে নীল-সাদার এক অপুর্ব সম্মিলন। নাটোরের মেঠোপথে অন্য এক অনুভূতি ছড়িয়ে পড়ল তনুমনে। চারপাশে ইতিউতি করে পাখি খুঁজে চলেছি। কিন্তু আকাশে ঝাঁক ঝাঁক শামুকখোল ছাড়া অন্যপাখি তেমন চোখে পড়ল না। অবশ্য দোয়েল আর শালিকের অভাব নেই। আমাদের এলাকায় এই বর্ষাতেও হরেকরকম পাখির দেখা মেলে। এদিকে নেই, তার কারণ বোধহয় জলবদ্ধতা। ভূচর পাখিদের খাবারের অভাব। বলতে আপত্তি নেই আরও একটা জিনিস খুঁজে চলেছি-- পাখির নীড়ের মতো দুটি চোখ।
নতুন কোন জায়গায় ঘুরতে যাবার আগে প্রতিবার ভাবি বাউণ্ডুলে ব্যাকপ্যাকার হয়ে ঘুরবো। কিন্তু শেষমেষ টিপিক্যাল বাঙালীর মতো আরাম আয়েশের অপশনটাই প্রাধান্য পায় এবং ধাক্কাটা পকেটের উপর দিয়েই যায়। এবার সিমলা-মানালি ঘোরার একটা পরিকল্পনা হলো চার জনে মিলে এবং কেন যেন তুলনামূলকভাবে কম অভিজ্ঞ আমার উপর পরিকল্পনার দায়িত্ব চলে আসলো। নিজেকে তখন দক্ষিণ এশিয়ার একটা দেশের মন্ত্রীর মতো মনে হলো যেখানে অনভিজ্ঞ লোকদের মন্ত্র
আমরা যাত্রা শুরু করতে চেয়েছিলাম দুইজন। তবে কোন একটা যুক্তিতে আমরা তৃতীয় আরেকজনকে ঠিক করলাম আমাদের সাথে যাবার জন্য। টিকেট কাটার সময় তাই তিনজনের জন্যই একটি করে মোহনগঞ্জের শোভন চেয়ারের সিট বরাদ্দ হলো। আমার স্বল্প অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি যেকোন যাত্রার ঠিক পূর্বমুহূর্তে একটা ঝামেলা তৈরি হওয়া একটা নৈমিত্তিক বিষয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঘন্টাখানেক আগে তৃতীয় ব্যক্তি যাবেনা বলে আমাদের অবহিত করলো। অর্থাভাব
“এই রূপক ভাই, উঠেন। আরে মিয়া উঠেন না। যমুন সেতু চইলা আইসে তো।“
ক্রমাগত ধাক্কাধাক্কিতে যথেষ্ট বিরক্তি নিয়ে চোখ খুললাম। কিন্তু কিছু বলতেও পারলাম না। বেচারা এই প্রথম এত কাছ থেকে যমুনা সেতু দেখছে, ওর উৎসাহে পানি ঢেলে দেওয়ার তো কোন মানে হয় না।
কবি চন্দ্রাবতীর নাম শুনি সেই ছোটবেলাতেই। আমাদের কিশোরগঞ্জে “শুরূক” নামে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা চালু ছিল (এখন বন্ধ)। আমার জীবনের প্রথম লেখা এই পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছিল। যেই সংখ্যায় আমার লেখাটি ছাপা হয় সেই সংখ্যাতেই চন্দ্রাবতীর উপর একটা প্রবন্ধও ছাপা হয়েছিল। চন্দ্রাবতীর সাথে সেই আমার প্রথম পরিচয়।
[justify]আমার প্রথম বাইক ছিলো এস এস সি পরীক্ষায় প্রাপ্ত বৃত্তির টাকায় কেনা। ষোলশ টাকার ফনিক্স, কেনার সময় চাইনিজ ভাবলেও পরে জেনেছি এই সাইকেল দেশেই তৈরি হয়, তেঁজগায় এদের ফ্যাক্টরি একসময় ল্যান্ডমার্ক ছিলো। নিকেতনে ঢোকার প্রথম গলি আর জিএমজির মোড়ের মাঝামাঝি “বাংলাদেশ সাইকেল ফ্যাক্টরী” রিকশাওয়ালাদের কাছে ঐ সময়ের একমাত্র ল্যান্ডমার্ক।