পার্টনার’স ইন ক্রাইম বলতে যা বোঝায় মৌলী আমার জীবনে তাই। সেই স্কুলে থাকতে লালমাটিয়ার ভাঙা বাড়ির কালো বিড়ালের রহস্য উদ্ঘাটন থেকে শুরু করে হিল্লিদিল্লী হয়ে রাজস্থান ঘুরাঘুরি সব তার সাথে। কোন এক ঝুম বৃষ্টির সন্ধ্যায় ভিজে ভিজে গেলাম তার অফিসের সামনে চা আর সিঙ্গারা খেতে। চা খেয়ে গল্প করতে করতে বাসায় ফিরব দুইজনে এই রকমই প্ল্যান ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার টিকিট কাটা ছিল কুয়ালাম্পুর-এডেলেড, পার্থ-কুয়ালাম্পুর অর্থাৎ নামব এডেলেড আর ফিরব পার্থ হয়ে। দু সপ্তাহের ভ্রমণ। পুরো মহাদেশ তো আর এই স্বল্প সময়ে দেখা সম্ভব না, আপাতত দুটো স্টেট দেখে যাই, এরকমটাই ছিল প্ল্যান। টিকিট কেটেছিলাম প্রায় পাঁচ মাস আগে, বাজেট এয়ারলাইন “এয়ার এশিয়া”র মূল্যছাড় অফার থেকে। যাত্রা তারিখের প্রায় দু’মাস বাকী থাকতে এয়ারলাইন এর কাছ থেকে ই-মেল পেলাম যে ওরা এডেলেড এর সব ফ্লা
[justify]প্রবাস জীবনের শুরুতেই নিতান্ত পেটের দায়ে যেটা শিখতে হয়েছে তা হল খিচুড়ি রান্না। গত কয় মাসের চর্চায় খিচুড়ি রন্ধন প্রক্রিয়ায় বিশেষ পারদর্শীতা অর্জন করেছি। সেই পটুতার খানিকটা রসুইঘর থেকে লেখার পাতাতেও চলে এসেছে। এর নিদর্শন কিছু এই লেখাতেই পাওয়া যাবে। লেখা-ছবি-হাবি-জাবি মিলিয়ে ব্লগটা বেশ উঁচু পদের খিচুড়ি হয়েছে বোধকরি। তবে খুব উপাদেয় হয়েছে এমনটা মনে হয় না। এই ফাঁকে বলে নেই, আমার চাল-ডালের খিচুড়
[justify]
তেঁতুলিয়া জেলা পরিষদের ডাকবাংলোর দক্ষিণে বিনোদনকেন্দ্র। এগোলাম সেদিকে।
আমার ছোটবেলায় মাসুদ রানা পড়াটা খুব একটা ভালো চোখে দেখা হত না - ইঁচড়ে পাকা বলে মনে করা হত ৷ তবুও লুকিয়ে চুরিয়ে প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার আগেই পড়া শুরু করলাম ৷ অ্যাকশন, এডভেঞ্চার আর লাস্যময়ী নায়িকা ভরপুর কাজী আনোয়ার হোসেনের এই অসাধারণ সিরিজ নিশ্চয়ই অনেকের মনে দাগ কেটেছে ৷ আরেকটু বড় হয়ে যখন ইংরেজিতে নানা থ্রিলার পড়া শুরু করলাম, তখন আবিস্কার করলাম এ গল্প তো আমার পড়া ! কাজীদা মাসুদ রানার বোতলে ভরে আগেই খাইয়ে দিয়েছেন ৷
উঠল বাই তো মন্দারমনি যাই। যাই ক্যামনে? বাড়ি থেকে সাতশ কিলোমিটার ডিঙিয়ে কোলকাতা। সেখান থেকে দীঘার বাস ধরে চালখোলা বলে একটা গঞ্জ আছে সেখান থেকে নেমে ট্রেকার ধরে মন্দারমনি।