আরব উপদ্বীপের উত্তর-পূর্ব অংশে ওমানের একটি প্রদেশ মুসান্দাম । হাযার পর্বতমালার শুরু এখানেই, এর একপাশে পারস্য উপসাগর আরেক পাশে ওমান উপসাগর। মূল ওমান ভুখন্ড থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত দ্বারা বিচ্ছিন্ন মুসান্দাম উপদ্বীপের মাধ্যমে বিশ্বের জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীর উপর ওমান তথা এই অঞ্চলের বাকি আরব দেশগুলো নজরদারি করে (কেতাবি ভাষায় এটা geopolitically strategic location)।
[justify]বেশ কিছুদিন যাবৎ ব্লগে লেখালিখির বিষয়টি মাথায় চেপে বসেছে। বাংলা ব্লগের জগতে আমার সবচেয়ে পছন্দের সাইট "সচলায়তন"। তাই "সচলায়তন" দিয়েই আমার ব্লগিং জীবন শুরু করছি। বাঘা বাঘা ব্লগার আর ফটোগ্রাফারদের সামনে লেখালিখি করাটাও একটা ভয়ের ব্যাপার। তবুও নিজের ইচ্ছেটাকে আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই লিখতে বসে পড়লাম। ভুল ত্রুটিগুলোর জন্য ক্ষমা সমালোচনা দুইই করতে পারেন আপত্তি নেই।
ইতিমধ্যে জ্যাস্পারের কাছাকছি এসে টোলগেট পার হওয়ার পরেই জিপিএস সম্বিত ফিরে পেয়েছে। তার দেখানো পথে আমাদের জ্যাস্পারের আস্তানা টেকারা লজে যখন পৌঁছালাম তখন রাত প্রায় দশটা। রিসিপশনের মেয়েটা তার জিনিস পত্র গোছাচ্ছে। আমাদের দেখেই খুবই স্বস্তি প্রকাশ করলো। ঘরের চাবি নিলাম এবং জিজ্ঞেস করতে ভুললাম না যে আসেপাশে ডিনারের ব্যবস্থা কি। ভদ্রমহিলা বেশ কিছু রেস্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন ধরিয়ে দিয়ে বললেন আর্লে যাও, ওইটা এখনো খোলা আছে। ক্যারিওন ল্যাগেজ নামাতে গিয়ে বুঝলাম ক্ষুধা তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে হাত পায়ের সমন্বয় পুরাই জোম্বি ধাঁচের হয়ে গেছে। অনেক কষ্টে ব্যাগে রুমে রেখে রেস্টুরেন্টের দিকে রওয়া দিলাম। আধা কিলোমিটার রাস্তা যেতে পাক্কা পঁচিশ মিনিট লাগলো! এইবার অবশ্য জিপিএস কোন তেড়িবেড়ি করে নাই, মস্তিস্কের রেসস্পন্স টাইমের কারণে ঘটনা ঘটেছে। জিপিএস বলে ডাইনে যাও। আমরা দুইজন দুইজনের মুখের দিকে তাকাই। এরপর হাতের দিকে তাকাই। কোন হাত দিয়ে ভাত খাই মনে করতে করতে ডাইনের মোড় পার হয়ে যায়।
(১)
অনন্য জাদিপাই
ছোটবেলায় গ্রিনিচ মানমন্দির সম্পর্কে পড়েছিলাম আর এতদিনে সেখানে যাওয়ার সৌভাগ্য হল।
কোথায় যাব সেটা বড় কথা ছিল না।
বড় কথা ছিল যেতে হবে। বেরিয়ে পড়তে হবে। দূরে নয়, কাছে। দূরে ঘুরে আসার সময় নেই। সময় বড়ই জ্বালাতুনে। কিছুতেই তাকে বাগে পাওয়া যায় না। আবার সময় মধুরও বটে। কতকাল বাদে সময় পেয়েছে মেয়ে, মা-বাবার সাথে বেড়াতে যাওয়ার। হোক না দু-দিনের। দু দিন কি কম দিন! কিন্তু সেই পুরান প্রশ্ন ঘুরে ঘুরে আসে, যাই কোথায়?
এই নিয়ে একে একে চারবার পত্রিকা অফিস থেকে গল্পের পান্ডুলিপি ফেরত আসলো। গল্পটি ছাপানোর জন্য "মনোনীত" হয়নি। তবে সম্পাদক মহোদয় আশা ব্যক্ত করেন, ভবিষ্যতে "মানসম্মত" ও "ভাল" লেখা দিলে, তা তিনি নিশ্চই ছাপানোর জন্য বিবেচনা করবেন। যাই হোক, আবারও হতাশার তীরে বিদ্ধ হল আমার হৃদয়ের তরুন লেখক সত্ত্বা। আমার ধারনা, সম্পাদক মহোদয় কোনবারই পান্ডুলিপিখানা খুলে দেখার প্রযোজন বোধ করেননি। খুব সম্ভবত গল্পটিতে আহামরি কোন
ছবিব্লগ দিয়ে শিক্ষা হয়ে গেছে। এবারে ক্যাপশন ব্লগ, সাথে ছবি ফ্রি