১৯১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জগৎবিখ্যাত মানসিক রোগচিকিৎসক এবং মনস্তাত্ত্বিক সিগমুন্ড ফ্রয়েড তাঁর বন্ধু এবং সহকর্মী কার্ল গুস্তাভকে চিঠি লিখল ‘…… আসছে গ্রীষ্মের ছুটিতে আমার প্রয়োজন এমন এক লোকালয় যেখানে একটু একা থাকতে পারব শুধু ধারেকাছে অরণ্য থাকলেই চলবে’।
আগস্ট মাসে বন্ধুকে আবার চিঠি লিখে ফ্রয়েড জানিয়ে দেয় ‘...... রেননের এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আমরা চমৎকার আছি, নিষ্কর্মা হয়ে বসে থাকার অপার আনন্দ আমি নিজের মাঝে খুঁজে পেয়েছি’।
তৃতীয় পর্ব
[আগের পর্বে লেখার সাথে সাথে ছবি দিয়েছিলাম। কিন্তু আর একজন চেয়েছিলেন লেখা প্রথমে, ছবি শেষে। এবারে তাই থোকায় থোকায় দিলাম]।
মেঘ-মাখান সকাল
জান-এ-মন যেদিন বিবিজান হতে রাজী হলেন সেদিন থেকেই নিজের সৌভাগ্যে আমার প্রবল আস্থা। পরবর্তীতে বহুবার বহু কিসিমের আছাড় খেলেও এই আস্থার ঝান্ডা আজও উঁচু করে রেখেছি। গ্লেসিয়ার বে অভিমুখে নরওয়েজিয়ান ক্রুজ লাইন জাহাজ কোম্পানীর এ বছরের শেষ ক্রুজের সওয়ারী আমরা। আবহাওয়ার ভবিষ্যৎ-বাণী প্রচুর হতাশার কথা বলে রেখেছে। কিন্তু, ঐ যে, আমার আস্থা! আবারো পয়সা উশুল! জাহাজে ওঠার আগের মুহুর্ত পর্যন্ত বৃষ্টি নামেনি! আবার, তিমি দেখার দিনেও সূর্যের আলোর কোন কৃপণতা ঘটে নি! কিন্তু গ্লেসিয়ার বে!
অলভিয়া বন্দরে ভিড়ছে জাহাজ।
মিউনিখ থেকে রওয়ানা হয়ে বোডেন লেক পেরিয়ে সুইজারল্যান্ড। সেখান থেকে আরও চারশো কিলোমিটার দক্ষিণে ইতালির সমুদ্রবন্দর জেনোয়া। গাড়িপথে বাড়ি থেকে সর্বসাকুল্যে ৬৩০ কিলোমিটার।
প্রাক-কথনঃ লেখার ঘটনাকাল অক্টোবর ১১ থেকে অক্টোবর ১৮। দেশের অস্থির এক সময়ে লিখছি এই লেখা। সামনের দিনগুলো যে আরও অস্থির যাবে তা বলার জন্য খুব একটা মাথা খাটাতে হয় না।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সবকিছুর শুরু একটা ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে।
এবার বরং একটা পাহাড়ী গ্রামের গল্প হয়ে যাক। ভয়ংকর নিস্তব্ধ। শুধু হাওয়ার শনশন, শুকনো পাতা মচমচ অথবা দুএকটা পাখি টাখি অথবা শুধুই শব্দহীনতা। আর? কপাল ভালো থাকলে দরজা খুললেই কাঞ্চনজঙ্ঘার মায়াবী মাদকতা, আর কপাল খারাপ থাকলে মেঘ কুয়াশার হুটোপুটি, পাহাড়ের গা-বেয়ে পাইন বনের সারি, সেখানে কুয়াশার পিছু ধাওয়া...