আমার জন্ম-শহরের একপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সুন্দর নদীটির নাম কর্ণফুলি। নদীটির উপর আমার কৈশোরবেলায় দু’টি সেতু ছিল। বোয়ালখালি যেতে হলে পেরোতে হত দূর পথে ঘুরে ‘কালুরঘাট’ আর ‘পটিয়া’ বা ‘আনোয়ারা’ যেতে চাইলে কাছের ‘শাহ আমানত সেতু’। দ্বিতীয় সেতুটা একবার ভয়ংকর একটা ঝড়ের রাতে ভেঙ্গে দু’ভাগ হয়ে যাওয়ার পর মানুষ নদীর ঐ অংশটা নৌকায় পার হত। আমরা বিকেল হলেই তখন পাথরঘাটা থেকে হাঁটতে হাঁটতে চাক্তাইয়ের শুটকী পট্টির ভেতর
যে কাজটি পাঁচ মিনিটেই করে ফেললে ল্যাঠা চুকে যায়, সেই কাজটি করার আগে আমার ন্যূনতম পাঁচদিনের আলসেমি লাগে। এক বন্ধু বলেছিলো আমি নাকি লতিফ ভাইয়ের চেয়ে বেশি লেইটার, তাই 'লেইট লতিফ' বাদ দিয়ে 'লেইট নজরুল' চালু করার সময় এসেছে। আমি তাতে অবশ্য কোনো আপত্তি করি না। যথাসময়ে কোনো কাজ আমি করেছি, এই রেকর্ড কেউ দেখাতে পারবে না।
নেপাল যাত্রাদলের যাত্রাপালা
[justify]আমি আপাদমস্তক অলস ব্যক্তি, আলসেমি আর ঘুমানোর চেয়ে আরামের কিছু আমার কাছে নাই। আমি নিজের চোখে না দেখলেও যে পৃথিবীর সুন্দর সুন্দর পাহাড় পর্বত নদী নালাগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে না তা আমি জানি। আর এগুলো দেখার জন্য তো আমাদের তারেক অণু আছেই, শুধু শুধু সবাই মিলে কষ্ট করার দরকার কী?
দ্বিতীয় পর্বঃ
আগের পর্বের প্রথম মন্তব্যের উত্তরে কথা দিয়েছিলাম যে লেখার সাথে সাথে ছবি দেব। সেই জন্য প্রথম থেকেই ছবি চালু করে দিলাম।
ছোটবেলায় প্রথম পূজো দেখার স্মৃতি আব্বার হাত ধরে, রাজশাহী শহর থেকে আধা ঘণ্টার দূরত্বে, পুঠিয়ায়। দুর্গাপূজোর ছুটিতে বাসে চড়ে পুঠিয়ার রাজবাড়ি দেখতে গিয়ে পুজামণ্ডপও ঘুরে দেখা হয়েছিলো, সেটা মনে হয় ক্লাস থ্রি বা ফোরে। তার আগে ঢাকায় থাকতে এ সুযোগ হয়নি। এরপরে শহরের অলিতে গলিতে ঢাক-বাদ্য আর মণ্ডপের আলোকচ্ছটা দেখেছি বহুবার।
প্রায় এক দশকের বেশি সময় ঘুরে ঘুরে পূজো দেখা হয়নি। ২০১১-তে ঠিক করে রেখেছিলাম প্রতিমা তৈরি দেখতে হবে। ঘুরতে ঘুরতে হাজির হয়ে গেলাম গণকপাড়ার বৈষ্ণব সভার দোরে, ভেতরে কারিগরেরা তখন মহাব্যস্ত।
একটা মেগাসিটিতে থাকি আরেকটাতে অর্ধেক জীবন কাটায়ে আসছি, উঁচু বিল্ডিং মনুমেন্ট দেখছি। ঢাকায় বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তিরিশ তলা উঁচু বিল্ডিং দেখেছি, টরন্টোর স্কাই ক্র্যাপার, এমন কি এক সময়ের মানুষের তৈরী উঁচুতম দালান সিএন টাওয়ারও দেখা হয়েছে, হচ্ছে। সেইসব উঁচু বিল্ডিং সব জুড়ে দিলেও এই পর্বতের সমান হবে না। এরকম কিছু আমি বাস্তবে কেন, স্বপ্নেও দেখি নাই। অনুভূতির কোথাও লুকিয়ে থাকলেও থাকতে পারে। দৈর্ঘ্যে প্রস্থে উচ্চতা, গভীরতায়, অপ্রতিসমতায় কোনভাবেই কিছুর সাথে তুলনা আমি এই পর্বতের তুলনা করতে পারছিলাম না। ফেরার পথে অবশ্য এই পর্বতকেই রীতিমত টিলার মত লাগছিল!!!