[justify]
সেই ছেলেবেলায় কবে কোন এক অপ্রকৃতগ্রস্ত মহিলা বলেছিল, আমার নাকি বিদেশযাত্রা নাই কপালে, শুনে যারপরনাই হতাশ হয়েছিলাম। কেন জানি হাত দেখতে পারে এমন কাউকে পেলেই জিজ্ঞেস করতাম আমার-বিদেশযাত্রা আছে কি না। এত কিছু থাকতে বিদেশযাত্রার কথাই কেন জানতে চাইতাম ঠিক নিজে ও বলতে পারবোনা। এই পাগলামি করেছি বুয়েটে পড়ার সময় ও, এক বন্ধু একবার বলেছিল তার কোন এক বন্ধু হাত দেখতে পারে, তার কথা নাকি বেশ ফলে ও যায়। কিন্তু তাকে হাত দেখাতে হলে আবার অমুক জায়গায় তার সময়মত যেতে হবে। সেখানে ও গিয়েছিলাম, সে ও নাই বলেছিল। সবাই কমবেশি নাই বলতো। এই না কে হা করতেই কি না জানিনা আমার বারবার ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। পাগলের মত খালি ঘুরতে ইচ্ছে করে। মনে হয় এই বিশ্বের এক ফালি জায়গা ও যেন বাদ না যায় যেখানে আমি পা ফেলি নাই।
প্রতি বছর চেয়ার ভেঙ্গে পড়ে যেয়ে ২৫ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে সারা বিশ্বে।
প্রতি বছর রুটি গরমের টোস্টার বিস্ফোরিত হয়ে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটে সারা বিশ্বে।
বাংলা অনুবাদে ‘বন্দরের বাজার’ বললেই তো মনটা উল্লসিত হয়ে ঊঠে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের অনেক নৌবন্দরে ভুরিভোজের আনন্দময় অভিজ্ঞতা আছে। গোয়ালন্দ ঘাটের সেই ঝুপড়ি হোটেলে মধ্যরাতে ইলিশ মাছের ঝোলে মাখা মোটা চালের ভাত আর মাওয়া ঘাটের টমেটো মেশানো কাতল মাছের পেটি খাওয়ার সুখস্মৃতি দুই দশক পেরিয়ে গেলেও তো ভুলতে পারিনি আজও। মাছেভাতে এক বাঙালির জন্মভুমি থেকে সাত সমুদ্র আর তের নদী পেরিয়ে সুদূর মন্তেভিদেওতে গ্রীষ্মের এক মধ্যাহ্নভোজের অভিজ্ঞতা নিয়েই আজকের এই আয়োজন।
Mercado del Puerto মানে পোর্ট মার্কেট। অবস্থান একেবারে উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদেওর নৌবন্দরের মূল ফটকের উল্টোদিকে। কলোনিয়াল স্থাপত্যশৈলীর এই ভবনটি স্প্যানিশরা প্রায় দুই শতক আগে বানিয়েছিল প্রাতাহিক বাজার হিসেবেই। মাছ, মাংস, ফল, সবজি সবই কেনাবাচা হত সেইসময়। কালের বিবর্তনে এই ভবন আজ রূপান্তরিত হয়েছে নিরামিষীদের নরকে! ১০০% মেছো বাঙ্গালীও খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না এখানে গিয়ে! এই দুই শ্রেণীর বাইরে যারা আছে তারা সাদরে আমন্ত্রিত সপ্তাহের প্রতিটি দিন মধ্যাহ্নভোজের স্বর্গীয় সুখের অন্বেষণে!
শেষ ট্রেকিং এ গিয়েছিলাম বছর দুয়েক আগে, সান্দাকফু, নেপাল-ইন্ডিয়ার বর্ডারে, পশ্চিম বঙ্গের সর্বোচ্চ চূড়া। সচলে লেখাও দিয়েছিলাম দু পর্ব। কিন্তু আলসেমি আর মেরুদন্ডের স্পন্ডালাইসিস রোগে আর লেখা হয়ে উঠেনি। এর পর বেশ কবারই হিমালয়ে যাওয়া হয়েছে কিন্তু ট্রেকিং করে নয়, পরিবার নিয়ে সাইট সিয়িং ধরনের। নিরাপদ দুরত্বে দাঁড়িয়ে পর্বতের দিকে তাকিয়ে আহা উহু করা। তাই অনেকদিন ধরেই প্ল্যান করছিলাম আরেকটি ট্রেকিংয়ের। ইচ্ছ
এই যে, প্যাঁচালের পয়লা ভাগ---
[justify]
পরিচিত বহু লোকজনের মতে এ অধম মেয়ে হিসেবে তৃতীয় শ্রেণী [রান্নাবান্না পারে/ করে না,
মুরাদ টাকলা/সানি লিওনকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেয় না, শ্যাডো-লিবিষ্টিক মাখে না, কালেভদ্রে আইলাইনার লাগাতে গেলেও ছড়িয়ে ফেলে]
আর কলিগ/ টিম মেম্বার হিসেবে প্রথম শ্রেণীর।
মানুষ হিসেবে কেমন, হেইডা কেউ কয় না। এখনো হইনি বোধহয়।
শুনেছি আমার জন্মের সময় পৃথিবীতে এক দেশ ছিল, যাকে ডাকা হত যুগোশ্লাভিয়া নামে, অনেকে আবার বলত ইয়ুগোশ্লাভিয়া। সেখানে স্লাভ জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা থাকত বলেই জানতাম, বছর কয় পরেই শুনি সেই দেশ ভেঙ্গে বেশ কটা আলাদা আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, চলেছে সেখানে রক্তক্ষয়ী লড়াই, গণহত্যা, যুদ্ধের নৃশংসতা। সাবেক যুগোস্লাভিয়াসহ আরও কিছু ভূখণ্ড নিয়ে বলকান পর্বতমালা থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বেশ কিছু