সতর্কীকরণ – নিরামিষভোজীদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
রিও মহানগরীতে পা দেবার পরপরই ইসাইয়াস সেরণা বলল যেহেতু এটা আমাদের একসাথে ভ্রমণের শেষ গন্তব্য, আমাদের অবশ্যই উচিৎ হবে রিও সৈকতে আচ্ছাসে গড়াগড়ি করার পাশাপাশি একদিনের জন্য হলেও চুরাস্কোতে যাওয়া।
চুরাস্কো ? সে কী আচানক বস্তু? খায় না মাথায় দেয়?
বলিভিয়া, পৃথিবীর এক অজানা রহস্যঘেরা দুর্গম অঞ্চলের নাম।
প্রিয় শহর এথেন্সের আস্তানা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাকপাকারে হোস্টেলে ফিরেছি কেবল, সারা দিন ব্যপক হাঁটাহাঁটি হয়েছে এথেন্সের অলিগলি ধরে, এমন শহর যে মর্ত্যে আছে তা ভাবতেই কেমন অজানা রোমাঞ্চে রোমগুলো দাড়িয়ে যায়, অন্তত ১৫টা স্থাপত্য আছে যার প্রতিটার বয়স ৩৫০০ বছর এই একই শহরে!
কুক্কুরুক্কু –কু- কু- ক্কু
যদিও পাখির নীড়ের মতো চোখ তুলে “এতদিন কোথায় ছিলেন?” প্রশ্ন করার মত কোনো অনুরক্ত পাঠিকা আমার জন্যে বসে নেই, তবুও কৈফিয়ত দিয়ে রাখা ভাল যে কিছুদিন আমি নেদারল্যান্ডস-বেলজিয়াম ভ্রমণে লাপাত্তা ছিলাম। মানে যেধরনের ভ্রমণে চিত্তের স্ফুর্তি ও উদরের স্ফীতি হয়ে থাকে এক্কেবারে সেরকম ভ্রমণ। বলাবাহুল্য কনফারেন্সের ছুতোয়।
শীতের মধ্যে হুট করে কুয়াকাটা যাওয়ার পিনিক উঠলো- সাগর দেখিনা বহুদিন। পোলাপাইন অর্থাৎ রিমন,কিরন, আমি মিলে সিলেট থেকে রওনা দিলাম ঢাকা, ঢাকায় তাবু রাখা ছিল- ঢাকায় জুটলো দুইজন- রফি ভাই এবং তুর্য। ঠিক হল তিন দিন এর ট্যুর হবে সুতরাং তিন দিনের রসদ কিনে নিলাম রেডি মিক্স খিচুড়ি, নুডুলস- চকোলেট, চা চিনি ইত্যাদি- বালিশ ছিলনা পাঁচ টা ইনফ্লাটেবল বালিশ কিনে নিলাম বায়তুল মোকাররম থেকে। সিলেটে এবং ঢাকায় তখন