শ্রীমঙ্গল এবং সিলেটে থাকার এবং যাতায়াতের বেশ সুব্যবস্থা ছিল। সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। আমরা শুধু গিয়েছি, থেকেছি আর ঘুরেছি। সেদিক থেকে সুনামগঞ্জ আমাদের ঘোরাঘুরিটা বেশ অ্যাডভেঞ্চারাস হবে বলে ধরে নিয়েছিলাম। ওখানে আগে থেকে কিছুই ঠিক করা ছিল না। কথা ছিল আমরা গিয়ে একটা হোটেলে উঠবো এবং যেভাবে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেভাবেই যাবো। বান্ধবী সুচেতার বাবা-মা কিছুদিনই আগেই হাওড় থেক
টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার মাঝেই সিদ্ধান্ত নেয়া ছিল যে পরীক্ষার পর ঘুরতে যাব। পরীক্ষা শেষের সাথে সাথেই ঠিক করে ফেললাম এবার গন্তব্য সিলেট। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেয়া হল। ইচ্ছা জাফলং, মাধবকুণ্ড, হাম হাম, শ্রীমঙ্গল কোন কিছুই বাদ দেয়া হবে না। সবার কাছেই পর্যাপ্ত টাকা থাকলে টাঙ্গুয়ার হাওড় ও দেখে আসা হবে। দিন টা ছিল সম্ভবত জানুয়ারীর ২৫ তারিখ। প্রতিদিনের সন্ধ্যার আড্ডায় গিয়েছি। হঠাৎ দেখি ইমন আর তৌহিদ
তাজউদ্দীন স্যারের ক্লাস মানেই হই হই দৌড়া দড়ি করে ক্লাসে ঢোকা। তাই আগের ক্লাস টা শেষ করেই একমিনিট দেরি না দোতলা থেকে নিচতলায় নেমে যাই। আজ কাল ক্যাম্পাসটায় ও মানুষ গিজ গিজ করে। লিফটের সামনে গিয়ে দেখবো ইয়া বড় লাইন। তার চেয়ে ভালো আগে যাওয়া।
সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলের দূরত্ব ৮৭ কিলোমিটার। আমরা সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে শ্রীমঙ্গল থেকে রওনা হলাম। সারাদিন পিক-আপের ছাদে বসে হৈ-হুল্লোড় করে ঘুরে বেড়ালেও সন্ধ্যার পরের বাতাসে তা বেশ কঠিন হয়ে উঠছিল। আমাদের শীতবস্ত্র ভর্তি ভারী ব্যাগ দেখে মুচকি হেসে দিনের বেলায় শীত অবশ্য উধাও হয়ে গিয়েছিল। সকল শীতবস্ত্রের ব্যবহার তাই আমরা সন্ধ্যার পরের এই পিক-আপ ভ্রমণেই করছিলাম। যাই হোক, ঘন্টা দুয়েক শীতে কাঁপাকাঁপি কর
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর থেকে লম্বা লম্বা টার্ম ফাইনালগুলো একটাই আশায় বুক বেঁধে শেষ করি। পরীক্ষা শেষ হলেই ঘুরতে যাবো!