জীববিজ্ঞানে ভাইরাসের কর্মকাণ্ডের বড়ো ভাগের জন্যে দায়ী যেমন তার প্রাতিসাম্যিক রূপায়ব বা আকার (Shape) তেমনি আমাদের ‘মিডিয়া’ও প্রতিসাম্যের আয়নায় নিজেকে বারবার দেখে নেয়। তবে সবাই নয়; কারণ সবাই পারেন না। হঠাৎ ‘মিডিয়া’ বিষয়ে আমার আগ্রহের কারন সম্ভবত এই যে, শব্দটির সঙ্গে আমার নতুন পরিচয়। পরিচিত জনেরা কথাটি শুনে হাসেন কেননা বয়সের পাল্লায় আমি বেশ ওজনদার। যদিও সম্প্রতি সুহৃদদের নানামুখী আলোচনায় আমি একটি প্রতিযুক্তিই দিয়েছিলাম যে- আমরা সেই দলের বয়স্ক, যাদের সর্বনামে চন্দ্রবিন্দু লাগে না, অতএব এ বেলাতেও কয়েকটি শব্দ নতুন ঠেকা একেবারেই অসম্ভব নয়।
সলোমন আইল্যান্ডের স্টলের সামনে এক বিশাল দেহী রাজার ছবি রাখা, তার সামনে দাঁড়িয়ে এক সলোমন আইল্যান্ডার সেই রাজার গুণগান করে যাচ্ছে। তার বর্ণনার শেষ দিকে উচ্ছাস কমে এসে দূরবর্তী বিষাদের ছোঁয়া, সারমর্ম করলে দাঁড়ায়, "আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম"। তারপর? "দেন দ্যা ইউরোপিয়ান কেইম, এন্ড মেসড এভরিথিং"। আমার সাথে অ্যামেরিকান রেড ইন্ডিয়ান কারো সাথে দেখা হয়নি কখনো, তবে আন্দাজ করতে পারি, এই বিষয়ে তাদের কী বলার থাকতে পারে।
আজকে অনেক কিছু লিখব ভেবে বসেছিলাম, অথচ কেন জানি উপরে শিরনামটা লিখেই হাত থেমে গেছে! যদিও এটা আমারই দোষ, চরিত্র মাফিক রাগ-জেদ, আহ্লাদ, আব্দার সব বাজে স্বভাব খুব সহজে বাড়াবাড়ি মাত্রায় প্রকাশ করতে পারলেও, কখনো নিজের ভালোবাসার কথাটাই সুন্দর করে গুছিয়ে বলতে পারিনা!
খুলির ভেতর থেকে মগজ চুরি গেছে কখন জানি। তাই কয়েক মাসের মরিয়া চেষ্টার পরেও জমে থাকা কিছু কাজের কোন গতি হচ্ছিল না। এই অবস্থায় সিদ্ধান্ত নিলাম কোন এক উইক এন্ডে দূরপাল্লার বাস ধরে দূরে কোথাও চলে যাব। ঝোঁকের মাথায় একটা ক্যামেরাও কিনে ফেলেছি, তার একটা রোডটেস্টও করা দরকার। এদিকে পাশের শহর থেকে বাদলদার ফোন, সে গাড়ী চালিয়ে ফ্লোরিডা যাবে, সেজন্য একজন হেল্পার দরকার। চ্যাপেল হিল থেকে বেরিয়ে নিকারাগুয়া কি সাহারা যেখানেই হোক না কেন, আমার যেতে কোন আপত্তি নেই। যাত্রাটাই আসল, গন্তব্য কোন ব্যাপার না,তাই চট করে রাজী হয়ে গেলাম।
ছেলেবেলায় অন্নদাশঙ্কর রায়ের 'পথে প্রবাসে' গ্রন্থ থেকে 'পারী' পড়েছিলাম মাধ্যমিক পরীক্ষার পাঠ্যসূচীতে। তখনকার তরুণ মনের চোখে সত্যিই প্রবন্ধটি মায়াপুরীর অঞ্জন এঁকে দিয়েছিল। আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল 'পথে প্রবাসে' বইটি পড়ার। কিন্তু সেই দশম শ্রেনী থেকে শুরু করে দশটি বছর খুঁজেও বইটি পাইনি। তাই গতমাসে যখন ময়মনসিংহের 'আজাদ অঙ্গনে' বইটি আবিস্কার করলাম তখন আমার দশা হাতে চাঁদ পাবার মত। পাইরেট করা জেরক্স কপি
সতর্কীকরণ- কেবলই ছবি, লেখার কোন বালাই নেই। বিলাতফেরত এবং লন্ডনের অধিবাসীদের জন্য অবশ্য দর্শনীয় নহে!!
ডিসক্লেইমারঃ এই পোস্টের কোন ছবি কোন রকম পোস্ট প্রসেসিং করা হয়নাই।
পায়ের তলায় সর্ষে অলা এক পর্যটকের ভয়ে আজকাল সচলে ভ্রমণ ব্লগ দিতে কলিজা লাগে, ডুপ্লিকেট পোস্ট হয়ে যায় কিনা এই আশংকায়। অনেকদিন ধরে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পরে ধারণা হইল, উনার পাসপোর্টে সীল ছাপ্পরের বহর দেখে আম্রিকান সরকার নির্ঘাৎ তেনারে সন্ত্রাসী ঠাউরেছে, এখনো এই ভু-খন্ডে পা দিতে পারেন নাই। উনি পোস্ট দেবার সুযোগ পাবার আগেই তাই একখানা পোস্ট ঠুকে দেই এই বেলা ভেবে লেখার সাহস করলাম।