আনিসভাই যেমন সচলাড্ডায় জমিয়ে শরৎচন্দ্র পণ্ডিত ওরফে দাদাঠাকুরের গল্প শোনাচ্ছিলেন, তেমনই আমারও ওনার একটা দারুণ রসিকতা মনে পড়ে গেল। একদিন দাদাঠাকুর বলছেন কাজী নজরুল ইসলামকে, “বুঝলি, হিন্দুদের দেবতা খোদার খোদা।” কাজীসাহেব তড়িঘড়ি বললেন, “দাদা, আমার কাছে বলেছেন সে ঠিক আছে, কিন্তু আপনি অন্য কোনো মুসলিমের কাছে এ কথা কইতে যাবেন না যেন!”
দাদাঠাকুর হেসে বললেন, “আরে, তুই এমন রসিক লেখক হয়ে এটা বুঝলিনে?
সেটা ‘আর্লি নাইন্টিজ’, কলকাতার ভিআইপি রোডের তখন কিশোর বয়স, আর বয়সোচিত মাখনের মত ত্বক। বরিশালে আমাদের দ্যাশের বাড়ি থেকে এক কাকা এলো বেড়াতে, বাবা তাকে স্কুটারে করে ওই রাস্তায় একপাক ঘুরিয়ে আনার পর মন্তব্য এসেছিল, “Zhaকুনি লাগে!”
প্রথম অংশ - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42365
দ্বিতীয় অংশ - http://www.sachalayatan.com/guest_writer/42401
আমার অফুরন্ত আলসেমির বদৌলতে শেষ পর্বটা দিতে দেরি হওয়ার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। আমাদের আজকের ভ্রমণ ঈশ্বরগঞ্জ থেকে ঢাকা ভায়া কুতুবপুর, রয়েলবাড়ী, নান্দাইল।
রোজার মাসটা কোনো ছুটি ছাড়া টানা অফিস করে একটা কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম আর তা হলো এবার ঈদের ছুটিতে অবশ্যই কোথাও যাবো। ক্যাম্রার অবস্থা ভালোনা, তার মধ্যে রোয়েনা বর্তমানে ক্যাম্রাহীনতায় ভুগছে, তারপরও এই সঙ্কল্প থেকে এক চুলও টলবোনা বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম। কিন্তু শালার, যাবোটা কোথায়? ঈদের পর তো বাংলাদেশের ঘুরাঘুরি করার মতো সর্ব অঞ্চলে মানুষের ভীড়ে টেকা দায় হয়ে যায় ... তবে ... তবে ... আমাদের কি আর কোথাও যাওয়া হবে না? পরিস্থিতি যখন এতটাই ঘোলাটে ঠিক তখন প্রমিথিউসের মতো এক খাবলা আগুন হাতে আসমান থেকে নেমে এলো ‘কাউয়া’। কা ... কা ... রবে জানান দিলো যে এবার ঈদের পর বিক্রমপুর যেতে নাকি কোনো বাধা নেই। কারন, আবুইল্লা বা ফারুইক্কা কেউ ‘এই ঈদে কম কম বিক্রমপুর যান, জীবন উন্নত হবে’ টাইপ বক্তব্য দেননি। সুতরাং আমাদের সামনে সম্ভাবনার সমস্ত দুয়ার চিচিং ফাক করে খুলে গেলো।
শিরোনাম পড়ে ভড়কে যাবেন না যেন। এই মোল্লা কাঠমোল্লা নহে। মোল্লা আমার স্কুল জীবনের প্রাণের বন্ধু, একদম ছোট্টবেলার বন্ধু। ওর ডাক নাম মল্লিকা, মল্লিকা থেকে মোল্লা। স্কুলে আমরা পাশাপাশি বসতাম ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত। মোল্লা ছিল আমার ‘শেষ ভরসা’ যাকে বলে। তার বাবা বেশ কড়া ছিলেন পড়াশুনার ব্যাপারে। সেটা আমার জন্য বেশ ভাল ছিল। কেমন করে?