নাচুঁনে বুড়ি আমি আগেই ছিলাম। বহু কষ্টে নিজেকে গৃহবন্দী করে রেখেছিলাম গত ৪টা বছর। কিন্তু তারেক অণু-র ঢোলের বাড়িতে আর সাম্লাতে পারলাম না নিজেকে। তাই তেহজীব যখন বলল যে বলেন কই যাবেন, সব খরচ আমার তখন আর না করতে পারলাম না। অনেক বার ঠিক করার পরেও বিরিশিরি যাওয়া হয়ে উঠেনি এর আগে। তাই গত ১ ডিসেম্বর ২০১১ সকাল বেলা রওনা হয়ে গেলাম ক্যামেরা হাতে। এটি সেই এলোমেলো ভ্রমণেরই গল্প।
অনেক দিন যাবতই ভাবছি এই যান্ত্রিক জীবনটা ছুড়ে ফেলে কদিন একটু সুতো ছেড়া ঘুড়ির মতো হারিয়ে যাবো। দুই বন্ধুকে ফোন দিয়ে প্রস্তাব দিলাম। এক চাচাশশুরকে ধরে বিনা পয়সায় সরকারি বিশ্রামাগারের ব্যবস্থাও করে ফেল্লাম।।অনেক দিন ঝিকঝিক রেলগাড়ি চড়া হয়না, তাই যুদ্ধ করে টিকিট কাটলাম কমলাপুর থেকে। যাত্রার আগের দিন বন্ধু মিনমিন করে বলে দোস্ত বউ ছাড়া যইতে পারুমনা!!
এই তো এই গ্রীষ্মের কথা , মানে মার্কিন হিসাবে জুন থেকে অগাস্ট, স্কুল তিন মাসের ছুটি , আমি মেরিল্যান্ড থেকে কালিফোর্নিয়াতে | google map এ সারা পৃথিবী চষে বেড়াই, এই তো মাউস এ একটা ক্লিক আর আমি প্রশান্ত মহাসাগর এ , আর একটু এগোই তো মেক্সিকো | এভাবে কি আর কাজ করা যায় ? এমন হাতের নাগালে পাহাড় আর সমুদ্র এমন লোভ দেখাচ্ছে তো আমি কী কোরে আর ডেস্কএ বসে কেবল মাউস আর কিবোর্ড নিয়ে থাকি !
প্রথম দিন একসাথে ছয় জায়গায় ঘুরতে অনেক ভাল লাগছিল কিন্তু ব্যাপারটা ছিল অনেক সুস্বাদু খাবার খেয়ে বদ হজম হওয়ার মতো, পায়ের এতো খারাপ অবস্থা হলো যে মনে হচ্ছিল এখনি অস্ত্রপাচার করতে হবে।যাই হোক পা টা কে অনেক মালিশ টালিশ করে আমরা দ্বিতীয় দিনের সফরে বের হলাম।গন্তব্য Musee de Louvre(লুভর যাদুঘর)।
এমাসের প্রথম দিকে আমি আর আমার বর ছোটখাটো এক আমেরিকা ভ্রমনে যাই। টিভিতে একটা শো হয় "দি এমেইজিং রেইস" নামে যা আপনারা অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন। আমাদের আমেরিকা ভ্রমন অনেকটা তেমনই ছিল। মোট ১০ দিনে আমরা আমেরিকার ৩ স্টেট এর ৭টি শহর বেড়িয়েছি, বলা যায় প্রতিদিনই এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা যেতে হয়েছে, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সব করতে হয়েছে, কত কি ঘটেছে। এসব ঘটনাগুলো এখনে শেয়ার করছি।
[i]