২৬ জুলাই, ১৯৫৩। নিজ দেশের স্বৈরশাসক সেনাবাহিনী প্রধান বাতিস্তার নির্মম শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবের অগ্নিশপথ নিয়ে মোনকাদা নামের এক সেনাব্যারাকে আক্রমণ করলেন একদল বিপ্লবী, নেতৃত্বে ফিদেল কাস্ত্রো নামের এক তরুণ আইনজীবি। দেশমাতৃকার উপর চলমান দমন পীড়নের বিরুদ্ধে হাতের অতি অপ্রতুল সম্পদ নিয়েই ছোট ভাই রাউল ও অন্যান্য বন্ধুদের মন দ্রোহের মন্ত্রে উদ্দীপ্ত করেই সেই আক্রমণ থেকে বার্তা পৌছাতে চাইলেন শাসক গোষ্
প্রশান্ত মহাসাগরের সুনীল জলরাশি, যে দিকেই তাকানো যায় না কেন থৈ থৈ অতল নীল জল দিগন্ত পর্যন্ত বিস্তৃত। এই উথাল-পাথাল ঢেউ-এর মাঝেই গাছের গুড়ি দিয়ে তৈরি ক্ষুদ্রাকৃতির নেহাৎ পলকা দর্শন এক ভেলা বিপুল জলসীমানা চিরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে আপন গন্তব্যে, ছয় জন দুঃসাহসী নাবিক এর সওয়ার, তাদের মধ্যমণি হয়ে আছেন প্রাতঃস্মরণীয় এক নরওয়েজিয়ান, স্ক্যান্ডিনেভিয়ার পুরাণকথার হাতুড়ির আঘাতে বজ্রপাত ঘটানো দেব
খুব গল্প শুনি স্টকহোমের। সেখানে যেই ঘুরতে যায়, ফিরে এসে উচ্ছাস ভরা কণ্ঠে বলতে থাকে স্টকহোমের কথা, যাকে বলা হয় City on Water। নোবেল প্রাইজের কথা, সেখানকার গামলা স্টানের (পুরনো শহর) বর্ণিল বাড়িঘর, সরু সরু আঁকাবাঁকা শত বছরের পুরনো রাস্তা, রাজার প্রাসাদ, অসংখ্য সেতু আর শহরের বুক চিরে যাওয়া খালের অপূর্ব সমন্বয় আর সদা হাস্যরতা স্বর্ণকেশী সুইডিশ তরুণীদের কথা। মুগ্ধ হয়ে তাদের বয়ান শুনতে থাকি, কল্প
ধর্মতলার ব্যস্ত ফুটপাত দিয়ে বছর পনের আগে জনতার স্রোত ঠেলে মা হাঁটছিল আমায় একহাতে ধরে রেখে। অন্য হাতে ঝুলছিল পাটের একটা ব্যাগ, ওতে“ ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়” থেকে এক আত্মীয়ার বিয়ের জন্য সদ্য কেনা শাড়ী। ধর্মতলার ধর্ম বজায় রেখে লোকজন হন্যে হয়ে ছুটছে; কারো প্রতি কারো ভ্রুক্ষেপ নেই। এমন সময় হঠাৎ কোথা থেকে যেন ভেসে এল ক্ল্যারিনেটের অমোঘ একটা সুর। ধর্মতলার সবগুলো কর্কশ শব্দ তাতে ম্লান হয়ে গেল, কোলকাতার দুপুরক
“ আমার ভাবতে পারাটা প্রমাণ করে যে আমি আছি।” কথাটা বলে একটা দর্শণচিন্তার জন্ম দিয়েছিলেন রেনে দেকার্ত। আজ থেকে বছর পাঁচেক আগে যখন ডরোথী নামের এক ফরাসী তরুনীর সাথে হঠাৎ আলাপ হয় চট্টগ্রাম আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ-এর ছোট্ট কাফেতে, তখন সবে দেকার্ত-এর নাম শুনেছি, জেনেছি ফ্রান্সের পশ্চিমদিকের শহর পোয়াতিয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে কালক্রমে আধূনিক দর্শণের পুরোধা বনে যান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুর