শঁবেরী( chambery) স্টেশনে নেমেই শুনলাম ঝামেলা। গ্রোনব্ল( Grenoble) যাবার ট্রেনরুটে নাকি কাজ চলছে। তো কী হবে এখন?
২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে আমরা তিন বন্ধু (এবং কলিগ) ট্রেকিং এ (জয় করেছি বলতে কিঞ্চিত লজ্জা হচ্ছে) গিয়েছিলাম পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ চূঁড়া সান্দাকফু হয়ে কাঞ্চনজংঘার খুব কাছে ফালুট পর্যন্ত। বিগত কয়েক বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের কেওকারাডং সহ ছোট বড় নানা পাহাড় ঘুরে নিজেদের বেশ কেউকেটা মনে হচ্ছিল আর তাই সিদ্ধান্ত নিলাম এবার সিরিয়াস একটা ট্রেকিং করতে হবে। সে লক্ষেই বেশ কিছুদিন ওয়েবসার্ফিং করে শেষ পর্যন্ত ঠিক
"The quickest way to learn about a new place is to know what it dreams of."
-Stephen King
আমি কখনোই মা হতে চাই না।
- সুমাদ্রি শেখর।
সেই সকাল থেকে হাঁটছি। রুম থেকে বেরুনোর আগে শুকনো দুটো রুটি চিবিয়ে এ কদিনে চুপসে যাওয়া পেটটাকে একটু আদর করে বলেছিলাম, " এই তোর সুযোগ, এ বেলা যদি না ঝরঝরে, নির্মেদ হতে পেরেছিস তো, আর কখনোই পারবি না।" কখনো কখনো এভাবেই উদ্ভট সব প্রবোধ দিতে হয় নিজেকে।
লো সিয়েন্তো সেনিওরা।মাদ্রিদের বুড়িমা
- সুমাদ্রি শেখর।
ইউরোপে গ্রীষ্মের বড়ই কদর। কেন? ওমা, জাননা বুঝি, ঐ মহাদেশটা প্রায় সারাটা বছর শীত আর ইলশে গুড়ি বৃষ্টির হাতে নাকাল হয় যে! গরমের কটা দিন এসেই তো ওর বুকে ফুল ফোটায়।
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণঃ ইহা একটি হাতি পোস্ট
উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে অ্যামেরিকা এসে এমনি বিনোদনের জন্য ঘুরে বেড়ালে তো হবে না, তাই ট্যুরের এবারের অংশটাকে শিক্ষা সফরের রূপ দিতে পরবর্তী গন্তব্য বেছে নেয়া হয় হার্ভার্ড আর এমআইটি ক্যাম্পাস । নিউ ইয়র্ক ছেড়ে এবার পা বাড়াই বোস্টনের দিকে, বাহন মেগাবাস। বাসে উঠার পর নিজেকে সবজী আর বাসকে ডীপ রেফ্রিজারেটর মনে হতে থাকলো। কোন উত্তেজনা ছাড়াই কাঁপতে কাঁপতে ভোরবেলা যখন বোস্টনে পৌঁছালাম তখন হাত পা পুরোপুরি জমে গেছে।
[justify]এই গ্রীষ্মে - ক্যালগেরির পথে।। এই গ্রীষ্মে - দ্যা গ্রেটেস্ট আউটডোর শো অন আর্থ।। রাতে যখন ডেরায় ফিরলাম রাত তখন প্রায় বারোটা বেজে গেছে। সারাদিনের ধকল আর ঘোরাঘুরির পর একটা কাজেরই শুধু উৎসাহ ছিল। তাই আপুদের সাথে গেলাম ওখানকারই এক ভাইয়ার বাসায়; চূড়ান্ত আয়োজন, পোলাও, কাবাব, খাসী, মুরগী, মাছ, সালাদ আর খাওয়া শেষে আইস্ক্রীম, কোক। কানাডা আসার পর অনেকদিন এরকম স্বাদের রান্না খাইনি। আমরা 'পরের বাসা' মনে করে খাওয়া দাওয়া সেরে নিলাম। তাছাড়া পরের দিনের জন্যে মাইটোকন্ড্রিয়াগুলোকে রিচার্জ করে নেওয়াও হয়ে গেল।
এক আলো ঝলমলে গ্রীষ্মে গাড়ী নিয়ে ফিনল্যান্ড থেকে রওনা দিলাম জার্মানির উদ্দেশ্যে। ইচ্ছা ছিল যতখানি সম্ভব ঘুরে দেখব বিশাল জার্মানির যতটা সম্ভব- বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত, গাঢ় সবুজ উপত্যকা, অট্টালিকাময় শহর, দুর-দূরান্তে ছড়িয়ে থাকা কোলাহল মুখর জনপদ, নদী বিধৌত অববাহিকা, গহীন বন, তুষার ঢাকা পর্বত, বন্দর নগরী, পথ চলতে হঠাৎ পেয়ে যাওয়া নির্জন নিরিবিলি গ্রামগুলি- যাই আসুক না আমাদের যাত্রাপথে। সঙ্গী অপু,