‘মরার আগে করতে হবে’ ধরনের যে তালিকাটা আছে আমার, তার বেশ উপরের দিকেই ছিল— স্কাই ডাইভিং, বাঞ্জি জাম্পিং আর স্কুবা ডাইভিং। অস্ট্রেলিয়ার কেইর্নস বেড়াতে গিয়ে এক অভিযানেই এ তিনটি করার সুযোগ হয়েছিল আর সে অভিজ্ঞতা নিয়েই এই লেখা। আজকের পর্ব ট্যান্ডেম স্কাই ডাইভিং।
ধলপহর। নিশ্চুপ নিস্তব্ধ চারিদিক, মৃদুমন্দ হাওয়ায় কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ার মত রহস্যঘন কুয়াশা ঘিরে আছে চারিপাশ, চোখের দৃষ্টি কয়েক গজ সামনে সেই ধোঁয়াটে পর্দার অন্য পারে কি আছে সেই সুলুক সন্ধানে ব্যকুল। এর মাঝে আমরা চলেছি শিমুল কাঠের ক্যানুতে চেপে রূপতি নদী বিহারে, উদ্দ্যেশ্য সত্যিকারের বুনো কুমির আর ঘড়িয়াল দর্শন! স্থান- নেপালের সুবিখ্যাত চিতোয়ান বন।
সর্পিল পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে গাড়ী ছুটে চলেছে আফ্রিকা মহাদেশের সর্ব দক্ষিণের প্রান্তবিন্দু কেপ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে, কেপ পয়েন্ট থেকেই নাকি আটলান্টিক মহাসাগর আর ভারত মহাসাগরের মিলন স্থল দেখা যাবে, দুই বিপুল জলরাশির মিলনস্থলে চলছে প্রতিনিয়ত এক বিশাল কর্মযজ্ঞ, দুই স্রোতের জলের রঙটাও আলাদা, যেমন আলাদা লাগে পদ্মা- মেঘনার মিলনস্থলে, এখানে শুধু আরও অনেক ব্যপক আকারে।
মাঝখানে নিষ্ঠুর জীবনের উথাল পাথাল নানান টানাপোড়নে ধারাবাহিক এই লেখায় লম্বা একটা বিরতি পরে গেলো। তাই হয়তো কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছি। সে যাই হোক, আগের পর্বে ‘চলবে’ লিখে ফেলেছি বলে কথা। এখন না লিখলে পরে মুখ দেখানো বন্ধ হয়ে যাবে।
আমার ধারনা প্রাচীন মিসর এর বাসিন্দারাই প্রথম বলেছিল প্রতিটি মানুষ ব্যাক্তি ৬ বা ৭ টি ভিন্ন ভিন্ন উপাদান দ্বারা তৈরি। যদিও বাইবেল তিনটি উপাদান এর কথা বলে, এক – শরীর , দুই – আত্মা আর তিন - অতি আত্মা বা বিদেহী আত্মা। এই প্রাচীন মিসরীয়রা আমাদের ধারনার চাইতে বেশী বুদ্ধিমান ছিলেন এবং এসব ভাবার মত যথেষ্ট সময় এদের ছিল। আমি এসব ব্যাপারে নির্বিকার হলেও তাদের ধারনা যা বুঝেছি তাতে এই মানব শরীর ভিন্ন ভিন্ন তত্তের একক মুল ধারক, আমাদের দেহ কেবল রক্ত মাংসের একটি আবরন। অথবা সহজ করে বলা যেতে পারে আমাদের এই দেহ একটি বাড়ি ,যেখানে এইসব তারা মাঝে মাঝে থাকে, কখনো কখনো একসাথে। কিন্তু একটি সব সময়ই থাকে যা এই বাড়ি আলোকিত আর কর্মক্ষম করে রাখে।
২০১০ এর শুরুতে আমাদের একটা একটা রিসার্চ-পেপার প্রেজেন্টেশন এর জন্য একটি কনফারেন্সে নির্বাচিত হল। কনফারেন্সটি ছিল মালোশিয়ার লাংকাভিতে। অনেক খুশি ছিলাম আমরা। পেপার একসেপ্ট হয়েছে এইজন্য না আমরা খুশি ছিলাম দেশের বাইরে ঘুরতে যাব বলে । অন্য সবাই হয়ত পরিকল্পনা করতো কনফারেন্সে কি কি করা যায় সেটা নিয়ে আর আমরা করেছিলাম কোথায় কোথায় ঘোরা যায়, কিভাবে সারারাত আড্ডা মারা যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। অনেক অন
জীবনে কতকিছুই যে ইছা করত তার সীমা নেই। এই বুড়ো(!) বয়সে এসে একটা পূর্ণ করতে চেস্টা করছি তা হলো একটি ভালো মানের বই উপহার দেয়া।তাও অনুবাদ করে। এখন পাঠক খুজে পাই না । আপনাদের কাছেই আমার এই নিবেদন।
আমার প্রিয় একটা বই এর সম্পূর্ণ অনুবাদ করছি। যা আপনাদের পছন্দ হবে বলে আশা করছি। আপনাদের পরিচিত সলোমনের গুপ্তধন এর নায়ক এলান কোয়াটারমেইন এর আরো একটি বই। আপনাদের সমালোচনা আমাকে ভালো করতে উৎসাহ দিবে।
আমি তন্ময়, রুবেল এবং আল-আমিন খুবি ভাল বন্ধু বলতে গেলে আত্মার মিল। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম থেকেই আমরা বন্ধু এবং চলছে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে। আমাদের ৩ জনের অনেক মিল আছে বলেই আমরা বন্ধু। আমাদের ৩ জনের সবথেকে বড় মিল হল আমরা ঘুরতে পছন্দ করি। একটু ছুটি পেলেই হল আমরা ঘুরতে বের হতেই হবে; টাকা পয়সা কোন সমস্যায় না, কোন না কোন ভাবে যোগাড় হয়ে যায়। এরকম একটা ট্যুরের গল্প হল ২০০৯ সালের সেন্ট- মার
বাংলাদেশে খুব ছোটবেলাতেই আমাদের সাধারণ জ্ঞানের বই দেওয়া হত, অবধারিত ভাবেই সেই পাৎলা বইয়ের শেষের দিকে থাকত হাতে আঁকা ছবি দিয়ে পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ের( প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ, বর্তমান যুগ) মানুষের তৈরি সাতটি চোখ ধাঁধানো আশ্চর্যময় স্থাপত্যের বা আবিস্কারের কথা। যে গুলো মানুষের বিস্ময় উদ্রেক করে নির্মাণ হবার সময়কাল থেকে আজ পর্যন্ত, শত শত এমনকি হাজার হাজার বছর ধরে। সেই তালকায় স্থান পেয়েছে প
(১)
রাত আটটার সময় হঠাৎ সিদ্ধান্ত হলো আজ রাতেই ঢাকা ফিরতে হবে। কাজটা এমন ছিল যে আগে থেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার উপায় ছিলোনা। প্রফেসর ফরিদ কোনভাবেই সময় দিতে পারছিলেন না, আর সময় যখন আর হলো তখন রির্পোটটা জমা দেয়ার সময় পার হয়ে গেল। বাড়তি সময় পাওয়া গেল তিনদিন, কিন্তু ফরিদ সাহেবের কাজ আর শেষ হয়না। শেষ পর্যন্ত হঠাৎ মাহবুব সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন, কাজটা যতটুকু হয়েছে, ততটুকুই খসরা রির্পোট হিসেবে জমা দেয়া হবে এবং রাতের মধ্যেই ঢাকা ফিরতে হবে।