নিউ ইয়র্ক সিটির পাশেই একটা লম্বাটে দ্বীপ আছে লং আইল্যান্ড নামে, এবং সেখানকার স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটিতে আমার তিনটা বন্ধু নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে যাচ্ছে। তাদের জ্ঞান সাধনায় বিঘ্ন ঘটিয়ে নিউ ইয়র্কে আমাদের প্রথম দিনটাতে আমাদের সংগ দিতে রাজী করিয়ে ফেলি। বিকাল নাগাদ স্টোনি ব্রুকের বিরাট একটা দল এসে আমাদের সাথে যোগ দেয় দুইটি গাড়ী নিয়ে, আমাদের বন্ধুদের সাথে আরো চার জন। কুন্তল ভাই আর
[justify]
১.
পয়লা এপ্রিল এগারো সাল। রোজ শুক্রবার। খোশ মেজাজে অফিসে গিয়েছি। রাত আড়াইটার ফ্লাইটে ভারতে যাচ্ছি। দেশের বাহিরে প্রথম কোথাও যাওয়া, ভাল না লাগার কোন কারন নেই। ভারতের সর্বদক্ষিণবিন্দু কণ্যাকুমারিতে কনফারেন্সে গিয়ে একটা পেপার পড়ব, এই হল প্রাথমিক উদ্দেশ্য। কিন্তু শুধু একটা পেপার পড়ে দেশে ফেরত আসার লোক আমি না। অফিস পেপার রেজিস্ট্রেশনের শ'চারেক ডলার দিয়েছে, যাতায়াতের একটা সিংহভাগ দেবে, সাথে দিন সতেরো ছুটি তো আছেই। এত সব পেয়ে শুধু একা যাব বলে একটু এদিক সেদিক ঘুরব না, এটা তো কোন কাজের কথা না। আমি অকাজের লোক হতে পারি কিন্তু অতটা না। ভারতের পু্র্ব থেকে দক্ষিণ, দক্ষিণ থেকে উত্তর এবং উত্তর থেকে আবার পূর্বে ফেরার জন্য তাই প্লেন-ট্রেনের হাজার ত্রিশ টাকার টিকেট কেটে ফেলেছি। সব প্রস্তুতি শেষ, এখন শুধু শেষ মুহূর্তের অপেক্ষা। কিন্তু হঠাৎ করে দুপুরের পর সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে শুরু করল।
“I am America. I am the part you won't recognize. But get used to me. Black, confident, cocky; my name, not yours; my religion, not yours; my goals, my own; get used to me.” ~Muhammad Ali
'স্বদেশকে চেনে বলেই ওরা বিশ্বকে চিনতে পারে।' কারা? - এই প্রশ্নের উত্তর আমি জানি।
উত্তর: ফরাসিরা।
বেশিদিন এক জায়গায় থাকলে আমার দমবন্ধ হয়ে আসে, তাই সামার শুরু হতেই চাইছিলাম কোথাও ঘুরতে যেতে। টেক্সাসের ত্রিরত্ন মাহদী, মঈন আর নাফি নিউইয়র্ক, বোস্টন আর ওয়াশিংটন ঘুরতে যাচ্ছে শুনে ল্যাংবোটের মত জুটে গেলাম ওদের সাথে। প্রচন্ড জ্ঞানী(নিরাপত্তার অভাবে আঁতেল ব্যবহার করা গেলো না) মাহদী সবকিছুর পরিকল্পনা কয়েকমাস আগেই করে রেখেছে, এর চেয়ে আদর্শ ব্যাপার আর কিছুই হতে পারে না। আমার শুধু কষ্ট করে নিউইয়র্কে ওদের হোটেল পর্যন্ত যেতে হবে নিজের “লিমিটেড রিসোর্স” বুদ্ধি খাঁটিয়ে।
একদম এইরকমই উৎসাহ নিয়ে শিকাগোর উদ্দেশ্যে প্লেনে চড়ে বসেছিলাম। মনে আরো ফুর্তি ছিল, কারণ আমার পুরো প্লেনভাড়া ছিল মাত্র ১০ ডলার – ট্যাক্সটুকু – আসলটা ফ্রিকুয়েন্ট-ফ্লায়ার জমিয়ে কাটা। কিন্তু আমার প্ল্যানটা ছিল একটু ঘুরপথ। আমার এক বন্ধু পড়ে পারডু ইউনি’তে, সেখানেই প্রথমে গিয়ে, তার এবং এক সিনিয়রের সাথে শিকাগো যাওয়া হবে পরের দিন, ওই দাদাই ড্রাইভ করবে।
কোথায় যাচ্ছ ভেকেশনে? মে মাস শুরু হতেই এই প্রশ্ন প্রতিদিন আমার কলিগদের মুখে মুখে থাকে। আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজদের যেমন প্রতি বছর ওমরাহ্ হজ্জ্বে যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, সুইসদের কাছে ভেকেশনে যাওয়াটা অনেকটাই সেরকম। চলুন এই সামারে আপনাদের সুইজারল্যান্ড নিয়ে যাই, আজকের গন্তব্য জেনেভা,প্রথমে একটা ভিডিও দেখতে পারেন জেনেভা শহরের
দাপ্তরিক কাজে যশোরে এসেছিলাম। যশোর আমার পূর্ব পরিচিত। তরুণ জীবনের কিছু সোনালি দিন কাটিয়েছি এখানে। আমার সেই পরিচিত যশোর দুই দশকে ফেরে পাল্টে গেছে অনেক। বুড়ি ভৈরব আর নবগঙ্গার বুক শুকিয়ে গেছে, সবুজকে উপড়ে ফেলে অহংকারের মূর্তির মতো সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছে আধুনিক ধাঁচের অট্টালিকার সারি। সেখানে মান আছে প্রাণ নেই। এমনিতেই এবারে কাজের ব্যস্ততা ছিল বেশি। দম ফেলবার ফুসরত মিলছিল না কিছুতেই। তার উপর কিছু নির্বোধ
"....there were shops selling robes, shops selling telescopes and strange silver instruments Harry had never seen before, windows stacked with barrels of bat spleens and eels' eyes, tottering piles of spell books, quills, and rolls of parchment, potion bottles, globes of the moon...."
-'Harry Potter and the Philosopher's Stone'
সবুজ পাহাড়ের কোলে অবস্থিত বান্দারবন শহর।এর এক পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শংখ নদী। বান্দরবন শহর সুন্দর তবে রাঙ্গামাটির শহরের মত এতটা সুন্দর নয়। বান্দরবনের আসল রূপ ছড়িয়ে আছে শহরের বাইরে প্রতিটি পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে। এই ভয়াল সুন্দর রূপের বর্ণনা দেওয়া আমার সাধ্য নাই। ক্যামেরার ফ্রেমে কিছু দৃশ্য ধরে রাখার ব্যার্থ চেষ্টা করেছি মাত্র।