Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

ভ্রমণ

আম্রিকা গমন বৃত্তান্ত

পাগল মন এর ছবি
লিখেছেন পাগল মন [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৬/০৫/২০১১ - ১২:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলায় অনেকের মত আমারো মনে বড় আশা ছিল বড় হয়ে আম্রিকা যামু, কিন্তু বড় হওয়ার সাথে সাথে সে আশা এক্সপোনেন্সিয়ালি কমতে থাকে। বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পরে আবার সে আশার পালে একটুখানি হাওয়া-বাতাস লাগে বড়ভাইদের আম্রিকা যাওয়ার আগ্রহ/সুযোগ দেখে।


রাঙ্গামাটির পথে লো...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৩/০৫/২০১১ - ৮:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[ডিস্ক্লেইমার : সচলে অনেক বাঘা বাঘা ফটুরে আছে। তাদের ফটুক দেখলে অন্য ফটুক দেখতে মঞ্চায় না। তারপরেও সাহস করে আমার অ-ছবি গুলো আপ্নাদের পাতে দেওয়ার দুঃসাহস দেখাচ্ছি।]

গত আগস্টে আমরা চারজন ফেনী-নিঝুম দ্বীপ-চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি-বান্দরবন-কক্সবাজার জয় করতে বের হলাম। আমাদের পরিকল্পনার ভুলে নিঝুম দ্বীপ অদেখাই থেকে গেল। তো যাই হোক ফেনীতে বন্ধুর বাড়িতে এক রাত থেকে চট্রগ্রাম গেলাম। চট্রগ্রাম ঘুরে পাহাড়ীকা-ই চড়ে রাঙ্গামাটি। গাড়ি থেকে লেক-পাহাড় পরিবেষ্টিত রাঙ্গামাটি দেখে এক কথায় বলা চলে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। তখন ছিল রমজান মাস। পুরো রাঙ্গামাটিতে পর্যটক বলতে আমারা চারজন। রাতে থাকার জন্য পর্যটনে হানা দিলাম। আমাদের পরম দূর্ভাগ্য যে বউ ছাড়া হানিমুন কটেজে রাত্রিযাপন করতে হলো।


মক্কা নোটসঃ রূপে রসে স্বাদে গন্ধে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৮/০৫/২০১১ - ৪:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হজ্বের পরে কোন কাল্পনিক চাকুরিদাতা আর আমার মাঝের কথপোকথনঃ
বসঃ ওই, সৌদি যাবি? কাম আছে
আমিঃ হ সার, নবীর রসুলের দেশ, যামু না কেনু যামু, কি কাম, বেতনাদি কিমুন?
বসঃ কাম কঠিক কিছু না, বেতনাদিও ভালু, কিন্তুক শর্ত আছে
আমিঃ কি শর্ত?
বসঃ কই যাবি তোর চয়েস মাগার, তিন বছরে একবারের বেশী মক্কা-মদীনা যাইবার পারবি না, অহন যাবি?
আমিঃ তাইলে সার, আল বাইক আছে এরুম যায়গায় দ্যান। অন্তত না খায়া মরুম না।

আজকের পর্ব আরবের অসাধারণ স্বাদসম্রাজ্যের ওপরে। আমার স্বাদগ্রন্থি সবসময় সবার সাথে মিলে না, তার পরেও আরবী স্বাদের রাজ্যে বিনামূল্যে ভ্রমণ গাইডে আপনি আমন্ত্রিত।


মৃত্যুমুখ থেকে ফেরার বর্ষপূর্তী

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৪/২০১১ - ১১:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]দিনটা ছিলো ২৬ এপ্রিল, গতবছর, ২০১০ সাল। বরাবরের মতোই একটা দিন। ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশন ফর রিফিউজিস (ইউএনএইচসিআর) এর একজন কর্মকর্তা বন্ধু জানালো যে বিকেলে ওরা কয়েকজন একটা সেটেলমেন্ট পরিদর্শনে যাবে। জায়গাটার নাম বুলো তাওয়াক্কাল। বুলো মানে ক্যাম্প বা গ্রাম, দুটোই হয়। ৮০০’র মতো পরিবার এখানে বসবাস করে। সোমালিয়ার সেমি অটোনোমাস স্টেট পুন্টল্যাণ্ডের প্রায় সব সংস্থাই এখানে কাজ করে। তারমধ্যে আমাদে


চড়কের মেলায় একদিন

মুস্তাফিজ এর ছবি
লিখেছেন মুস্তাফিজ (তারিখ: রবি, ২৪/০৪/২০১১ - ২:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সতর্কতা: কিছু ছবি আর লেখা বাচ্চা কিংবা দুর্বল চিত্তের লোকদের দেখা কিংবা পড়া ঠিক হবে না।

-----------------------------------------------------------------------------------------

দেখতে দেখতে ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটা পেরুলো। বিষ্ণুপুর গ্রাম। সেই গ্রামে চৌধুরী বংশের জমিদারদের এক বিশাল প্রাচীন পুকুর, কেউ বলে দুইশ কেউবা জানায় দেড়শ বছরের পুরাতন। জমিদারদের কিছুই এখন অবশিষ্ট না থাকলেও এই পুকুরটা আছে। আর আছে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় চালু কিছু ধর্মীয় আচার। সেরকম এক আচার পালনে সন্ন্যাসী নিরঞ্জন দেবনাথসহ আরো তিন সন্ন্যাসী পুকুরপাড়ে চার জায়গায় নিজেদের শিষ্য-সামন্ত নিয়ে জ্বলন্ত আগুন ঘিরে গোল হয়ে বসে আছে। বিড়বিড় করে মন্ত্র আওড়ায় নিরঞ্জন। আজ নিয়ে নয় দিন উপবাসে কাটলো তার। শুকনো হাড় বের হওয়া শরীরে কাপড় বলতে একটামাত্র ধুতি। আগুনের আভায় নিরঞ্জনের পিঠে চিকচিক করা বড়শি গাঁথার অগুনতি দাগ আশেপাশের ভক্তদের তাঁর প্রতি আরো শ্রদ্ধা বাড়িয়ে তোলে। ওরা পুরোদমে শিঙ্গায় ফুঁ দেয়, ঢাক, ঢোল,‌ খোল, করতাল আর কাঁসার ঘণ্টার ছন্দবদ্ধ সুর তোলে। দমকে দমকে কাঁপতে কাঁপতে “বোল মহাদেব” বলে লাফিয়ে উঠে নাচতে থাকে সে। তাঁকে অনুসরণ করে তাঁর ভক্তরা, সবার গা খালি, কোমরে লাল রঙয়ের নেংটি। উন্মাদের মতন নাচতে নাচতে দলবলসহ আগুনের উপর চলে আসে নিরঞ্জন। ওরা লাফাতে থাকে সেই জ্বলন্ত আগুনের উপর, আর চিৎকার করে বলতে থাকে “বোল, বোল মহাদেব”। অতগুলা মানুষের পায়ের চাপে আগুন হার মানে, কমতে কমতে একসময় নিভে যায়। ওরা সমস্বরে একসাথে চিৎকার করে উঠে “শিবা বোল, বোল মহাদেব”।


ঝড়ের বেগে চড়ক দেখা

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: শনি, ১৬/০৪/২০১১ - ৭:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পয়লা বৈশাখে মৌলভীবাজারে চড়কপূজা দেখতে যাওয়ার কথা ছিলো, আবার ছিলো না। ছুটির দিনে ঢাকার উপচে পড়া ভিড়ে বারকয়েক অতীষ্ট হয়ে পণ করেছিলাম এবছর নববর্ষে আর যা-ই করি, ঢাকায় ঘুরতে বেরুবো না। বন্ধুদের সাথে আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু হলো। ‘অতি সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট’ যেমন, তেমনিভাবে ‘অতি পরিকল্পনায় সব ভ্রমণই ভণ্ডুল’ হলো। তার উপর ছিলো ই-বুক ‘ভ্রমণীয়’র ডেডলাইন। দুনিয়া উলটে যাক, তবু ১৪ এপ্রিলে এই বইয়ের মুখদর্শন করাতে হবেই হবে।


প্রকাশিত হলো পহেলা বৈশাখের ই-বই: ‘ভ্রমণীয়’

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৪/২০১১ - ১২:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রস্তাবনাটা এসেছিল এই মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই সচল অমিত আহমেদের কাছ থেকে, যে এবারের পহেলা বৈশাখ ১৪১৮ তে অন্যান্য বারের মতোই সচলায়তন থেকে কোন ই-বই বের হবে কিনা। আসলেই, পহেলা বৈশাখের ই-বই বের করার প্রতিবারের ঐতিহ্য না ভেঙে বরং দ্রুত সিদ্ধান্ত হয় এবারের ই-বইয়ের বিষয়, লেখা জমা দেবার তারিখ এগুলো। এবারের বিষয় নির্ধারণ করা হয় ‘ভ্রমণ’। সম্পাদনা পরিষদ থেকে নজরুল ভাই পোস্ট দেন লেখা চেয়ে। সকলের কাছ থেকে চমৎকার সাড়া মেলায় শুরু হয় ই-বুকের কাজ।


লাহোরে এক চক্কর

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৩/২০১১ - ৩:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify](অনেক চেষ্টা করেও অনেকগুলো ছবিতেই আমার ফালুসুলভ হাসিমাখা বদনখানি প্রদর্শণ ঠেকাতে পারলাম না। এজন্যে সবার ক্ষমাপ্রার্থনা করছি)

গত শুক্রবারটা ছিলো বেশ উদ্বেগের। গোটা ইসলামাবাদ জুড়ে বিক্ষোভের ঝড় রেমন্ড ডেভিসকে মুক্তি দেওয়া নিয়ে। বৃহষ্পতিবারেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যে শুক্রবার আমরা অফিসে আসবো না। যে যার বাসায় বসে কাজ করবো। যাইহোক কোনওরকম সহিংসতা ছাড়াই শুক্রবার দিনটা কাটলো।