ঢাকা-ব্যাংকক-ওসাকা-সানফ্রানসিস্কো দীর্ঘ সাতাশ ঘন্টার বিমান জার্নি৷ হৃদি আয়নায় তাকাল৷ তার মসৃণ মুখ ন্#৮৭২২;ান হয়ে গেছে৷ হৃদি লাগেজ খুলে দীর্ঘ চুলে শ্যাম্পু করে শাওয়ার সেরে নিল৷ চুল শ্যাম্পু করার সাথে মন ফ্রেশ হওয়ার একটা যোগাযোগ অবশ্যই আছে৷ মাথা হালকা লাগে৷ ফুরফুরা একটা ভাব তৈরী হয়৷ মনে ফূর্তি আসে৷ কেউ কেউ গান ধরে৷ পঁয়ত্রিশ তালা হোটেল ম্যারিয়ট বিল্ডিংয়ের নিস্তব্ধ ১৩১৩ নম্বর কক্ষ৷ সন্ধে সাতটা৷ হৃদির
সচলত্ব প্রাপ্তির পর প্রথম লেখা
সালেক খোকন
ভোর হতেই চারপাশের দৃশ্য বদলে যায়। হালকা কুয়াশার আবরণ চারপাশে। পাহাড়চেরা উঁচুনিচু রাস্তা ধরে ছুটে চলে আমাদের বাসটি। আঁকাবাঁকা সবুজে ঘেরা পথ। সকাল ঠিক ৮টা। সুপারভাইজার চেচিয়ে ডাকে ‘এক নম্বর ঘাট’। এই ঘাটটি দেশের একেবারে শেষ প্রান্ত টেকনাফে। সেখান থেকেই এলসিটি কুতুবদিয়া জাহাজটি ছেড়ে যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে।
ঢাকায় বসে একজন যদি বলে, সে জিয়ারত করতে যাচ্ছে, সবাই ভাববে, সে আজিমপুরে যাবে, কিংবা বনানীতে অথবা বুদ্ধিজীবী গোরস্তানে। আমাদের যুবক তেমনটাই ভাবল, যখন জেদ্দায় তার মিসরীয় সহকর্মী জানাল যে সে স্ত্রী জিয়ারতে যাচ্ছে কাল। আর চোখে মুখে একটা সহানুভূতির ভাব ফুটিয়ে প্রায় বলেই ফেলতে যাচ্ছিল, আই অ্যাম ভেরী সরি টু নো দ্যাট……। কিন্তু একটু থতমত খেয়ে গেল সহকর্মীর আকর্ণবিস্তৃত একখান হাসি আর সর্বোপরি আনন্দোচ্ছ্বল মু
মাসাই পল্লী থেকে যখন ফিরছি, রাত্রি তখন নিগ্রো যুবতীর মতো পূর্ণযৌবনা। বয়ঃসন্ধির দেয়াল পেরিয়ে ফিকে অন্ধকারের সাঁঝ শলমা আঁকা ঘন কালো শাড়ি পড়ে হঠাৎ যে কখন মোহিনীর বেশে অভিসারিণী হয়েছে বুঝতেই পারিনি। পথের ধারে অফুরন্ত নাম না জানা ঝোপের সারি, সেখানে ফুটে থাকা কত নাম না জানা বুনো ফুল। ঝোপের ঝাঁঝালো গন্ধ, অল্পজলে ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধ, রঙিন ধুলোর গন্ধ, বুনো ফুলের মাতাল করা গন্ধ, সবমিলিয়ে জঙ্গলের একটা নিজস
শেষ পর্যন্ত আরব মুল্লুকের ‘বানাত’ অর্থাত কন্যাদের বোরখাবিহীন চেহারা দেখার সুযোগ হয়ে যায় যুবকের। কিন্তু রূপচ্ছটায় ভস্ম হওয়া থেকে রক্ষা মিলে। হয়ত মায়ের দোয়ায়। হয়ত পাহারারত সেই মহিলার ঈগল দৃষ্টি তাকে রক্ষা করে।
ইভনিং গেম ড্রাইভ শেষে আমরা যখন ক্যাম্পে ফিরে আসছি ছেলেরা তখন পরিতৃপ্তির কোলে দেহ এলিয়ে আবেশে চোখ মুদে একটি সার্থক দিনের পরিসমাপ্তিতে হৃষ্টচিত্ত। আর মেয়েরা সদ্য আহরিত ভালোলাগার বিস্ময়ের কথা বার বার উচ্চারণে আপ্লুত। “ইচ্ছে হলে ক্যাম্পে পৌঁছে তোমরা পাশের মাসাই পল্লী থেকে ঘুরে আসতে পারো। পরিচিত হতে পারো ওদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে। বিশ ডলারের বিনিময়ে ওরা তোমাদের যূথচারী নাচ দেখাবে, আগুন জ্বালিয়ে দেখাবে
সালেক খোকন
কাঁটাতারের বেড়ার ঐ পাশেই ভারতের রাধিকাপুর। দূর থেকেই সেখানকার থেমে থাকা ট্রেনগুলো দেখা যায়। এ পাশে দিনাজপুরের রামচন্দ্রপুর গ্রাম। দেশভাগের পূর্বে রাধিকাপুর আর রামচন্দ্রপুর দিনাজপুরের অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রাচীন আমল থেকে প্রতি বছর এই রামচন্দ্রপুরেই বসে শংকবাণী মেলা।
সালেক খোকন
সূর্য ওঠার সাথে সাথেই তিন বন্ধু তৈরী হয়ে নেই। অরণ্য তখনও বিছানায়। ছেঁড়াদ্বীপে যাওয়ার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই তার। সবাই অরণ্যের ওপর মহাবিরক্ত হয়। সেন্টমার্টিনস এসেছি অথচ ছেড়াদ্বীপ যাব না! তাই কি হয়।
ছেঁড়াদ্বীপ নিয়ে কত কথাই না শুনে এসেছি। সেন্টমার্টিনসের আসল সৌন্দর্য নাকি সেখানেই। বড় বড় জল প্রবালের রাজ্য সেটি। আছে জীবিত ও মৃত প্রবাল। বড় বড় প্রবালের পরতে পরতেই সৌন্দর্য লুকানো। নীল আকাশের নিচে নীল সাগরের মাতামাতি। দূর প্রান্তর থেকে সাগরের নীলাভ ঢেউ নাকি আছরে পড়ে দুধ রঙ হয়ে। আরও কত কি! অরণ্যকে কটেজে রেখেই আমরা বেড়িয়ে পড়ি।