১৯৮০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন একদিন ২৪ বছরের যুবক স্বপন ভাগ্যাণ্বেষণে উড়াল দিল সৌদি আরব। তখনও ঢাকা জেদ্দা সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়নি। যেতে হ’ত করাচী হয়ে। জীবনের প্রথম বিমান যাত্রা ভয় মিশ্রিত এক ধরণের শিহরণে উপভোগ করতে করতে আর বারংবার বিমানের উঠতে নামতে ক্রুদের ঘোষণার প্রথম অংশটুকু (যা বলা বাহুল্য ছিল আরবী ভাষায়) ‘না বুইঝ্যা’ শুনতে শুনতে যুবক প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় নিজের কাছে, এ ভাষাটা শেখা চাই তার।
এখানে বনের কাছে ক্যাম্প আমি ফেলিয়াছি;
সারারাত দখিনা বাতাসে
আকাশের চাঁদের আলোয়
এক ঘাইহরিণীর ডাক শুনি,–
কাহারে সে ডাকে!
ঘুম ভাঙতেই ঘড়ির দিকে চোখ চলে গেল। বিকাল ৫টা। বাসার কাঠাল গাছটায় চড়ুইয়ের দল কিচির-মিচির করছে? শব্দ নাই কেন? আর আমার ঘরটাও তো এতো অন্ধকার থাকে না এই সময়। ফায়ার-ইঞ্জিনের সাইরেনের শব্দে ঘোর কাটে আমার। “আপনি আর স্বর্গে থাকেন না হাসান সাহেব”, বলি নিজেকেই। গতকাল ঘুমাতে পারি নাই। দুপুরে তাই বাসায় ফিরেই ঘুম। প্রফেসর দেশের বাইরে থাকায়, এই বিনোদনের সুযোগ পাওয়া গেল। কিছু লিখতে বসলামই যখন, প্রথম থেকেই শুরু করি।
তুমি কি বুঝতে পারছো গতকাল এখানে এসেছিলাম আমরা, জায়গাটা চেনা চেনা লাগছে কি? হুম, আমি জানতাম তুমি বলবে একবার মনে হয় এসেছিলাম আবার মনে হয় না তো ঠিক এরকমই হবে সেই জায়গাটা। আসলে এরকমই হয়, প্রতি মুহূর্তে এখানে রূপ পাল্টায় সুন্দরবন। প্রকৃতির এই বিশাল সম্ভার কখনোই একেবারে পুরোপুরি মেলে দেয় না নিজেকে। তাছাড়া বনের পারিপার্শ্বিকতাও আমাদের দেখার চোখ আর মনকে প্রভাবিত করে। তাই চেনা জায়গাকেও আবার নতুন করে চিনতে হয়।
[justify](এই যাত্রায় আমার সাথে কোনও ক্যামেরা ছিলোনা। সঙ্গী বন্ধু ইমানুয়েলের একটা ধ্বজভঙ্গ ক্যানন ছিলো যাতে কিনা প্রায় চার্জার লাগিয়ে ছবি তুলতে হতো, ব্যাটারির এমন টেম্পারমেন্ট। তাই ফেরার পথে একটা নাইকন ৩০০০ ডিএসএলআর কিনে নিয়েছিলাম আমস্টার্ডামের শিপল এয়ারপোর্ট থেকে।)
লেখা পড়তে পোস্ট ঢুকুন।
এই ভোরে কী যে ঠাণ্ডা লাগে, হাড় পর্যন্ত জুড়িয়ে যায়। একটু পরই হাঁটুসমান কাদাপানিতে নামতে হবে ভেবেই কি তোমার উপর শীত আরো জেঁকে বসছে? ট্যুর কোম্পানির পাতলা চাদরটা অনেক আপন ভেবে আরেকটু জড়িয়ে নিলেও তরুণ ফটোগ্রাফারদের জ্বালায় একটু দেরি করে উঠবে সে উপায় তো নেই, দরজায় টোকা “বস্, ছয়টা বেজে গেছে”, গলাটা আখলাসের, ওকে চেনো?
সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিগত ২৩ ডিসেম্বর # আমি, # রোয়েনা, # আশরাফ (নির্জন স্বাক্ষর) ও # আবীর - আমরা এই তিন আদম সন্তান গেলাম বিক্রমপুর জয়ের উদ্দেশ্যে। যদিও আশরাফের এক চাচাত ভাইয়ের 'পাক্কা মুসলিম' হবার অনুষ্ঠানের দাওয়াত ছিলো, তবুও কার কি কাটা পড়লো তা নিয়ে আমরা মোটেও মাথা ঘামাইনি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো একটাই - প্রবল বিক্রমের সাথে পাগলা ক্যাম্রাবাজি করে বিক্রমপুরকে জয় করা ...
বিচিত্র লাগছে। বাস ছুটে চলছে। চারপাশ ধবধবে সাদা। গাছপালা রাস্তাঘাট কোনটা কি কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পাশে বসা শেন জ্যো খুব আগ্রহ নিয়ে ল্যাপটপের মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছে। তার কাছে নাকি বাংলা ফন্ট খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে। সে এক টুকরা কাগজ নিয়ে তার নামের বানান লিখে নিয়েছে আমার কাছ থেকে। এখন বার বার বাংলায় নামটা লিখে লিখে প্র্যাকটিস করছে। কি আজব!
গরম লাগছে। হাত বরফের মত ঠান্ডা ...