বড়ভাই ফোন করছে, কথা কওনের সময় নাই, তাই ফোন সাইলেন্ট করে ড্রয়ারে রেখে কাজ করছি- এই যখন অবস্থা, তখন বউ জানালো কদুরা (এনকিদু, শিমন, নাজমুল আলবাব) আসতেছে।
আমার তো মাথায় হাত। !!!
অতপর রাত ১০টার সময় এরা এসে হাজির। আর এসেই নানান আব্দার, এটা খাবো ওটা খাবো। শেষতক এক গামলা ভাত, গরুর মাংস, বালিশ মিষ্টি... সব শেষ করে শিমনের ওজন এতোই বেড়ে গেলো যে তাকে বহনকারী আমার বাড়ির একমাত্র প্লাস্টিকের চেয়ার...
দেশভ্রমণ আর খেলাধূলার শখ আমার ছেলেবেলা থেকে। তো এক ঠিলে দুই পাখি মারার সুযোগ এসে গেল ২০০৩ এর শুরুর দিকে। একটা কাজে সাউথ আফ্রিকা যাওয়ার কথা জানুয়ারীতে, আমি সফর পিছিয়ে দিলাম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কথা মাথায় রেখে। যেহেতু ছবি ব্লগ তাই বেশি বিস্তারিত বিবরণে যাব না। অনেক আশা নিয়ে সাউথ আফ্রিকা যাবার আগেই দেখলাম বাংলাদেশ হেরে বসে আছে দূর্বল কানাডার কাছে। তাই ওখানে গিয়ে যখন দেখলাম বাংলাদ...
আমরা সমতল ভূমির মানুষ তাই পাহাড় আর সমুদ্রের প্রতি গভীর টান অনুভব করি সমসময়। কানাডাতে পূর্বে আর পশ্চিমে যারা থাকে তাদের পাহাড় আর সমুদ্র দূটো দেখারই সুযোগ থাকে, আমরা যারা মাঝখানে আছি ( যেমনঃ আলবার্টা) তাদের কাছাকাছি সমুদ্র দেখতে হলে যেতে হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়ায়, তাই ছোটখাট ভ্রমনের জন্য পাহাড় আর হ্রদই একমাত্র ভরসা।আলবার্টায় দেখার মত জায়গা আছে মোটে দুটোঃ কানাডিয়ান রকির ব্যান্ফ আর জ...
উইন্ডজর সফর নিয়ে সমবেত ৫ সচল প্রত্যেকে একটি পোস্ট দিলে মোট পোস্ট হবে ৫টি। সাথে আলাদা করে জনপ্রতি ১টা ফটোব্লগ পোস্ট দিলে আরো ৫ পোস্ট। মোট দশটা পোস্ট।
এইসব ভ্রমণকাহিনীর প্যাচাল কিংবা ক্যাচালে বিরক্ত না হয়ে - আসুন অন্য কিছু জানি, এমসিকিউ সিস্টেমে –
প্রশ্ন এবং সঙ্গে সঠিক উত্তরটি কপি করে মন্তব্যের ঘরে লিখুন।
১) উইন্ডজর নেমেই ‘খাবার রেডি আছে কিনা’ – কে জিজ্ঞেস করেছিলো?
ক) বিপ্র
খ) ...
– বোর্ডিং পাস আর আইডি দেখাও।
: লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটা পঙ্গু, অথর্ব মানুষ আমি। এত জায়গায় আইডি দেখালাম, এখন প্লেনের দুয়ারে এসেও ঝামেলা করতে হবে, তাই না? কত যে ঘাঁটাতে পারো তোমরা!
– এই ছোকরা, ফেলে চলে যাবো কিন্তু তাহলে। আমি মানুষ খুব খারাপ।
: আচ্ছা দেখো, দেখো। হুঁ, আমি জানি সিট কোথায়। বেছে বেছে সামনের দিকের আইল সিট নিয়েছি। এখন এই নরাধমকে দেখতে দেখতে যেতে হবে তোমার।
– দেখা যাবে কী হয়। এ কী, ...
কিংকং তার নায়াগ্রা ভ্রমণের পোস্টে বলেছিলো - ঢাকা শহরে এসে চিড়িয়াখানা না দেখা আর কানাডা এসে নায়াগ্রা না দেখা সমান। পুরোপুরি ঠিক। তবে, কলেজের নুরুন্নবী স্যারের কথাও মনে পড়ে - এক সময় ঢাকা এসে গুলিস্তান হলে সিনেমা না দেখলে, কিংবা মরণচাঁদের মিষ্টি না খেলে নাকি ঢাকা সফর পূর্ণাঙ্গ হতো না।
বর্ণনায় বিরক্ত না করি।
বরং ছবিই দেখি।
ডেটলাইন ২২-২৩ জুন, ২০০৯।
__
-০১- নায়াগ্রা শহরের আকাশ...
__
-০২- ...
(০১)
ঝনঝন করে মোবাইলটা বেজে ওঠলো অসময়ে। আচমকা গভীর কাচা-ঘুম ভেঙে স্থান-কাল-পাত্র সচেতন হতে হতে কয়েক মুহূর্ত কেটে গেলো। ফোনটা বেজেই চলছে।
সকাল আটটা হয় হয়। শুক্রবার। ‘অফ ডে’-তে নরমালি দেরীতেই বিছানা ছাড়ি। মফস্বলের কর্মময় শাখা-জীবনে ‘অফিস ডে’-তে ভোর ছ’টা বা তারও আগে থেকেই গোটা দিনের ঘড়ি-ধরা যান্ত্রিক রুটিনেই অভ্যস্থ আমরা। ‘ন্যাচার অব জব’টাই এমন যে, তার ব্যত্যয় হওয়ার কোন উপায় নেই, স...
মিউনিখ ইউনিভার্সিটির সামনে ছোট একটি ক্যাফেতে বসে অংকের একটি কঠিন বিষয় নিয়ে কসরতে কারিন আর আমি। তখন গ্রীস্মের শুরু মাত্র। আর দুসপ্তাহ পর আমাদের তিনমাসের ছুটি। সফল সেমিষ্টার শেষের প্রস্তুতি চলছে জোরেসোরে। তার সাথে ছুটির পরিকল্পনা। এসময়টাতে পরের সেমিষ্টারের খরচের জন্যে কাজ আর পাশাপাশি ছুটিতে বেড়ানোর পরিকল্পনাও চলে। একটু পরই সিগারেট ফুকতে ফুকত...
বেশ ক'দিন সচলে লেখা হয় নি। টুকটাক পড়েছি কিন্তু গুছিয়ে বসে যে লিখতে পারি নি তার দোষ আমার নয়। বাইরে রোদ-ঝলমল নীল আকাশ আর তার চেয়েও অস্বাভাবিক রকমের বেশি নীল সমুদ্র দুবেলা হাতছানি দিয়ে ডাকলে ঘরে বসে থাকা কঠিন হতো শ্রীরাধিকার পক্ষেই আর আমি তো নশ্বর মনুষ্যমাত্র।
তো এই নীলের বাড়াবাড়ির জায়গাটা হলো ফ্লোরিডা। ট্যুরিজম ওয়েবসাইটের ছবি দেখে মুচকি হেসেছিলাম, ফোটোশপ দিয়ে সমুদ...
কানাডিয়ান ফেডারেশন অফ স্টুডেন্টস (CFS) আয়োজিত দুই দিনের এক সিম্পোজিয়ামে গিয়েছিলাম ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো'র মিসিসাগা ক্যাম্পাসে। সিম্পোজিয়ামে গিয়ে দেখে এলাম একটি ছাত্র সংগঠন কিভাবে আগামীর লিডার তৈরী করে। যাহোক, সেটা নিয়ে পরে পোস্ট দেয়ার আশা রাখি। তবে সিম্পোজিয়ামের সেশনের পাশাপাশি চলেছে আমার প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ। সেখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে দুই পর্বের ছবিভিত্তিক ব্...