[justify]নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক স্লেভতানা আলেক্সিভিচ রচিত “চেরনোবিলের কণ্ঠস্বর” বইটি পড়ে শেষ করলাম এই গত মাসে। চেরনোবিল দুর্ঘটনার কার্য-কারণ নিয়ে কিছুটা পড়াশোনা আগে ছিল, কিন্তু এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ইতিবৃত্ত ছিল আমার জানার জানালার বাইরে। এই বইটি পড়ে আমার সেই অভাবটি ঘুচল। আর সেই সাথে এক নিদারুণ বিষাদময়টা আমাকে ছেয়ে ধরল। পারমাণবিক তেজস্ক্রিয়তা কিভাবে একটি দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠীকে দশকের পর
আমার অর্ধ যুগের বেশি সময় ধরে এই উত্তর ইয়্রোপের দেশে বাস, এখানে পড়তে কিংবা বেড়াতে এলে মানুষের অন্তত একটা কাজ করে, সেটা হল ক্রুজ শিপে করে বাল্টিক সাগরের আশে পাশের দেশ গুলোতে ঢু মারা। সেটা ফিনল্যান্ড থেকে, এস্তোনিয়া কিংবা লাটভিয়া হতে পারে। এই সুইডেন থেকে অনেক দূরের দেশে যাওয়া হয়েছে, কিন্তু কক্ষনো শিপে চড়া হলো না, যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাঝে মাঝে আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে আমি কেন একবারও নাম মাত্র মূল্যে
আমার শহর থেকে সমুদ্র পাড়ি দেয়া জাহাজ ছাড়ে অথচ জাহাজে চড়িনি কখনো। যাত্রীবাহী জাহাজের দৌড় যদিও সন্দ্বীপ হাতিয়া কিংবা বরিশাল, তবুও তো সমুদ্র দর্শন। এবার জাহাজ ভ্রমণ হয়ে যাক। কয়েক বন্ধুকে বলতেই রাজী। তারপর একদিন সকালে ব্যাগ গুছিয়ে সদরঘাট জাহাজ ঘাটে চলে এলাম। আজকে জাহাজ যাবে হাতিয়া। হাতিয়ার পাশে আছে নিঝুম দ্বীপ। নিঝুম দ্বীপ নামটা শুনেই কেমন একটা রোমাঞ্চ বুকের ভেতর নির্জনতার ডাক দেয়। সঙ্গীহীন একাকী একটা
“কীর্তনখোলায় পূর্ণিমা দেখবেন নাকি স্যার? জোস লাগে কিন্তু।“
[justify]আজ থেকে প্রায় দশ বছর আগেকার কথা। আমি তখন ডালাসে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের ছাত্র। আমার প্রফেসরের গবেষণা প্রকল্প নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় আমার বৃত্তির টাকা বন্ধ। ওদিকে আমার ব্যাঙ্কের হিসেবে তখন আছে মাত্র দুশো নব্বই ডলারের মতো। এ টাকায় বাড়ি ভাড়া দেয়া তো দূরের কথা, এক মাসের বেশি খাবার খরচও চলবার কথা নয়। চরম দুঃসময় আমার তখ
“আরে মিয়া মাথা ভিতরে ঢুকান। নাইলে কল্লা কিন্তু আলগা হইয়া যাইব।“
[justify]
অবশেষে বেরিয়ে পড়লাম, পায়ের বেড়ি খসিয়ে বেড়িয়ে আসার জন্য। নরওয়েজিয়ান (আবারও) ক্রুজ লাইনের তরণী ভরসায়, এবার গন্তব্য বাহামা দ্বীপপুঞ্জ। চার রাত, তিন দিন-এর ভ্রমণ, মাত্রই তিনটি দ্বীপ ছুঁয়ে আসা। কিন্তু, সেটাই বা কম কি, একটু ঘুরে আসা ত হবে!
ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি পাহাড় মানুষের মনকে উঁচু করে । আর সাগর মনকে করে বড় । ধীরে ধীরে বড় হওয়ার সাথে সাথে শিখলাম পাহাড় আর সাগরের প্রভাব শুধু মানুষের মনের উপরই সীমাবদ্ধ না, ইমেজের উপরও যথেষ্ঠ প্রভাব ফেলে । মানুষকে সেলিব্রেটিও করে । পাহাড়ে চড়লেও করে আবার না চড়লেও করে । সাগরে ডুবলেও করে আবার না ডুবলেও করে । তা এই বিষয় নিয়ে মেলা যুক্তিতর্ক হতে পারে । কথার পিঠে কথা হতে পারে । যুক্তির প্রত্তুতরে কুযুক্তি আসতে পারে । তাই আজ আর সেদিকটা মাড়াচ্ছি না । আজ আমার পাহাড়ে চড়ার গল্প বলতে এসেছি, সেইদিকেই মনযোগ দেই ।