[তিনহাজার শব্দের পেটমোটা ২য় পর্বটা দুইদিন আগেই দিয়েছিলাম, সচল সার্ভারে লেখাটা পৌঁছেছে বা বদহজম হয়েছে কিনা জানিনা, ছোট আকারে আবারো দিলাম তাই।]
টেকনাফে বেপথু হাঁটা
টেকনাফ তো নামলাম। এবার? বাবলু ভাইরে কই পাই? শুরু হলো খোঁজ। অত সোজা না। মোবাইল যুগ হলে মাঝপথেই ফট করে মোবাইল করে দিতাম- "আমরা পেরায় আইসা পড়ছি ভাইজান, আপনে অ্যাটাচ বাথের তিনটা ডাবল রুম, ড...
গেল কোরবানির ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম বেড়াতে। গ্রামের নাম ইউসুফপুর। অনেকে মিলে ঠিক করি ঈদের পরের পরদিন সকালে রওনা দিব। যেমন কথা তেমন কাজ, যথাসময়ে গ্রামের বাড়ি রওনা দিলাম। সঙ্গী ছিল অনেকেই, যাদের মধ্যে কয়েকজন সমবয়সী চাচা, এছাড়া ফুফা-ফুফু আর ছিল কয়েকজন কাজিন।
গ্রামের বাড়ির টানে আমি সেখানে প্রায় প্রতিবছর-ই ঈদের ছুটি কাটাতে দলবলসহ রওনা দেই। সেবারও এর ভিন্নতা হয় নি। গ্...
ভনিতা
পাঠকঃ সেন্টমার্টিনের গল্প শুনাইবেন? দুরো মিয়া, মার কাছে মাসীর গল্প করেন! কত কত বার গেছি। কোন ব্যাপারস হইলো? টেকনাফ গিয়া 'কেয়ারী সিন্দবাদ' বা 'কুতুবদিয়া' জাহাজে চইড়া বসেন, এক ঘন্টার যাত্রায় ঝাঁ কইরা পৌঁছায়া যাইবেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। তীরে নাইমা হাত বাড়াইলেই নাওয়া-খাওয়া-শোয়ার জায়গা। সেন্টমার্টিনে এখন ভুরি ভুরি হোটেল রেষ্টুরেন্ট। বুকিং তো ঢাকায় বইসাই দেয়া যায়।
ল...
ভিতরে-বাহিরে, অন্তরে-অন্তরে
আমরা আশা নিরাশার সমুদ্রে উতাল পাতাল হাবুডুবু খেতে লাগলাম। হয়তো ওরা পরের ট্রেনে যেতে দেবে আমাদের। হয়তো আমাদের পাসপোর্ট ভালো করে পরীক্ষা করার পর ভুল ভাঙ্গবে। যদি কোন কারণে নিজেদের দুতাবাসে যদি খোঁজ করতে চায়, তাহলেও সময় দরকার ওদের! কিন্তু একটু পরই রাত নামবে, তখন থাকবো কোথায়? এসব নানা ধরণের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে শুরু করলো। ঘন্টা দু’য়েক পর উল্টোদিক থেকে ইস্তাম্বুলগামী একটি ট্র...
নেপাল বেড়ানোর এক আদর্শ জায়গা। আমরা সমতলের লোকজন নেপালে যাই পাহাড় মেঘ আর বরফ দেখতে। আজ আমি পাহাড় মেঘ আর বরফের চাইতে নজর দেব অন্যদিকে। আর তা হলো লেক। নেপালের সবচাইতে বড় লেকটির নাম ‘রারা তাল’, নেপালী ভাষায় তাল মানে বিল, ইংরেজীতে লেক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৯০০ মিটার উঁচুতে এ বিশাল লেকটি আজ আমার গল্পের বিষয় নয়, আজ শোনাবো নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক ‘ফিওয়া তাল’ (Phewa or Fewa) আর তাকে ঘিরে বেড়ে উঠ...
শ্রীমঙ্গল গিয়েছিলাম ২৬ শে মার্চ তিন দিনের একটানা ছুটি কাজে লাগাতে। যাবার পথে এনকিদু আর স্পর্শের সাথে দেখা হল ভৈরবের একটা রেস্তোরাঁতে। তারা যাচ্ছিল লাউয়াছড়ার জঙ্গলে। সেখানের বাঙলোতে থাকবে। শুনে আমার ইর্ষা আফসোস দুই'ই হল। আহা তারা থাকবে জঙ্গলে আর আমি কিনা শ্রীমঙ্গল শহরে!
তবে আমার ভ্রমনটা খারাপ হয়নি। বেশ মজায় কেটে গেছে দুইটা দিন। দেখা হল শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান, লাউয়াছড়...
ছ’জনের একটি কামরা। বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও আরামদায়ক। আরো দু’জন সহযাত্রি উঠলো। ফ্রান্সের জ্যাক ও তার বান্ধবী ক্যারল। উঠেই হাজারো গল্পে মেতে আমাদেরকে আপন করে নিল দু’জন। নিদারুন এই পরিস্থিতিতে ওদের সাথে আলাপচারিতা খুব জরুরী ছিল আমাদের । ইরানের প্রতিকুলতার কবলে নিজেদের আত্মবিশ্বাসের মাঝে যে ঘাটতি তৈরী হয়েছিল, ...
পিসায় যখন পৌঁছেছি সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই। শহরের মাঝদিয়ে বয়ে চলা খালের পাশে একটু খানি খালি জায়গা, ড্রাইভার সেখানেই গাড়ী রাখলো। আমাদের হোটেল সেখান থেকে ৫/৭ মিনিটের হাঁটা পথ। পুরোনো ছোট রাস্তা বলে গাড়ী যাবেনা। অগত্যা হাঁটা, ইটের রাস্তায় সুটকেসের চাকার একঘেয়েঁ খটর খটর শব্দ তুলে একসময় হোটেলে।
আধ ঘন্টায় রুমে ঢুকে সবকিছু রেখে হাত মুখ ধুয়ে ডিনারে বের হলাম, হোটেলে ঢোকার গলির মাথায় পিজা’র দ...
আফগানিস্থান আর ইরানের নো’ম্যনস ল্যান্ড পেরিয়ে মেশাদে পৌঁছলাম চারজন। তেহরানের দিকে রওয়ানা হতে হবে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব। এখানে বসে থেকে পয়সা খরচ করার ক্ষমতা আমাদের নেই। সকাল এগারোটা বাজে প্রায়। ক্ষিদেও বেশ তীব্রভাবেই জানান দিচ্ছে পেটের ভেতরে, কাবুল থেকে মেশাদ অবধি এই তিনদিনের ভ্রমনে খাবার পেটে পড়েনি বললেই চলে। আর এই লক্কর ঝক্কর বাসের ভ্রমণে ঘুমের কথা না তোলাই ভালো। তবে বিশ্বজ...