-- অনন্ত আত্মা
ডাক্তার বললেন –
- আপনার সমস্যাটা কি?
ফুপুর সাথে মিরপুরে চোখের ডাক্তারের কাছে আসছি। ফুপুর চশমার পাওয়ার বেড়েছে তাই ডাক্তারের কাছে আসবে, আমি বললাম, ‘চলেন আমারও চোখ দেখানো দরকার’। আমার বাসায় সবারই চশমা আছে শুধু আমারই নাই। স্কুলের বন্ধুদের অনেকেই চশমা নিচ্ছে। গরু, ছাগল মার্কা পোলাপান চশমার বদৌলতে কেমন বিজ্ঞ বিজ্ঞ জ্ঞানী জ্ঞানী চেহারা বানিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। আমি অবশ্য ...
জহিরুল ইসলাম নাদিম
খেলাধুলো জীবনেরই অংশ। তবে জীবনের যে সার্থক অনুবাদ ক্রিকেটে পাওয়া যায় তা অন্য ডিসিপ্লিনে কোথায়? গৌরবময় অনিশ্চয়তার যে অভিধা তা কেবল অভিধান খুলে লাগিয়ে দেয়া হয়নি। খাটে বলেই খাটানো হয়েছে। একদম মশারি খাটানোর মতো! মশারি যেমন আমাদের বিছানাকে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখে ক্রিকেটও তেমনি জীবনকে আলিঙ্গন করে আছে। কোনো কিছুই জীবনের বাইরে নয়। সবই জীবন থেকে নেয়া। কী নেই ক্ ...
প্রত্যাবর্তন
শাহেদের আজকে বড়ই আনন্দের দিন। জীবনের প্রথম formal shirt pant shoe পরে অফিসে যাচ্ছে সে। পাশ করার পর যখন সবার মধ্যে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়ার অদৃশ্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল, সেই দলে অন্যন্যদের মত সেও ছিল। engineer wanted লেখা দেখলেই সাথে সাথে cv দিয়ে আসতে কখনও-ই ভুল করতনা সে। সময়ের সাথে সাথে “ভালো বেতন” বিশেষণ টি উঠে গিয়ে শুধু যেকোনো একটি “চাকরি” পাবার বাসনাই মুখ্য হয়ে উঠেছি ...
রিচার্ড ফাইনম্যানের নাম কে না শুনেছে। তার মত মজার পদার্থবিজ্ঞানী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার সিওরলি ইউ আর জোকিং, মি. ফাইনম্যান বইটা তো রীতিমতো একটা ক্লাসিক! ঐ বইটার কিছু অংশ (মূল Part 4: From Cornell to Caltech, With a Touch of Brazil/ O Americano, Outra Vez!) "নাই কাজ তো খই ভাজ" প্রকল্পের অধীনে অনুদিত হল।]
[সতর্কীকরণ: অনুবাদ কার্যে ব্যাপকভাবে অনুবাদকের স্বাধীনতা ব্যবহার করা হয়েছে ...
* বর্তমান বা অতীত, বাস্তব বা কল্পনা কোনো কিছুর সঙ্গেই এ গল্পের কোনো দুশ্চরিত্রের বা দুর্ঘটনাবলীর মিল নাই। *
সিন্ধু নদের তীরে সন্ধ্যা নেমেছে। শীতকাল আসছে, একটু ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগে আজকাল। চাদরটা গায়ে জড়িয়ে নিলেন আলেকজান্ডার। মনটন খারাপ কদিন থেকে। প্রিয় সাথী হেফাস্টিওন কদিন থেকে রোজ রাত্রেই ‘মাথা ধরে আছে’ বলছে। যুদ্ধবিগ্রহের সময়েও যদি রাত্রে একটু কামকাজ না হয় তবে চলে কি করে? ...
[মিঁয়াও সিরিজের গল্পগুলো পর্ব পর্ব করে লেখা হলেও একটার সাথে আরেকটার তেমন যোগ নেই, এ কথা মনে হয় জানিয়ে রাখা দরকার!
নতুন নতুন নাম দেয়ার ঝক্কি থেকে বাঁচার একটা বড় উপায় এমন সিরিজ করে ফেলা- এটা মোটামোটি পরীক্ষিত সত্য।
তবে মিঁয়াও-কে ভালো করে চিনে নিতে চাইলে এখানে দেখা যেতে পারে, আগ্রহী পাঠকেরা বাকি গল্পগুলোর লেজ ওখানেই খুঁজে পাবেন।
এক পেশার মানুষ আমি ব্যাপক ডরাই, নাম শুনলেই আত্মা ধুকপুক শুরু করে, গলা শুকায় আসে, হাত-পা ঘামতে থাকে, ঘনঘন ছোটঘরে যাতায়াত বাড়তে থাকে। তাহলে এতই যদি ডরাই, তাগো কাছে না গেলেই পারি, দূর দিয়ে হাটলেই পারি, কিন্তু তা হবার নয়। কপাল এমন খারাপ যে কি বলব, যাকে বলে এক্কেবারে ব্যাড লাকের ভাগ্য খারাপ। সবাই নিশ্চয় এতক্ষনে মুখ চাওয়াচাওয়ি করতেছেন যে, এই ব্যাটা কয় কি? কিছু খাইছে নাকি? আরে না ভাই, অনেকে অধ ...
-- অনন্ত আত্মা
জীবনে প্রথম গ্রামে এসেছি, উৎসাহ-উদ্দীপনায় তাই একদম ফেটে পড়ছি। খোলা আকাশ, দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ, হাজামজা পুকুর – যাই দেখছি তাতেই মুগ্ধ হচ্ছি। এখন শীতকাল তাই সরষে ক্ষেতে সরষে ফুলের সমারোহ। মাটির রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে দু’পাশের সরষে ক্ষেত থেকে সরষে ফুলের মন কেমন করা গন্ধে মাতাল হতে হয়।
সারাদিন দৌড়-ঝাঁপ ছুটোছুটির পর রাতে যে মরার মতো ঘুমাবো এতো জানা কথা। রাত আটটা ব ...
বিশাল একটি চেইনশপ। কত জিনিস যে পাওয়া যায় এখানে!
প্রথম মিটিং এ সবার সাথে খবিশ খান পরিচয় করিয়ে দেয়। তারপর সবাইকে বলে কারো কোন নতুন স্টোরি আইডিয়া আছে কি না। আমি আগে ভাবতাম একটা নিউজপেপারে চাইলেই বুঝি যে কোন অন্যায় নিয়ে লেখা যায়।আমিতো মহা আনন্দিত। এখন নিশ্চই অনেক কিছু নিয়ে লিখতে পারবো। ওই সময়টাতে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটিতে একজন মহিলা শিক্ষকের উত্তক্ত করার ঘটনাটা নিয়ে লেখা-লেখি হয়েছিল পেপার গুলাতে। পরে একদিন সচলায়তনেও দেখি ...