===নিশা===
"সে যেদিন আমার বুকে মুখ গুঁজিয়া ফুঁপাইয়া ফুঁপাইয়া কাঁদিয়াছিল, সেদিনের কথা আমি ভুলি নাই ।...সেই অন্ধকার গভীর রাত্রে সে আর আমি একা ।...তাহার অশ্রুজলে আমার বুক ভাসিয়া যাইতেছে ।.."
"...সেদিন অন্ধকার নয়, সেদিন জ্যোত্স্নায় পৃথিবী ভাসিয়া যাইতেছে । আমাকে বুকের মধ্যে জড়াইয়া যে উন্মাদনা সে প্রকাশ করিয়াছিল, তাহারও ভাষা নাই ।..."
"...কোনদিন তাহাকে কিছু বলি নাই । অথচ তাহার নিত্যসঙ্গী ছিলাম ...
[justify] নজরুল ইসলামের আয়োজনে বাংলাভাষা নিয়ে ই-বইয়ের জন্য লিখেছিলাম এই লেখাটা। তাড়াহুড়ো করে ডেডলাইনের মধ্যে শেষ করে জানলাম সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে আর কাটছাঁট করা হয়নি বিশেষ। পরে বইটা যখন বেরোলো না যথেষ্ট সংখ্যক লেখার অভাবে, তখন একে ভাঁড়ার থেকে বের করে আনা যাক।
একান্নবর্তী না হলেও কলকাতায় আমাদের বাড়িতে একপাল লোক এক ছাদের নিচে একসাথে থাকে। বাংলাভাষ...
সবার, সবকিছুর একটা শুরু থাকে।
আবার শুরুরও একটা হয়তো শুরু থাকে অনেক ক্ষেত্রে।
জন্মের শুরুর শুরু, মৃত্যুর শুরুর শুরু, এইভাবে চলছেই...ধুত, আসলে আমার এই গল্পের, হ্যাঁ, গল্পের মতোই মনে হতে পারে অনেক জায়গায়, শুরুরও একটা প্রারম্ভ আছে, দীপ জ্বালানোর আগে সলতে পাকানোর মতো।
ধরা যাক, আমি একটা মানুষ বা তার কাছাকাছি জায়গায় ছিলাম অনেকটা...এই...২০০৬ সালের শুরুতে, মানে তখন অনুভূতিগুলো অনেকটা ওরকম...
মধ্যবয়স্ক আসগর সাহেব আর পাঁচটা বাঙালি কেরানির মতই। অর্থাৎ অফিসে উপরওয়ালার ভয়ে আর ঘরে বৌয়ের ভয়েই কেটে যায় তাঁর দিনগুলো। তিনি প্রচণ্ডরকমের শান্তশিষ্ট পত্নীনিষ্ঠ – আপিসের ছোকরা কেরানিরা যখন তাঁর আশপাশে বসেই কম্পিউটারে স্বল্পবসনা শ্বেতললনাদের ছবি খুলে লুল ফেলে তখন তিনি সেসব দিকে তাকিয়েও দেখেন না, এমনকি বাথরুম যাবার সময়ে যে ওই দুরের চেয়ারের হোসেন সায়েব একটু ছোট্ট করে উঁকি দিয়...
আকাশ কালো হয়ে আছে মেঘে, একটু আগেও বেশ হাওয়া দিচ্ছিলো, এখন পুরোপুরি বন্ধ। সবকিছু কেমন থম মেরে আছে। বাতাসে উড়তে থাকা ধুলোর গন্ধ। কে বলবে কিছু আগেও চারদিক আলো করে সূয্যিমশাই বেশ আড়ম্বরেই আকাশে ঝুলছিলো!
দেখতে দেখতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলো। বড় বড় ফোঁটা সরাসরি মাটিতে পড়ে ছিটকে পড়ছে, আবার কোনাকুনি উড়ে আসছে ছোট ছোট পানির কনা। বারান্দা ভিজে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। লোমশ শরীরটায় হাওয়ার ঝাপটা এতোক...
[পর্ব ১, ২, ৩ আর ৪ ও সাথেই রইলো। আলাদা আলাদা পর্ব- কাজেই পড়লেও চলবে,না পড়লেও।]
ডাইনিং রুমের টেবিলটার আশেপাশে মিঁয়াও পায়চারি করছে বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেলো। টেবিল নিয়ে ওর এতো মাথাব্যথা নেই, কিন্তু টেবিলের ওপরে যে প্যাকেটটা রাখা হয়েছে কিছুক্ষণ আগে সেটা তাকে চিন্তায় ফেলেছে- সমস্যা হলো দুশ্চিন্তা সুরাহা করার উ...
আমি অনেক চিন্তা করে দেখেছি ঈশ্বর আসলেই সমাজতন্ত্রী। মনে হয় একটা লেখাতেও বলেছি সেটা। এই লেখাটা সেই ভাবনা থেকেই। এই মার্কেটপ্লেইসের কেনা বা বেচার মধ্যে ঈশ্বর একদমই নেই। মানুষের ভেতরের যে মানবিক মূল্যবোধগুলো উনি ঠেসে দিয়েছেন সেগুলোও কোন বেচাকেনার ধার ধারে না। সন্তানকে লালন পালন করে বড় করে আমরা কোন বিল পাঠাই না, যদিও বিরাট একটা বিল আসা উচিত যেখানে আইটেমাইজড করা থাকবে কয়টা জ্যাম...
প্রফেসর এমেরিটাস বুলহাওয়ার বেশ অমায়িক। ছিপছিপে সদাহাস্য যত্ন করে ছাঁটা দুধসাদা দাড়িওয়ালা পরিপাটি চেহারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকী একাডেমিকেরা যেখানে টুইডের জ্যাকেট আর প্রজাপতি টাই দিয়ে সপ্তাহ-মাস কাবার করে দেন, সেখানে বুলহাওয়ার আসেন নিত্যনতুন দুই বা তিনপ্রস্থের উল বা রেশমি স্যুট পরে। সাথে প্যাস্টেল রং এর রেশমি টাই, নয়তো এরশাদ দাদুর মত গলাবন্ধ রু...
[মিঁয়াও এর গল্পগুলো আলাদা আলাদা, একটা পড়লে আরেকটা পড়তেই হবে এমন কথা নেই। তবে পড়তে চাইলেও দোষ নেই কোন, মিঁয়াও খুশীই হবে। চাইলে দেখে নেয়া যেতে পারে পর্ব ১, পর্ব ২ আর পর্ব ৩]
ইহা জ্ঞানী পোস্ট নয়। নিতান্তই অগভীর ক্ষুদ্র একটা না-ছড়া।
এই কয়েক লাখ পাবলিক মরে গেলেও রাষ্ট্রের কিছু যায় আসে না, একটা লোমও খসে পড়বে না। তবে মন্ত্রী বাহাদুরদের কিঞ্চিৎ গলা শুকালেও রাষ্ট্রের অনেক কিছুই যায় আসে। তাই মন্ত্রী বাঁচলে দেশ বাঁচবে- এই অনুসিদ্ধান্তে যারা একমত হবেন তারা এই পোস্টের ভেতরে ঢুকতে পারেন। যারা এই প্রতিপাদ্যে বিশ্বাসী নন, তার নিজ দায়িত্বে পোস্টে ঢুকুন। অস্বস...