সুন্দরী প্রসঙ্গটাই আমার প্রিয়। মানে সুন্দরী বালিকা। অবশ্য বালিকামাত্রেই সুন্দরী। তাই বৈজ্ঞানিকভাবে বললে বালিকা প্রসঙ্গটা আমার প্রিয়। ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেকগুলো সুন্দরীকাব্য লিখেছিলাম। ঝড়ের মতো ধুপধাপ করে লেখা। সেইসব পড়ে যথেষ্ঠ লোকে আমার ফেসবুক ফিড আনসাবস্ক্রাইব করেছে বলে ধারনা করি। তাই আপাতত আর ফেসবুকে কিছু লিখছি না। এইখানে নতুন পুরাতন মিলিয়ে গোটাকয়েক লিখে দিলাম। আপনারা তো জানেনই পৃথিবীতে দুটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, একটি হচ্ছে বালিকা, অন্যটি হচ্ছে বালিকার বান্ধবী।
আমরা বলি সত্য কেবল
অন্যরা সব মিথ্যে কয়
বললে আমি হুক্কাহুয়া
আমার দলে সঙ্গী হয়
আমার আছে অস্ত্র ভারী
পাইক্যা বাপের দীক্ষা নেই
যে করতে চায় তর্ক তাহার
মাকে ধরে শিক্ষা দেই
ফ্ল্যাশব্যাকঃ কেষ্টা ব্যাটা
================
৬ মার্চ ১৯৯৯ঃ উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ, যশোর (নিহত ১০, আহত ১০৫)
- ও ভাই, এইটা কে করছে?
- কে আবার আম্লীগ। দেশটারে শেষ করে দিল!
-------------
১৪ এপ্রিল ২০০১ঃ পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ, ঢাকা (নিহত ১১, আহত ১২০)
শিক্ষামন্ত্রী নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন কারাগারের কয়েদীদের যোগ্যতা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবেন। নতুন এই নিয়মের বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জেলার গুলবদন খাঁ এর জীবন তেজপাতা হয়ে গেল। 'যোগ্যতা অনুযায়ী উচ্চশিক্ষা' কথাটির যে কি অর্থ উনি এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছেন না। এই যোগ্যতা কে যাচাই করবে? তার তহবিল কে দিবে? শিক্ষা না স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?
গোলাম আজম কি একটা কারণে প্যারোলে বের হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মেজর গুলবদন খাঁ প্যারোলের কাগজ সাইন করে মুখ গোমড়া করে অফিসে বসে আছেন। এমন সময় গেটের ওদিক থেকে ধস্তাধস্তি আর মারপিটের শব্দে তিনি ভয় পেয়ে ছুটে গেলেন।
(গেটের বাইরে)
জেলার বাইরে এসে দেখলেন দুই কারারক্ষী প্রচন্ড জোরে একজন আরেকজনকে কিলঘুষি মারছে।
এই নিয়ে একে একে চারবার পত্রিকা অফিস থেকে গল্পের পান্ডুলিপি ফেরত আসলো। গল্পটি ছাপানোর জন্য "মনোনীত" হয়নি। তবে সম্পাদক মহোদয় আশা ব্যক্ত করেন, ভবিষ্যতে "মানসম্মত" ও "ভাল" লেখা দিলে, তা তিনি নিশ্চই ছাপানোর জন্য বিবেচনা করবেন। যাই হোক, আবারও হতাশার তীরে বিদ্ধ হল আমার হৃদয়ের তরুন লেখক সত্ত্বা। আমার ধারনা, সম্পাদক মহোদয় কোনবারই পান্ডুলিপিখানা খুলে দেখার প্রযোজন বোধ করেননি। খুব সম্ভবত গল্পটিতে আহামরি কোন
একটা বিজ্ঞাপন করার সুযোগ পেলাম। সরিষার তেলের বিজ্ঞাপন। মূল বিজ্ঞাপনের একদম শেষ অংশের ক্লিপ। এক সেকেন্ডের উপস্থিতি। তবে গুরুত্বপূর্ণ। হাতে সরিষার তেলের বোতল হাতে আমরা চার অভিনেতা দাড়িয়ে থাকব। সবার পড়নে পাঞ্জাবি পায়জামা। যার যার পাঞ্জাবি ঠিক করা আছে। আমার পড়েছে সবুজ কালার, হালকা কলাপাতা কালারের, সাথে সাদা পায়জামা। নতুন ঝকঝকে কাপড়। এই বিজ্ঞাপনের জন্যই কেনা হয়েছে। শুটিং শেষে সবাইকে দিয়ে দেয়া হবে। উপহার। অভিনেতাও হয়ে গেলাম উপহারও পেলাম।
- গতরাতে এক লোক আমাকে চুমু দেয়ার চেষ্টা করেছিল।
- ঠাডিয়ে একটা চটকনা মারনি?
- মেরেছি তো! তবে অপরাধ সঙ্ঘটিত হওয়ার আগেই কি শাস্তি দেয়া যায়?!
পিজির ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে শাহবাগ থানায় গোলাম আজম মামলা দায়ের করতে এসেছেন। ওসি কিছুটা বিরক্ত। দুপুরের খাওয়ার পর তিনি পিস্তল পরিষ্কার করছিলেন। এই সময় তিনি উটকো ঝামেলা পছন্দ করেন না।
- আপনি কোন ধারায় মামলা করতে চান?
- আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায়।
- আপনার বাড়ি মগবাজারে। আপনি ওখানে মামলা করেন।
- আমি তো এখন পিজিতে প্রিজন কেবিনে আছি। তার উপর অপরাধ সংঘটিত হয়েছে শাহবাগ থানা এলাকায়।