তোমার হাসির রুপালি বিদ্যুৎ,
যেন কোনো বৃক্ষকে তড়িৎ-স্পৃষ্ট করে আধাআধি ভাগ করে দেয়,
যেন এক রিনরিনে সূক্ষ্ম তরবারি, আকাশ থেকে নেমে
ভেদ করে বৃক্ষের আমূল হৃদয়।
এ হাসি শুধু জন্মাতে পারে বনভূমি,
আর তুষারঝরা পাহাড়ের দারুণ উচ্চতায়, বাতাসের
অনাবিল আনন্দ যেখানে পত্পৎ ওড়ে। এ হাসি
প্রায় তিনশ’ দিন পার করে এই ধারাবাহিকের ১০০তম গল্পটি থাকছে আজ।
ঈশপের গল্পগুলিতে নানা জন্তু, গাছ, প্রকৃতি মানুষের মত কথা বলে, কখনো বা মানুষদের মত আচরণ করে। এই অবাস্তবতার মোড়কে ধরে রাখা থাকে আমাদের চারপাশের একান্তই বাস্তব জগৎটি। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
তুমি গান গাও, যেন আকাশে সূর্য ওঠে
যেন সবুজ জিভে রিনরিনে সুর ভাঁজে সরল পাইন
যেন শীতের বুক চেরে পাখির সুরেলা শিস
তোমার কন্ঠস্বর মুহূর্ত থেকে গমের তুষ ছাড়িয়ে নেয়।
সাগর তার গভীর শস্যভাণ্ডারে জমিয়ে তোলে ঘন্টাধ্বনি,
পায়ের খসখস, শেকলের ঢং আর গুঙিয়ে ওঠা কান্না,
জমিয়ে তোলে সুরহীন ধাতুর আওয়াজ, ভবঘুরে
ঈশপের গল্পগুলি একই সাথে সমকালীন এবং চিরকালের। বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা।
অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়। সাথে আমার দু-এক কথা।
গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য http://www.aesop-fable.com -এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি।
গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে।
আমার মৃত্যুর পর, হাত রেখো আমার চোখে,
প্রিয় আঙুলের আভা আর গমের সতেজ ঘ্রাণ
বয়ে যাক আমার ওপর। আমার ভাগ্যরেখা
পাল্টে দেওয়া তোমার কোমলতা ঘিরুক আমায়।
প্রেম, আমি তামাম পৃথিবী ঘুরে, ছুঁয়ে এসে দুঃখের স্বাদ,
তোমার কণ্ঠস্বর, তোমার গীটারে স্পন্দিত রিনরিনে হাত,
হেমন্তকে চুমু দেওয়া আগুনের আঁচ, আর আকাশে ফিরে আসা
রাতের কাছে সমর্পিত হই।
আমি সবার জন্য চেয়েছি রুটি, স্বাধীন অধিকার;
যে শ্রমিকের কোনো আগামী নেই, তার জন্য বেঁচে থাকার মাটি।
কেউ যেন আশা না করে -- আমার রক্ত, আমার বেদনার গান বোবা হয়ে যাবে,
এমন মূহূর্ত আসবে একদিন, যেদিন বৃক্ষের, নক্ষত্রের
নীরবতা বুঝবে মানুষ, পাবে স্বচ্ছতার নিখাদ আওয়াজ,
আর বেহালার রিনরিনে স্বর ভরে উঠবে
অফুরান জ্যোত্স্নার সৌরভে!
হয়ত সেদিন এক অখণ্ড রুটি,
ধারণ করবে তোমার সফেদ ময়ান, তোমার কণ্ঠস্বর
আর হেমন্তের নিখোঁজ ঘোড়াগুলি
তোমার ধ্বনিময়তায় কথা ক'বে।
হয়ত তুমি এমনটাই হুবহু চাওনি কখনো,
তবু, ভালবাসা প্রাচীন রাখালী মধুর মত
ছলকে তুলবে মৃত্পাত্র আমার ।
কিছু কথা আগুনের কাছে বলি। ওরা কিছু বা নিঃশেষে পুড়ে যায়, কিছু বা মিশে যায় লকলকে শিখায়, কিছু বা ধোঁয়া হয়ে যায়। ওদের আর দেখতে পাই না।
কিছু কথা নদীর কাছে বলি, নদীর পাশে ঝুঁকে পড়া অশ্বত্থের মূলে চুপ করে বসে বসে বলি নদীকে। স্রোতের টানে ফেনিয়ে ফেনিয়ে ওঠে নদী, কলকল কুলকুল করে নিজেও কত কথা বলে। আমার বলা কথা ঘূর্ণীতে ঘোরাতে ঘোরাতে কেজানে কোথায় নিয়ে যায়, হয়তো বা দূরের সমুদ্রে, যে সমুদ্র নাকি নীল।