সে আর কিছু বলতে পারছিলো না। তার পাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। জিজ্ঞেস করলাম, “মাথা ব্যাথা?” মাথা নেড়ে বোঝালো না। আবার জিজ্ঞেস করলাম, “শরীর খারাপ?” -আবার না সূচক মাথা নাড়ালো। বুঝলাম মেয়েটা কাঁদছে। যেন-তেন কান্না নয়। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলা যাকে বলে। সাঁজ-গোছ করে শাড়ী পরা একটা মেয়ে কান্না করে যাচ্ছে। এটা মানায় না। তবুও মেয়েটি কাঁদছে। কান্নাটা একদম শব্দহীন বললেই চলে। আশেপাশের ম
---
এ পর্যায়ে এসে বিচক্ষণ পাঠককে বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, দর্শন-তাত্ত্বিক জ্ঞানচর্চার অংশ হিসেবে বক্ষ্যমান লেখাটিকে কেউ যেন ব্যক্তিগত বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ছকে ফেলে নিজের মানস-চেতনাকে অহেতুক উৎপীড়িত না করেন এবং উদারনৈতিক যুক্তিশীল অবস্থান থেকেই বিভিন্ন দার্শনিক-মতের নিজ নিজ যুক্তি-তর্কের উপস্থাপন হিসেবে উপভোগ করেন।
---
২।বাগানে এসে আক্ষরিক অর্থে মুগ্ধ হয়ে গেলো নীলা। নদীটা এত সুন্দর! বাগানটাও দারুণ! আহ, তাহলে এত কষ্টের পরে স্বর্গের দেখা মিললো! এখানেই সারাজীবন থাকতে হলে ক্ষতিটা কিসের? বরং অনেক শান্তি, অনেক সুখ!
১।
ট্রেনটা আস্তে আস্তে গতি কমিয়ে আনছে, দরজার কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলো নীলা। কাঁধের ব্যাগটা কাঁধেই ঝোলানো আর পাশেই চাকা লাগানো ট্রাভেল ব্যাগ। এখানে ট্রেন বেশীক্ষণ থামে না, নীলা জেনেছে আসার আগেই। এখন ট্রেনটা থামতেই লাফ দিয়ে নেমে ককিয়ে উঠলো নীলা। পেটের সেই ব্যথাটা। ধুত্তেরি ছাই, মনেও থাকে না।
একাকী নদীটির ধারা আলোর সীমা ছাড়িয়ে সন্ধ্যার দিকে চলে গেছে চুপচাপ। গভীর, নীল, নির্জন স্রোত। আধা ঘুম, আধো জাগা সেই ধারা বয়ে চলেছে নিজেরই নীলাভ সবুজ স্বপ্নের ভিতর দিয়ে।
গল্পটা রহস্য পত্রিকা’র অক্টোবর-২০১০ সংখ্যায় প্রকাশ হয়।
আমি আনারুল। মা বলতেন ‘আনারুল হক’। বাবা ডাকতেন আনু নামে। গাঁয়ের লোকেরা বলত আনারুল পাগলা। ভাঙাচোরা অবয়ব। পাখির নীড়ের মত উষ্কখুষ্ক কেশশ্রী, সাপের খোলসের মত খসখসে ত্বক, অস্পষ্ট বাচনভঙ্গি, বোকাবোকা চাহনি আর বুদ্ধির ঘটে আমড়া কাঠের ঢেঁকি; সবমিলিয়ে গ্রামবাসীদের দেয়া পদবীটা ধারণ করার মত যথেষ্ট যোগ্যতা আমার ছিল। তাই আজও এই গাঁয়ে পাগল ও আনারুল সমার্থক দুটি শব্দ।
কুরেন্ত আর ক্রানিয়াৎস ঘুরে ঘুরে দেখছিল মহাপ্লাবনের (এইখানে প্রথম অংশ) পরের দুনিয়াটাকে। ডাঙা জেগে উঠেছে বটে কিন্তু কোনোখানে কেউ নেই। প্রাণশূন্য এক বিবর্ণ দুনিয়া। কেজানে কতদিন লাগবে আস্তে আস্তে গাছপালা পশুপাখিতে দুনিয়া ভরে যেতে। মানুষ জাতির মধ্যে আছে কেবল ক্রানিয়াৎস। সে এই বদলে যাওয়া দুনিয়া দেখে কেমন হতভম্ব হয়ে গেছে, মুখে কথা নেই। হাজার হোক, মানুষ ত
"দ্যাখেন আম্মু, এই লোকটার সাথে আমার অনেক মিল"... শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় এর লেখা পার্থিব পড়তে পড়তে, বইটার একটা চরিত্র কৃষ্ণজীবনের ব্যাপারে আম্মুকে বললাম।
আম্মুর তেমন কোন আগ্রহ নেই বই-টইয়ের দিকে, তাও জিজ্ঞেস করলেন, "কেমন মিল?"