চৈত্ররাত্রির তারা-ছলছল অন্ধকারের ভিতর দিয়ে তোর পায়ের চিহ্ন খুঁজে খুঁজে হাঁটতে থাকি, হাঁটতে থাকি, হাঁটতে থাকি। এ অন্বেষণের কথা কেউ জানে না, কেউ জানবেও না কোনোদিন। শুধু আকাশ ধরে রাখবে স্মৃতি, দ্যুতিময় মেঘের ডানার ভিতরে, সঙ্গোপণে। ভোরে এসে তুই দেখবি পড়ে আছে নীলকন্ঠের পরিত্যক্ত পালক আর ম্লান রক্তকরবীর কঙ্কণ।
রাত্রির অন্বেষণকথা জানে না দিনের আলো
অবাক বাতাস তার কানে কানে বলে ইতিহাস,
তোমায় ক্ষমা করলাম।
যতটা দুঃখ দিয়ে তুমি
আমার বেঁচে থাকা কেড়ে নিলে
তার জন্য কিছুই বললাম না !
তুমি তোমার সোনার হরিণ নিয়ে
বেঁচে থাক চিরকাল
নিত্য নতুন গান নিয়ে
আর ছুটে আসব না !
[justify]
রেজওয়ান বলল, ‘ফারুকের বাসায় যাবি নাকি?’
আমি জবাব দিলাম না। আগের মতই সিগারেট টানতে টানতে নদীর দিকে তাকিয়ে রইলাম। স্রোত আসছে-যাচ্ছে। ব্রীজের উপর থেকে নদীটা অবশ্য পুরোপুরি দেখা যাচ্ছে না, অন্ধকারের সাথে কিছুটা অনুভব করে নিতে হয়। আমার বেশ লাগে। কতদিন এই নদী থেকে দূরে ছিলাম। এই নদীর দিকে চেয়ে থাকলে কেমন একটা হাহাকার ধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়।
আমি গল্পকার নই। তবুও গল্প ঘোরে মাথার ভিতরে। কোনোটিই পরিণতি পায় না। অর্ধেক মূর্ত হয়ে বাকিটুকুর প্রার্থিতায় মাথাকুটে মরে। তাকে সঙ্গত দিতে আমিও সঙ্গি হই তার। তাই এ লেখাকে গল্প না বলে গল্প ভাবনার পরিণতি প্রত্যাশা বলাটাই ভালো। এটা একটা প্রচেষ্টা । দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝে এটা বেসুরো ঠেকবে হয়তো। মন্তব্য জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
রোদ ধরা খেলা
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
এক.
নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাটি নিয়মিত পড়ি। এ পত্রিকায় কারেকশন নামে একটা টুল আছে। ১৬ এপ্রিলে দেখি সেখানে কয়েকটি সংশোধনী দেওয়া আছে।
১। প্রথম পৃষ্ঠায়—রুজভেল্ট আইল্যান্ড গার্ডেন ক্লাবের একটি ছবি ছাপার ক্যাপশন ভুল হয়েছিল।
[justify]
আমাদের ঘরে রাতের বেলা কখনও আলো জ্বলে না।
সবই ঠিক আছে। সবার মত আমরাও সকালে উঠি, গোসলে যাই। খেয়ে-টেয়ে যে যার কাজে যাই, আবার ফিরে আসি। কিন্তু সমস্যা শুরু হয় সন্ধ্যা হলেই। ঘরে আলো জ্বালানো হলেই মা চেঁচিয়ে বলেন, ‘আলো জ্বালাইল কে রে? কে জ্বালাইল? ওরে চোখ যে জ্বালা করে...’
পুরানো ক্যালেন্ডারের নীল রঙের তারিখগুলোতে লুকানো অশ্রু আর লালরঙের তারিখগুলোতে লুকানো রাগ, সব রয়ে গেছে ঐসব দিনগুলোর খাঁজে-খাঁজে ভাঁজে-ভাঁজে। নিষ্ফল অশ্রুর বৃষ্টি যা শুধু নিজের ভিতরটাকেই ভিজিয়েছে আর নিষ্ফল ক্রোধের আগুন যা শুধু নিজের হৃদয়কেই পুড়িয়ে পুড়িয়ে মরে গেছে। আজ পিছনে ফিরে দেখি সব ঐসব দিনের মধ্যেই রয়ে গেছে, নিজের সঙ্গে কিছুই নিয়ে আসিনি। কিংবা হয়তো এনেছি, হয়তো স্মৃতির পাথরে ভাস্কর্য করে গেছে ওরা
(এক ধরনের ছোটো গল্প আছে যেগুলো বুক পকেটে দু টাকার নোটের সাথে ভাঁজ করে রেখে দেয়া যায় সাবলীল, হুট করে সকাল বা বিকেলের এক কাপ চা এর সাথেই পড়ে ফ্যালা যায় অল্প সময়েই। এই গল্পগুলোকে আমি বলি 'পকেট গল্প' এটা সেরকম ই এক পকেট গল্প )
[justify]
আফজাল মোটেও স্বস্তির মধ্যে নেই।
সারাটা দিন ধরে কারেন্ট থাকে না। এই গরমের মধ্যে কারেন্ট ছাড়া থাকা যে কী রকম কষ্টকর তা এখন আফজাল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। আগেরকার দিনে মানুষরা যে কীভাবে থাকত সে এখন তা চিন্তাও করতে পারে না। সে মেসে থাকে। তার রুমমেট শরীফ হচ্ছে বড্ড ঘুমকাতুরে। এই অসহ্য গরমেও সে দিব্যি আরাম করে ঘুমায়। ঘুমানোর সময় তার মুখটা কিছুটা হা করা থাকে। মুখ দিয়ে প্রায়ই লালা পড়ে বালিশ ভিজে যায়। আফজালের দেখতে কুৎসিত লাগে। কিন্তু কিছু বলতে পারে না।