ইচ্ছে ছিলো গ্রীক পুরাণের বীরদের নিয়ে একটা কাহিনীমালা লেখার। পুরানো বিষয়। বাংলা ব্লগের যাত্রা শুরু হয়েছে সাত বছর হলো, এখনো এই বিষয়ে কেউ কিছু লেখেন নি তা তো না। বরং এই বিষয়টা লেখালেখির মধ্যে শীর্ষেই থাকবে। সে থাকুকগে, আমি আমার মতন লিখবো। বলে তো দিলাম। এখন দেখা যাক আসলে আমি কত বড় যোদ্ধা। অলসতার সাথে লড়াইয়ে আমি জিতলেই কেবল এই লেখালেখি হতে পারে। তাহলে শুরু হয়ে যাক-
বসন্ত কাল। জ্বলন্ত হলুদে ঝলসে আছে প্রকৃতি। চারপাশে এতো হলুদ যে চোখ ঝাঁঝিয়ে যায়। কৃষ্ণচূড়ায় ছেয়ে থাকা বন। হঠাৎই গাছে গাছে বিদ্রোহ শুরু হল। চারপাশ দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠে। হুতাশন, সর্বত্র হুতাশন। নাকে এসে পোড়া গন্ধ জ্বালা ধরায়। ধড়মড় করে জেগে উঠলেন রংবালা। ততক্ষণে আগুন স্নানঘর, রান্নাঘর ছাড়িয়ে পাশের ঘরের পূবদিকের আলমিড়া পর্যন্ত চলে এসেছে। স্বপ্ন ও জাগরণের দ্বিধান্বিত সাঁকো পার হতে কয়েক সেকেন্ড সময়
ইউসুফ মিয়া গাড়ি নিয়ে বেরুনের সঙ্গে সঙ্গেই একটা ভাল খ্যাপ পেয়ে গেলো। ছেলেটার মাথা দিয়ে গলগল করে রক্ত পড়ছে। মেডিক্যাল যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে ভাড়াটাও বেশি পাওয়া যাবে। আবার মেডিক্যাল থেকে ভাল ফিরতি খ্যাপও পাওয়া যায়। মেডিক্যালের ভাড়া মারতে তার সবচেয়ে ভাল লাগে। অসুস্থ, দূর্বল, মৃতপ্রায় লোকগুলো বেশি ভাড়া দিতে কৃপণতা করে না।
সূর্যের আলো খুব সহজভাবে পৃথিবী ছুঁয়ে দিলে
ভিতরের অনুভূতির মতো দগ্ধ হ'তো শরীর
কিছুটা জটিল তার আগমন তাই-
আমাদের ভাগ্যে জুটলো একখণ্ড আকাশ- নীল।
আমার ভাগ্য লেখা নেই হাতে কিংবা কপালে
আছে চোখের নিচে কালো দাগে
একটু জটিল হ'লে তার মুক্ত লাল ফোঁটায়- আগমনী গান গেয়ে
প্রতীক্ষায় বসে থাকতাম তোমার দিকে চেয়ে।
আরো একটু জটিল হ'লে অদ্ভুত সুড়ঙ্গ পথে
যোগাযোগ হ'তো রাত গভীরে
ডাল গুড়ো করার যাঁতাকলে ক্যাঁচর ম্যাঁচর শব্দ করে ডাল পিশাচ্ছে ব্লাউজ না-পড়া দুটি পৌঢ়া; যে কুটনী মহিলা তাদের এই কাজের তদারকি করতে এসে চেয়ারে বসে গুড়গুড় করে হুক্কা টানছে তার গায়েও ব্লাউজ ছিল না,- কাছেই জানালার ফাঁক গলে ভেসে আসছে ঘেঁটুপুত্র কমলার ফুঁপানো কান্না। তার কান্না ল্যাপটপ থেকে আস্তে আস্তে বের হয়ে আমাদের মাথায় নেশা ধরায়, স্তব্ধ স্থির পাতলা কুয়াশার মত ঝুলে থাকে ঘরের ছাদের নিচে। আমরা কমলার কান্ন
শাহবাগ বাসস্ট্যান্ডের একটু সামনের দিকেই যেই পেট্রোল পাম্পটা, আনিস প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে সেইখানে দাঁড়ানো। চেহারায় বিরক্তি এবং উদ্বেগের ছাপ স্পষ্ট। এমনিতেই বাসা থেকে বের হতে দেরি হয়ে গেছে, তারউপর একটাও ক্যাব পাওয়া যাচ্ছেনা।
এক ছিল কাঠুরিয়া, সে ঝোপজঙ্গল থেকে জ্বালানি কাঠকুটো কেটে বাজারে বিক্রি করে সেই টাকায় দিনাতিপাত করতো। খুবই গরীব ছিলো সে, কষ্টে দিন চলতো।
সমান্তর প্রগমন
পাথরের কাছে যাই, বলে সে,
বহুকাল স্থানু পড়ে আছি এইখানে,
একটু ঠেলে দাও, আমি গড়িয়ে গড়িয়ে চলে যাব ঐ নদীটির কাছে
শরীর জুড়ে পেতে চাই একটু গতির আনন্দ।
বরফের চাঁইয়ের কাছে যাই, সে বলে,
তীব্র শীতে জমে গেছে হৃদয়, চারিদিক ধাঁধাঁময় শুভ্র বহুবছর,
আমাকে কেউ বসন্তের দিন দেখাতে নিয়ে যাও
গলে যাব জানি তবু হৃদয়ের উপরে যেন ফোটে বর্ণিল একটি গোলাপ।
আগুনের কাছে যাই, দাউদাউ করে বলে সে,
১। পিটারের রুচি গেল চলে!
খাবারে রুচি, তুমি সবসময়ই পাবে
যদি রাখো মনটাকে হাসিখুশিভাবে
-পিটার র্যাবিট