Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

সাহিত্য

দেশবিদেশের উপকথা-এক আশ্চর্য কবি (ওয়েলসের উপকথা)

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ২৭/০৬/২০১২ - ১২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক দেশে ছিলো এক যাদুকরী। সে নানা যাদু তো জানতোই, আর জানতো নানা বনৌষধির গুণাগুণ। সেই সব বুনো লতাপাতা থেকে সে নানারকম ওষুধবিষুধ তৈরী করতে পারতো।


পরাবৃত্ত

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ১৩/০৬/২০১২ - ৯:৩২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অরণ্যা থাকতো একটা গোল গন্ডীর ভিতরে, একটা বৃত্ত। কিন্তু বৃত্তটাকে দেখা যেতো না। অরণ্যা যখনই চলতে চাইতো, সোজা চলতে চলতে একজায়গায় পৌঁছে কিছুতেই আর তার থেকে দূরে যেতে পারতো না, আবার ফিরে আসতে হতো চেনার দিকে। কেবল সে দূরের একটা নদীর আভাস দেখতো সে, একটা নীলচে পাহাড়ও যেন দেখতে পেতো, আর ওর মনে হতো কোথায় দূরে দূরে দূরে কী যেন রয়েছে অচেনা। কী অপূর্ব সেই অচেনা! কেন সে সেখানে যেতে পারে না?


| চতুষ্পদী কষ্টগুলো… |২১-২৫|

রণদীপম বসু এর ছবি
লিখেছেন রণদীপম বসু (তারিখ: বিষ্যুদ, ৩১/০৫/২০১২ - ১২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


(২১)
বৃক্ষের বল্কলে নদীর চিহ্ন দেখে-
তুমি যে চমকালে হঠাৎ !
আমি তো খুঁজিনি এতো- কোথা কোন্ বৃক্ষদেহে
কে কখন রেখেছিলো জলমগ্ন হাত !
.


সুবর্ণ গিরি

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ৩০/০৫/২০১২ - ১:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সন্ধ্যা সন্ধ্যা ধূপছায়া-আলোর ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, একটা নীল পর্দা সামনে, আরো কাছে গিয়ে দেখি নীলের উপরে লাল আর সবুজ দিয়ে ইকড়িমিকড়ি নকশা, কীসের ছবি চিনতে পারি না। কখনো মনে হয় ডানা মেলা পাখির দল ফট ফট করে উড়ে যাচ্ছে ঘুরতে ঘুরতে, আবার কখনো মনে হয় লালমাথাওয়ালা শত শত উদয়নাগ, সেই সাপগুলো সব একসাথে ফণা তুলে নাচছে। হাওয়ায় পর্দা সরে গেল, টুক করে ঢুকে পড়লাম একটা ঘরে। সেই ঘরে চারিদিকে আশ্চর্য সব ছবি ঝুলছে,


আমার নজরুল কাহন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২৫/০৫/২০১২ - ১১:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেখাটির শিরোনাম কি দিব তা নিয়ে প্রথমে একটু দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম নাম দিব 'নজরুল কথন'। কিন্তু তারপরে মনে হল এটা আসলে নজরুল কথন না, এটা 'হাসনাত কাহন'-আমার জীবনে কীভাবে নজরুল আছেন। 'হাসনাত কাহন' নাম দিলে শিরোনাম অন্য অর্থের দিকে ইঙ্গিত করবে বলে নাম হয়ে গেছে 'আমার নজরুল কাহন- অর্থাৎ আমার ও নজরুলের কাহিনী।


স্বপ্ন-অষ্টমী

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বুধ, ২৩/০৫/২০১২ - ৩:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি সবসময় স্বপ্নে ছিলাম। একদম ছোট্টো থেকে, শৈশবের যতদূর মনে করতে পারি ততদূর পর্যন্ত নিজেকে স্বপ্নের মধ্যে দেখতে পাই। ঘুমের ঘরের মধ্যে স্বপ্নের নীল বিছানা, রেশমী চাদরে ঢাকা। ধূপের ধোঁয়া দিয়ে ঘেরা। মেঝেতে লাল আর সাদা চৌকো চৌকো নকশা, সেই ঘরেই আমি শুরু থেকে রয়ে গেছি।


নীলকন্ঠ পাখির খোঁজে

তাপস শর্মা এর ছবি
লিখেছেন তাপস শর্মা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২২/০৫/২০১২ - ৭:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমন হয়না। সহজে হয়না। এমনভাবে ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া কথা শোনা হয়নি বহুকাল...
প্রথম সূচনা হয়েছিল ‘পথের পাঁচালি’ দিয়ে তারপর সেই পথে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলো ‘গৃহদাহ’, এরপর ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ এবং শেষটা ছিল ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’... এরপর বহুদিন। বহু সময় গড়িয়ে গেছে কিন্তু সেই স্পর্শের বিহ্বলতা, হৃদয়ের পোড়াস্থানে আন্দোলন উঠেনি বহুদিন।


মান্টোর গল্পঃ তোবা টেক সিং

সুমাদ্রী এর ছবি
লিখেছেন সুমাদ্রী (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৫/২০১২ - ৫:৫৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উর্দু সাহিত্যের শক্তিমান ছোটগল্পকার সাদাত হাসান মান্টোর জন্মশতবার্ষিকী চলে গেল ১১ই মে। এই ক্ষণজন্মা, মানুষের পক্ষে থাকা অমর গল্পকারের বেশ পরিচিত একটি গল্প তোবা টেক সিং। মূলত দেশ ভাগ নিয়ে রূপকধর্মী গল্প এটি। ইংরেজী থেকে অনুবাদ করার প্রচেষ্টা করা হল এখানে। মান্টোকে নিয়ে গুগলে বিস্তারিত অনেক কিছুই জানা যাবে, তাই ওদিকে আর গেলাম না।

তোবা টেক সিং
সাদাত হাসান মান্টো


অবাক জ্যোৎস্না

তুলিরেখা এর ছবি
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: শুক্র, ১১/০৫/২০১২ - ৩:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তাকে বিকেল থেকে চিনতাম, সেই তখন থেকে, যখন আলো ছিলো অনেক বেশি। মাঠের সবুজ জ্বলজ্বল করছিলো, তার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাচ্ছিলো আমাদের কাকজোড়া খেলা। মাথার উপরে উপুড় হওয়া আকাশে নীলের সঙ্গে ভাব করে উড়ছিলো সাদা, সবুজ, লাল গোলাপী ঘুড়ি- ঘুড়ির পাশে ঘুড়ি।


একটি এসএমএস চলে যায় রবীন্দ্রনাথের কাছে

মাহবুবুল হক এর ছবি
লিখেছেন মাহবুবুল হক (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ১০:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবাণু বিস্ফোরণে আছি
আছি দুবেলা দুমুঠো কানামাছি খেলায়
সংসারে এমন অসংখ্য প্রাত্যহিক জীবাণু বেশ সুখে আছে
খাচ্ছে.. দাচ্ছে.. কেটে যাচ্ছে

অন্ধকারের বিপরীতে চেনাচেনা ছায়ার ফাঁকে
শহরের সমস্ত ঘনীভূত দীর্ঘশ্বাস ভর করে
মাতাল পূর্ণিমায়
রক্তিম উল্লাসে ফেটে পড়ে চাঁদ

ক্ষুদে বার্তার জন্য আঙুল চেপেচেপে
অক্ষরগুলো কেটে-ছেঁটে বারবার সাজাই।
শব্দের বনসাই
দেখে হয়তো অবাক হবেন তিনি