আমিতো জানিই আমার পরিণতি
তোমার লাস্য চোখের লবণ জলে
ইচ্ছের নৌকো ভাসানোর শেষ ইচ্ছে
পূরনেও ব্যর্থ ; এক করূণ নিয়তি।*১
টলটলায়মান অবস্থায় এসে কোনোরকমে নিজেকে ঢেলে দিলাম বিছানায়, "বিছানায় বিছাইয়া দিলাম" বলা যেতো কাব্য করে। কিন্তু কাব্যের অবস্থা নাই, ক্লান্তিতে আধামরা অবস্থা। অথচ ঘুম আসে না, ক্লান্তি একটা আলগা পোশাকের মতন জড়িয়ে থাকে দেহমনের উপরে। রাত এখন অনেক।
ভুলে থাকার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না। একটু পরপরই মনে হচ্ছে - অসম্ভবভাবে কোথাও হারিয়ে যাই। যেখানে গেলে আর কেউ কখনও খুঁজে পাবে না। প্রসুনের ডায়াগ্রামটার কথা মনে হয়।
কি বলিষ্ঠ আর আশ্চর্য টান টান ভঙ্গিমা। ঠিক যেন অর্কেস্ট্র্রার কোন জাদুকর বাজিয়ে। চঞ্চল হাতের তর্জনীর ইশারায় যে সঙ্গীত বেজে উঠেছে, সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর হৃদয় তাতে নাচতে থাকে। গুনগুন রিনিঝিনি তাক ধিনাধিন ঝনক ঝনক ধুন ওঠে - ছয় দফা, এগারো দফা, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম ..
ভারতবর্ষ - সে এক কল্পনার দেশ। তাকে নিয়ে কতই না উপকথা ইউরোপের বাতাসে বাতাসে উড়ে বেড়ায়। তন্ত্র, মন্ত্র আর ঐশ্বর্য্যের গল্পগুলো একেবারে রূপকথার মত। ভারতবর্ষের আকাশে যে পাখিরা উড়ে বেড়ায় তাদের চোখগুলো দ্যূতিময় হীরায় তৈরী। গাছের পাতাগুলো রূপোর - আর সেই রূপোলী পাতার মধ্যে ফুটে থাকে খাঁটি সোনার আপেল। পথের ধুলোয় স্বর্ণরেণু চিকমিকিয়ে ওঠে। পাহাড়ের গা বেয়ে পথ চলতে গেলে নুড়ি গড়িয়ে পড়ে। সে নুড়ি সাধারন পাথরের না
এইসব চৈত্রদিনে সেই বাড়িটা মনে পড়ে। ছোট্টো একটা বাড়ি, চারপাশে একটু উঠান আর ফলফলারির গাছ। বেড়ালতার বেড়া দেওয়া সীমানা। তার পরেই বিরাট এক আদিগন্ত ধানক্ষেত। আর একটা শিমূলগাছ, বাড়ীর লাগোয়া দক্ষিণের একটুখানি ফাঁকা জমিতে। ওটা ধানক্ষেতের পাশেই। আশ্চর্য গাছ এই শিমূল, শীতে পাতাটাতা সব ঝরে ন্যাড়া ডালপালা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে, শীতের শেষে হঠাত করে ভরে যায় কুঁড়িতে,সেই কুঁড়ি ফুটে টকটকে লাল ফুলের মেলা বসে যায় বসন্তে,
[সতর্কতা : এটা নিরস কিংবা কাষ্ঠরসিক বুড়োদের সিরিজ।]
…
এই উপকথা আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডের। আশ্চর্যভাবে আমাদের দেশের উপকথার সাথে কোথায় যেন মিল আছে। বাঙালী নামধাম দিয়ে গল্পটা বলতে চেষ্টা করলাম। আজকে দ্বিতীয়ার্ধ।আগের অংশ এখানে
২। তারপরে দিন যায় দিনের নিয়মে। রাখাল আর মেঘবতীর জীবন চলে আগের মতনই। এখন ইঁদুর আর কাঠঠোকরা তাদের কাছেই থাকে, ব্যর্থমনোরথ গুপ্তচরেরা বিদায় নিয়েছে।
…
সপাং করে পিঠের ওপর জালিবেতের তীব্র বাড়িটা পড়তেই শার্টের নিচে চামড়াটা যেন ঝলসে উঠলো অপুর ! অবিশ্বাস্য চোখে রহমান স্যারের এমন ভয়ঙ্কর মূর্তি দেখে শিউড়ে ওঠলো সে। বড় বড় চোখ দুটো ডিমের মতো ঠেলে বেরিয়ে আসছে তার ! চতুর্থ শ্রেণীর ক্লাশ টিচার রহমান স্যারের এমন উগ্র রূপ আগে কি কখনো দেখেছে সে ! কিছুতেই মনে করতে পারলো না।