আগের অংশ এখানে। ৭। পাশাপাশি ঘুমিয়ে যাই আমরা, আমাদের দুটো হাত পরস্পরকে ধরে থাকে, একে অপরকে সাহস দেয় স্পর্শের বৈদ্যুতি-ভাষায়, আস্তে আস্তে হাত দু'খানাও ঘুমিয়ে পড়ে৷ ঘুমের মধ্যেও কিন্তু সেই বিঁধে থাকা কাঁটার মতন অস্বস্তিটা থেকে যায়, যেন কেউ লক্ষ্য করছে আমাকে৷ যেন আমার হৃদয় মস্তিষ্ক মন বুদ্ধি সব খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কারা দেখছে, আঁতিপাতি করে কিছু খু
বহুকাল উপকথা শোনানো হয় না, ইস্কুলবেলার কিস্তিগুলোও থেমে গেছে কবে যেন, এমনি এমনি যা খুশি কথা আর টুকরো কবিতা নিয়ে যে লেখাগুলো নিজে নিজেই আসতো, সেগুলো ও আর আসে না কীবোর্ডে ঠকঠক করলেও। আসি যাই ঘুরে ঘুরে দেখি, লগিনও করি না। একটা কেমন ধূসর ফ্যাকাশে ন্যাড়ামতন দশা। আজ কী ভেবে ঢুকে পড়ে একটা ইঁট পেতে রেখে গেলাম।
[justify]
রুমার মনটা আজ বেশ ভালো। গুনগুনিয়ে যখন গান গাচ্ছিলো তখন পেটের বাবুটাও খানিক নেচেছে ওর সাথে। নাচবেই না বা কেন? ও ভালো গায় না নাকি? বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন তখন হুট করে গেয়ে ফেলতো দু চার লাইন, তারপরে সবার মাঝে হুড়োহুড়ি পরে গেলেও আর একটুও গাওয়ানো যেতো না ওকে দিয়ে! জামশেদও ওর প্রেমে পরে টিএসসিতে এক অনুষ্ঠানে ওর গান শুনেই। ওর এক বন্ধুর সাথে এসেছিলো অনুষ্ঠানে, পরে খুঁজেপেতে বের করে রুমার বাসায় একেবারে বিয়ের প্রস্তাব। ভালো পাত্র পেয়ে ওর বাবা মাও না করেনি।
সেই বিয়ের আজ দুবছর হলো, আর রুমার পেটে এখন ওদের সন্তান। আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরে তুলতুলে একটা জ্যান্ত পুতুল ওর সমস্ত একাকীত্ব ভুলিয়ে দেবেই দেবে, রুমা সেটা খুব করে জানে!
এখানে আগের পর্ব ৫। আমি আর আরেনুশ কিছু কিছু সকালের ক্লাস একসঙ্গে করি, প্রধানত চিত্রকলার ক্লাস৷ দুপুরে একসঙ্গে দু'জনে টিফিন খাই, তারপরেই আরেনুশ চলে যায় এক দূর প্রান্তরে যেখানে অনেক ছোটো বড়ো মিনার আর প্রার্থনালয় তৈরী হচ্ছে, সেখানে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ও ভাস্কর্যের কাজ করে৷
(১)
আজ তাঁর মৃত্যুদিন। ২০০৭ সালের এই দিনে আমরা হারাই তাঁকে। কি হারিয়েছি তখনও ঠিক ঠাওর করে উঠতে পারিনি আমরা। আজ তাঁর শুন্যতাই কেবল বলতে পারে কি হারিয়েছি, কোন বাক্য এর জন্য যথার্থ নয়। বলাই বাহুল্য আমাদের দেশের নিয়মানুযায়ী মৃত্যুর পরই তাঁকে সবাই চিনতে শুরু করলো, গুরুত্ব অনুধাবন করলো এবং মূল্যায়ন করতে আরম্ভ করলো। তবে হ্যাঁ, তাঁকে যারা চিনতো তারা ২০০৭-এর ২৭ জানুয়ারি বারডেমের এখানে ওখানে ডুকরে কেঁদেছিলো, পু
এক দেশে এক মানুষ ছিল, শান্ত এক সবুজ গাঁয়ে ছিল তার ভিটাবাড়ী। কবে কোন্ পুরাতন অতীতে ঈশা খাঁয়ের হাতী বাঁধা হয়েছিলো গাঁয়ের শিমূলগাছে, সেই থেকে গাঁয়ের নাম শিমূলিয়া।
একটি কালজয়ী উপন্যাস, প্রকাশকাল ১৯৫৬। লেখক সল বেলো। মুলত ছোট্ট আকৃতি ও বিষয়বস্তুর ব্যপ্তিগত কারণে এটিকে নভেলা (novella) আখ্যা দেয়া হয়।
বাদশা মিয়ার হাঁপানির টান উঠেছে।
নিঃশ্বাস নিতে গেলে জীবন বেরিয়ে যাওয়ার মত কষ্ট হচ্ছে তার। চারিদিকে বাতাসের ছড়াছড়ি, কিন্তু তার মধ্যে একটু বাতাসও বাদশা মিয়ার জন্যে না। বেঁচে থাকার জন্য যা কিছু দরকার, তার সবটুকুই যুদ্ধ করে আদায় করতে হয়। নিঃশ্বাস নেওয়ার লড়াই করে বাদশা মিয়ার সেটা বুঝে নিতে হচ্ছে। সে প্রানপণে শ্বাস টানে। তার বুক হাপরের মত ওঠা নামা করে। তাতে তেমন কোন লাভ হয় না। বায়ু শূন্য বুকে বাদশা মিয়া কিছুক্ষণের জন্য হাল ছেড়ে দেয়; পরক্ষণে আবার যুদ্ধ শুরু করে।
এখানে প্রথম অংশ ৩। মজবুত জাহাজে অনেকের সঙ্গে ভেসে পড়লাম আমি আর আরেনুশও৷ অনেক তদবির তদারকের পর অনুমতি পাওয়া গেছে সাংগ্রিলার৷ না না, যোগের ইস্কুলে নয়, অত যোগ্যতা আমাদের কোথায়?