হেমন্তের দিন গুলোকে বিষাদবিধুর বলেন জ্ঞানীগুণীরা অনেকে। দিন ছোটো হয়ে যায়, আলো পাওয়ার সময়টুকু কমতে কমতে কমতে কমতে কেমন একটা মনকেমন রেখে যায়, বিরাট বিরাট গাছেদের সব সবুজ পাতাগুলো দেখতে দেখতে বাদামী লাল কমলা হলুদ হয়ে ঝরে পড়ে যেতে থাকে, ন্যাড়া গাছেরা নাঙ্গা সন্ন্যাসীর মতন স্তব্ধ দাঁড়িয়ে থাকে উদাসীন নীল আকাশের নিচে। এমন সব দিনে মানুষের মন ও নাকি কেমন বিষাদনীল হয়ে যায়।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
রবীন্দ্রনাথ জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জমিদার পরিবারের সন্তান।
#
যে পথে বাড়ি ফেরার কথা সেই পথে বাড়ি ছিল না বলে আমি ঘুরপথে বাড়ি ফিরতে গেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি শূন্যতা, সেখানে কোনো পাখি উড়ছে না। অথচ মা পইপই করে বলে দিয়েছিল আকাশে পাখি না উড়লে বাড়ি ফিরবি না। এই আকাশে পাখি নেই, যে আকাশে পাখি আছে সেই পথে বাড়ি নেই।
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
প্রথম পর্ব
---------
স্ স্ স্ হ স হু...উ। সসহ ধুম।
হুম। ড্রয়ারটা হয়ে খুব আরাম হয়েছে।
না গুছালেও সমস্যা নাই, এর মধ্যে ফেলে রাখলেই হলো।
‘ড্রয়ার’- ব্যাপারটা আসলে ভালই।
কারো কারোতো পুরো রুমটাই- ড্রয়ার ।
পুরা বাড়িটাই ড্রয়ার বানিয়ে রেখেছে- এই রকম লোকও আছে।
রঙধনু রঙের মগ্ন আনন্দে মশগুল পৃথিবী বাইরে পড়ে থাকে। দমবন্ধ ঘরের বদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে মৃত্যূকেও বড্ড বদ্ধ মনে হয়। বাঁচতে ইচ্ছে করে না। মরাও হয়ে ওঠে না। জটপাকানো রোদ আর অন্ধকার বুকের পাঁজরে একটু পরপর টোকা দিয়ে যায়।
লাস্টবেঞ্চি আবার মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়।
“যখন অনিচ্ছাসত্ত্বেও মৃত্যু ঘটে নিশ্চয়ই তোমার উপর মৃত্যু জয়লাভ করে।
১। নী
গোল জানালাটির সামনে এসে দাঁড়ায় নী। আস্তে আস্তে হাত বাড়িয়ে ছোঁয় নীল বোতামটাকে। এখন সে হাত পায়। কয়েকমাস আগেও অত উঁচুতে হাত যেতোনা নী'র। তখন ওর সঙ্গে ওরাককে আসতে হতো। কিন্তু নী'র ভালো লাগতো না, কেমন যেন মনে হতো একা আসতে পারলেই ভালো হতো।
পশ্চিম আফ্রিকার অনেকগুলি দেশই এই কিছুদিন আগ পর্যন্ত ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল। দেশগুলির সরকারী ভাষা ফরাসী। ফলতঃ এ অঞ্চলটির সমৃদ্ধ সাহিত্যগুলো রচিত হয়েছে ফরাসী ভাষাতেই। কোত দিভোয়ার বানিজ্যিক রাজধানী আবিদজান থেকে কয়েকদিন আগে আফ্রিকান কবিতার একটি সংকলন কিনি। সেখান থেকে কিছু কবিতা চেষ্টা করব মাঝে মাঝে অনুবাদ করতে। ক্যামেরুনের কবি রনে ফিলম্ব( ১৯৩০-২০০১)-এর বিখ্যাত কবিতা L'homme qui te ressemble সচলের কবিতা অনুরাগী পাঠকদের জন্য চেষ্টা করেছি অনুবাদ করতে।
পাঠে নিমগ্ন হইয়া বালক নিবিড় কন্ঠে উচ্চারণ করিতেছে = ‘বল দাও মোরে বল দাও…’
প্যারামাউন্ট পিকচার্স যদি ‘অ্যান আমেরিকান ট্র্যাজিডি’র বদলে ‘এ বাংলাদেশী হিরো’ নামের একটা ছবি বানাতো - তাহলে দিব্যি আযাদের গল্পটা সিনেমায় ঢুকিয়ে দেয়া যেত। মফস্বলের ঐ গেয়ো ছেলেটাই আমাদের মধ্য থেকে সবচেয়ে উন্নতি করেছে। ওর কথা বললেই বন্ধূদের চেখে মুখে চোখে মুখে একটা ঈর্ষার ভাব ফুটে ওঠে। এখন এই শহরের জাদরেল মার্কেটিয়ারদের মধ্যে - সে একজন কেউকেটা।