২০০৯। গ্রীষ্মের ছাঁতিফাটা গরমে হাসফাঁস করছে কলকাতা। আমরা আধো অন্ধকার আলোর মধ্যে ঘরময় বইয়ের স্তুপের ভেতরে বসে আছি। আমার চোখ কবি ও প্রাবন্ধিক তরুণ স্যানালের মুখের উপর স্থির। দু'কান - প্রাণভরে তার কথা শুনছে। কথা বলতে বলতেই- মাঝে মাঝে তার দৃষ্টি চলে যাচ্ছে জানালার পাশে বেড়ে ওঠা রক্তজবা গাছটির পাতার ফাঁক গিলে আকাশের দিকে। ঝাকড়া চুলের মত বেড়ে ওঠা এই রক্তজবার চারাটি তিনি বয়ে এনেছিলেন সেই সূদুর পাবনা থ
এক বিকেলে আমাদের দূরপাল্লার ট্রেনটা হঠাৎ থেমে গেছিলো এক অচেনা স্টেশনে। প্লাটফর্ম মাটির সমতলে, একটুখানি দূরেই সবুজ জমি, তারপরে একটা টিলা। জমির মাঝখানে রাজার মতন দাঁড়িয়ে এক বিরাট অশ্বত্থ। এইরকম জায়গায় এসে ট্রেন দাঁড়িয়ে গেলেই কেবল কল্পনা করতে ইচ্ছে করে নেমে পড়তে। নেমে পড়ে টিলার দিকে চলতে চলতে ঠিক একটা বিন্দুতে এসে ছিঁড়ে যাবে পরিচিত পৃথিবীর সুতো। তার পরেই দেখা দেবে সেই যাদুদরজাটা।
শূন্য একোরিয়ামের মধ্যে একটা আলো- ঘরের মধ্যে আর কোন আলো জ্বলে না। চল্লিশ পাওয়ারের টাংস্টেন বাল্বের হলুদ আলো একোরিয়ামটার স্বচ্ছ কাঁচের দেয়ালের মধ্যে দই এর মত জঁমাট বেঁধে আছে। কিছুদিন আগেও ওখানে একজোড়া গোল্ডফিশ লেজ নেড়ে সাতরে বেড়াতো। যতেœর অভাবে দুটোই মরে গিয়েছে। প্রথমে একটা। নিঃসঙ্গতার যন্ত্রনায় অন্যটা। শূন্য একোরিয়ামটার দিকে তাকাই- নিঃসঙ্গ গোল্ডফিশটার শেষদিনগুলো ওখানে ভেসে বেড়াচ্ছে। একস
আমাদের সাথে সাথে আমাদের পথেরাও বহুদূর হেঁটে গেছে, পিছনে বিস্মৃতিধূলি, দিগন্তে মেঘ, রঙীন মেঘমালা।
গল্পটা সবচেয়ে পুরনো। ইহুদি, খ্রীষ্টান আর মুসলিম ধর্মে আমরা যারা বড় হয়েছি- তারা সবাই এই গল্পটা সত্যের মতন জানি।
[justify]তখন আমাদের কেরানির জীবন। বাবা পোস্টমাস্টার। কিন্তু আদতে সেটা কেরানিরই চাকরী। ভাই ঢাকায় একটা হাউজিং কোম্পানিতে জুনিয়র এক্সিকিউটিভ। আজকাল সব অফিসে সবাই এক্সিকিউটিভ হয়। গালভরা নাম সব। আদতে সবাই কেরানি। আমি নতুন চাকরীতে। পত্রিকার ডেস্কে বসি, তাও এক ধরনের কেরানিরই কাজ। বাপ ছেলে তিনজন যখন কেরানিরই চাকরী করি তখন সেটারে কেরনির জীবন বলাটাই উচিত।
[i]বহুদিন হয়ে গেল দেখা হয় না মণিকুন্তলার সঙ্গে। মেঘ সরে গিয়ে অপরাজিতা-নীল শরৎ আকাশের ছোটো একটু টুকরো দেখা দিলেই সে উতলা হয়ে উঠে বলতো, "তুলি, তুলি, চল যাই পশ্চিমের মাঠে, ওখানে বুঝি কাশ ফুটেছে।"
আমি হাসতাম, "দূর পাগলি, এখনো যে বর্ষা যায় নি, আশ্বিন আসুক তবে তো!"
ওর মুখে মেঘের আবছায়া পড়তো, "যায় নি বুঝি? বর্ষা? "
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অনুবাদ শুরু করেও সময়ের অভাবে ২য় পর্বটা দেয়া হয়ে উঠছে না। খুব শিগ্রি দেব। কিন্তু আমাকে লেখায় পেয়ে বসেছে। দিলুম এবার একটা মৌলিক গল্প ঝেড়ে। দেখুন তো সচলের মানের সাথে যায় কিনা। এটা একটা অভিযানের গল্প। কিংবা বলতে পারেন চরম বোকামীর গল্প।
এ গল্পের সমস্ত ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের কোন ঘটনা বা চরিত্রের সাথে সামান্যতম মিল পাওয়া গেলে তা কাকতাল মাত্র।
-------- মধ্য প্রজন্ম
বৃষ্টি শেষ হয়ে গেছে সেই কখন । আকাশটা একদম নীল। বৃষ্টিশেষের সোনালী রোদে সেই নীল - অনেক উচুঁতে মনে হয়। জানালার গ্রীলে জমে থাকা বৃষ্টির ফোটাগুলো মুঁক্তোদানার মত জ্বলছে। সেখানে একটু ছোঁয়া লাগাতেই তর্জনীটা কেমন ভিজে যায়। চোখের সামনে ভেজা আঙ্গুলটা নিয়ে এসে ‘এ’ যখন ভাবছে - এই ভেঁজা ভেঁজা জলটা একটু আগেই মেঘ হয়ে আকাশে উড়ছিল...
প্লেনটা এতক্ষন মেঘের মধ্যে ছিল। মেঘ ফুড়ে নির্মেঘ আকাশে বের হয়ে আসতেই আলোর বিন্দুগুলো ঝুপ করে ভেসে ওঠে। সের্গেই আইজেনস্টাইন জানালার কাঁচের ভেতর দিয়ে অনেক নিচে আলোর বিন্দুগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। রাশি রাশি মশাল জ্বালিয়ে কোন এক অজানা শহর জেগে আছে। কোন শহর?