যাই হোক এই লেখার আসল উদ্দেশ্যে আসি। এখানে আপনাদের একটা অসম্ভব সহজ বুদ্ধি শিখাবো। কিভাবে সহজে আপনার বন্ধুকে বোকা বানাতে পারেন এই দিনে
১।
মায়ের বুকের কাছে গুটিসুটি হয়ে শুয়ে পড়তে ইচ্ছে করে মৈত্রেয়ীর। কেমন একটা নরম ওমের গল্প সেখানে! সে কল্পনায় অনুভব করার চেষ্টা করে কেমন হবে সেই দেশ! কিন্তু মাকে বলতে পারে না, কেমন সঙ্কোচ হয়। মা আবার তাড়িয়ে দেয় যদি? যদি বলে যা যা, চলে যা?
১.
কিছু ঘটার হলে নাকি এই ভাবেই ঘটে,
সবুজঘরের জানালার স্বচ্ছ কাচে এসে পড়ে ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি, একের পর এক। এক দুই, তিন ----তারপরে ঝরোঝরো ধারে ঝরে ওরা। হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ বৃষ্টিবিন্দু। ওরা মিশে যায় মিলে যায়, একসাথে ধারা বেয়ে নেমে যায় নিচে মাটির দিকে, সে মাটি তখন মেঘরঙের ওড়না জড়িয়েছে।
ভুলজন্মের শিকড়বাকড় ছুঁয়ে কলকল বহে যায় অন্ধকারের নদী। আঁধার সে যমুনাপুলিনে বাজে কি আজও কোনো আকুল বাঁশির ডাক? যে ডাকে ভুল হয় ঘর ও বাহির? রাইমানিনীর ছক কাটা উঠানেবাথানে যে ডাক এনে দেয় উতলধারা বাদল? যে ডাকে উচাটন মন ঘরে রহে না?
আসলে এটা ঠিকঠাক লেখা বলতে যা বোঝায় তা না। আপডেট হওয়া নতুন ব্যবস্থায় ছবি দেওয়া যায় কিনা পরীক্ষা করে দেখছিলাম, শুধু ছবি তো আর দিতে পারি না, তাই কয়েকটা কথাও লিখে দিলাম।
এ শহরে এসেছিলাম গ্রীষ্মের শেষে, আমাকে সবাই বলেছিলো "ও, তুই ঐ ধোঁয়াপাহাড়ের কাছে যাচ্ছিস, তাহলে চারখানা মরশুম দেখতে পাবি। ওখানে গ্রীষ্মশরৎশীতবসন্ত সব আসে। "
কোথাও আজ বসন্ত, গাছে গাছে নতুন কুঁড়ি। শিসমহলে সূর্য-দীঘল পালা। সেখানে কৃষ্ণকলি জাগে। সেখানে গাঁথা হয় নাগচম্পার মালা। সেখানে তমালবনের ভিতর দিয়ে সবুজ রেলের গাড়ি চলছে চিকনঝিকন রোদ্দুরজাল ছিঁড়ে। কাছের গ্রামযমুনায় বাঁশি বাজে। সেখানে পাখিরা খুব ব্যস্ত নতুন নীড় বাঁধার কাজে।
১
হাল্কা নীল ভোর, খুব মৃদু একটা আভা শুধু দেখা দিয়েছে। এখনও সূর্য উঠতে অনেক দেরি, পুবের আকাশে এখনো লাল রঙই লাগে নি। হাওয়ায় হাল্কা শীত-শীত ভাব। একটা ভোরজাগা পাখি সুরেলা গলায় ডেকে উঠলো, গানের প্রথম আখরটির মতন বাধো-বাধো ডাক।
অনেকদিনের অনেক পুরানো সব লেখা, হলদে হয়ে গেছে খাতার পাতাগুলো, কেমন যেন জীর্ণও হয়ে গেছে। কোণাগুলো ভেঙে ভেঙে গেছে, কাগজের গুঁড়ো জমা হয়েছে মধ্যের ভাঁজে ভাঁজে। ইচ্ছে করে হাত দিয়ে ছুঁতে, খুব সাবধানে হাত রাখি, হাত বোলাই। পাছে আরো ভেঙে ঝুরো ঝুরো হয়ে যায়, তাই এই সাবধানতা।
যে দিন গেছে চলে---। জীর্ণপাতার ওই খাতার মধ্যে রয়ে গেছে তার পায়ের চিহ্ন, ধানগন্ধী হেমন্তবেলা মরিচগন্ধের গ্রীষ্মদুপুর, ইলিশগন্ধী বৃষ্টিবেলা ..... সবার চলে যাবার শব্দ রয়ে গেছে।