ফেরারী কথারা ফিরছে যখন ঘরে
বন্ধু মেঘেরা নীল বৃষ্টিতে ঝরে-
মায়াকথাদের সবুজ সবুজ জামায়
ছায়াসুখলতা রঙভোলা হাত নামায় .....
ফেরারী কথারা সেদিন ঘরে ফিরছিলো। অনেকদিনের পরে। সেই যে ঝরাপাতা অরণ্যের ভিতর দিয়ে, পথহীন পথে তারা পালিয়ে গেছিলো, দৌড়ে দৌড়ে পালাচ্ছিলো কুয়াশাভরা অন্ধকারে, পিছনে গুলির শব্দ ছিলো, সঙ্গীরা আসতে পারলো না পড়ে রইলো দেখার সময় ছিলো না-সেই সময়টা এখন স্মৃতিমাত্র। অতীত, মৃত অতীত।
দু'হাতে জড়িয়ে রাখি রেশমী সুতো,
লুকিয়ে রাখি টুকরো টুকরো গোলকাঁচ
ঝুড়িতে রাখি মন্ত্রপাথর ও সুষমাচার-
উড়ে পালাতে থাকা রশ্মিকণারা
পালাতে পালাতে অবিরল হাসে।
বড় একটা দম নিয়ে কীবোর্ডে ‘এন্টার’ চাপ দিয়ে আমি চোখ বুজঁলাম। বুকের মধ্যে হৃৎপিন্ডটা এত জোরে লাফাচ্ছে যে আমাকে বা হাতে বুকটা চেপে ধরতে হল। অথচ আমি নিশ্চিত জানি, বিফল হবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। একটু আগে সেই সম্ভাবনাও আমি হিসাব করে নিয়েছি, কম্প্যুটার দেখিয়েছে ০.০০০০০২ শতাংশ।
চোখ খুলে মনিটরের দিকে তাকিয়ে আরেকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলি আমি। কম্প্যুটার দেখাচ্ছে,
The Next Prime Number –
নিচে কোটি কোটি ...
সে পাপই বটে, পাপ নয়?
অনুমতিহীন পদক্ষেপ আঁকো যদি তুমি
নিজস্ব জমিনে কারো, চুপচাপ নয়,
রণভঙ্গিতে, যেন দখল করবে ভূমি?
আমি তাকে পাপ বলি, যদি
ভয়ার্ত শিয়ালের মত তুমি রণেভঙ্গ
দাও-তথাস্তু তথাস্তু বলে, ভাবো, ফোঁস করা অধিপতি
সে ভূমের নিশ্চই বিষধর ভুজঙ্গ।
-শোনো হে সখা, মহাবীরেরা নিষ্পাপ,
তুমি হানো, ভাঙো, লোটো, করো হত্যা,
তুমি মৃত্যু আর ধ্বংসের তোলো বিষভাপ,
বিজয়ীর পাপ নেই, সে চিরকালই মহাত্বা।
- ...
এখানে গল্পটা একসঙ্গে পুরোটা দিলাম।
সমুদ্রতীরের ছোট্টো গ্রামে থাকতো সুজন। বাপদাদাদের আমল থেকে তারা দক্ষ জেলে, সমুদ্রে মাছ ধরাই তাদের প্রধান কাজ। সুজন কিশোর বয়স থেকেই বাবার সঙ্গে যেত মাছ ধরতে। এখন তার বাবা-মা দুজনেই পরলোকে, এখন সে একাই মাছ ধরতে যায় নিজের নৌকা, জাল আর লোকজন নিয়ে।
সুজন কাজেকর্মে যেমন দড় তেমনি দেখতেও ভারী চমৎকার। তার সতেজ সবল দীর্ঘ চেহারা দেখে সবাই খুব প্রীত হয়। ...
সন্ধ্যার আকাশ ভরে তারারা জেগে উঠছে। নির্জন দ্বীপের বাতিঘরে আলো জ্বলছে। আশমানি জলের ধারের পাথরে বসে আছে চুপ করে। সমুদ্রের ধারে কী প্রবল হাওয়া! ঐ যে দূরে জলদিগন্ত, পশ্চিমের সেই জলরেখার উপরে আকাশ, সেখানে আশ্চর্য রঙীন সূর্যাস্তের রেশ রয়ে গেছে এখনো।
দিনের আলো যতক্ষণ ছিলো আশমানি কথা বলেছে অনেক। ঝিনুক কুড়িয়ে কুড়িয়ে রেখেছে রুমালে জড়িয়ে। এখন সে চুপ, পাথরের উপরে বসে আছে একেবারে পাথর ...
সমুদ্রতীরের ছোট্টো গ্রামে থাকতো সুজন। বাপদাদাদের আমল থেকে তারা দক্ষ জেলে, সমুদ্রে মাছ ধরাই তাদের প্রধান কাজ। সুজন কিশোর বয়স থেকেই বাবার সঙ্গে যেত মাছ ধরতে। এখন তার বাবা-মা দুজনেই পরলোকে, এখন সে একাই মাছ ধরতে যায় নিজের নৌকা, জাল আর লোকজন নিয়ে।
সুজন কাজেকর্মে যেমন দড় তেমনি দেখতেও ভারী চমৎকার। তার সতেজ সবল দীর্ঘ চেহারা দেখে সবাই খুব প্রীত হয়। গ্রামের কুমারী মেয়েরা তাকে বিবাহ ক ...
আগুন-আগুন খেলা আপাতত শেষ, এখন রণক্ষেত্র শান্ত। বিজয়ী ও বিজিত উভয়েই নিদ্রায়।
শুধু নদীরা অক্লান্ত। তাদের থামাথামি নেই, ঘুম নেই। স্রোতোধারা ধুয়ে নিয়ে যায় সব ক্ষত, সব ক্ষতি, সব জয়-পরাজয়।
না ফুরানো একটা গল্প এ, উলের গোলার খুলতে থাকা উলের মতন গড়াতে গড়াতে হারাতে থাকে। গড়ায় আর হারায়, গড়ায় আর হারায় ...
আগুন-আগুন খেলা শেষ হয়ে গেলে
ক্লান্ত সেকেন্দারও অস্ত্রভার ফেলে'-
প্রলাপের ঘোরজ্বরে তৃ ...
তরল জলের মতো অচেনা দু:খ, ছলছল করে কেবলই বয়ে চলে যাচ্ছে। ধরতে গেলেই মুঠো থেকে পিছলে যায়। আবার একমুঠো পারদের মতো চকচকে দু:খও দেখা যায়, সেও আরো বেশী পিছলে যায়। এগুলো হাল্কা দু:খ।
কিন্তু জল সরাতে সরাতে, পারদচকচকে ঢেউগুলো সরাতে সরাতে, সোনালী রূপালী দু:খ পার হয়ে, দেখা দেয় নীল দু:খ। অরণ্যজ্যোৎস্নার মতো স্তব্ধ, গভীর, অপরিমেয়।
সব আগুনের হল্কা মুছে যায়। নিশ্চেতন ভেসে যেতে যেতে, অমাবস্যার কু ...
অনেক দূরে, অনেক দূরে, সবচেয়ে দূরের পাহাড় পার হয়ে চলে গেছে মেঘ। ঐ যেখানে সমুদ্রে নেমে গেছে পর্বতমালা, এক এক করে জলের নিচে হারিয়ে গেছে চূড়াগুলো, নিভে গেছে আগুনপাহাড়ের আগুন, ঘুমিয়ে পড়া সেই আগুনের পাশ দিয়ে উড়তে উড়তে মিলিয়ে গেছে সেই সুবর্ণহৃদয়া মেঘ।
সে বলেছিলো সত্যিকারের ভালোবাসা কেবল ভালোবেসেই আনন্দ পাওয়া, বিনিময়ে ভালোবাসা চাওয়া নয়, কিছু চাওয়া নয়, শুধু দেওয়া। বিনিময়ে যদি তাই চাও ...