হায় ঈশ্বর! কী ওটা? ক্যানভাসের ওপর ওই ভয়ংকর মুখটা কার? ওটা তাঁকে ভেংচি কাটছে! মুখভঙ্গিতে কিছু একটা আছে, তাঁর শরীর সিঁটিয়ে উঠছে ঘৃণায়। এটা ডোরিয়ান গ্রের মুখ-ছবি! আতঙ্ক ছড়ালেও ছবিটার সৌন্দর্য পুরোপুরি মুছে যায়নি। ওই পাতলা চুলে এখনও স্বর্ণালি ছটা, সুদর্শন মুখে এখনও লালিমার ছাপ। ওই বসে যাওয়া চোখগুলো এখনও নীল। হাঁ, এটা ডোরিয়ান গ্রে। কিন্তু কে এমন করেছে?
তিনি চিনতে পারছেন ছবিটা তাঁরই হ ...
বহুদিন পরে কলম দিয়ে লিখতে গিয়ে চমকে উঠি, কলমটা নীল। আমার সেই কলমটাও নীল রঙের ছিলো। ঐ যে যেটা এক অপার্থিব হলুদ আলোয় ধুয়ে যাওয়া বিকালে অনেক চাঁদিয়াল ঘুড়ি ওড়া আকাশের নিচে আমাকে দিয়েছিলো শরণ্য। এইখানেই তো! এই পাথরেই তো বসেছিলাম আমরা।
কলমটা দিয়ে লিখতাম হাবিজাবি যা খুশি তাই। কাঁচামিঠে গল্প, আনকথা বানকথা গোঁজামিলের কবিতা --- সবকিছু তার শোনা চাই। একটা দিন বাদ যেতে পারতো না, বাদ গেলে তা ...
তাঁর সাথে আমার পরিচয় কোন এক ঘোরতর দাবদাহের দিনে। আজিজের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম, ঢুঁ মারার লোভটা বরাবরের মত সংবরণ করতে পারলামনা। দোকানে থরে থরে সাজিয়ে রাখা বইগুলোকে আলগোছে চেখে নিচ্ছিলাম। পকেটের অবস্থা তখন গড়ের মাঠপ্রায়, তাই চাখতেও হচ্ছিল রয়েসয়ে, পৃথুল বইগুলোর লোলুপ প্রলোভন এড়িয়ে ক্ষীণবপুগুলোর দিকে। হঠাৎ করেই হলুদ মলাটের একটি বইয়ের ওপর নজর আটকে গেল। বলে রাখা ভাল, খানিকটা অবাকই ...
দেখো----
কেমন করে পুড়ে যাচ্ছে এক একটি সবুজ পাতা;
আর ছাইগুলো কলমের কালি হয়ে তোমার লেখার খাতা ভরে দিচ্ছে নতুন শব্দ-সম্ভারে।
সহজ নয়-----
পুরোনো ক্যালেন্ডার জমানোর বাতিক ছেড়ে দেয়া।
পিছনের পাতাগুলো ঘাটলেই---------
কখনো ঝরে পড়ে একরাশ ফুল
কখনোবা তাড়া করে বিবর্ণ-হলুদ কঙ্কাল
অথবা ঘর-পালানো জ্যোৎস্নায় মাধবীর বনে সাপের নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ।
'কেবল আজকের জন্য বেঁচে থাকা'
--এমন আপ্তবাক্য মেনে নিয় ...
১. কৈফিয়ত:
আমি বিশ্বাসী না। আমি অবিশ্বাসী না। এবং এই দ্বন্দ্বের হেতু আমার অত্যন্ত অজানা।
এই কথাকাহিনী আমাকে না লিখতে হলেই ভালো হত। এই পৃথিবীতে অজস্র কিছু ঘটে। সব লেখার দায় ও দায়িত্ব আমার না। তবু আমি নিজ থেকে, নিজের থেকে, লিখতে গেলাম এই কথাকাহিনী ...
দেখ, সে অকস্মাৎ আজ ফিরে আসে, যেখানে তার ফিরে আসবার কথা - এই সমতলে, শূন্যতায়।
২. নীরবতায় রচিত স্বগতোক্তিসমূহ:
দীর্ঘ পথ আমাকে আসতে হয়ে ...
সবাই চলে গেছে শুধু একটি মাধবী তুমি......................................."
ফুরিয়ে গেছে চরকার সুতো---------
বোনা হয়নি রূপকথার সেই নকশীচাঁদর।
মাঝরাতে আচমকা আকাশের জানালা খুলে গেলে
একটি নক্ষত্র খসে সোজা আমার স্বপ্নের ভেতরে ঢুকে পড়ে
'খসে পড়া তারার কাছে কিছু চাইলে ইচ্ছা -পূরণ হয়'
----------------তুই বলেছিলি।
তারা খসা-------------
তুই।
কিছুতেই মনে পড়েনা কিযে চাই।
গুলমোহরের লতানো ঝোপে চাঁদ নেমে এলে
এক বুক চাঁদনীতে গলে গলে যা ...
"মা, তোমার কাছে সেফটিপিন হবে একটা? " তানিয়ার গলার স্বরে বর্তমানে ফিরে আসে দীপান্বিতা, একটু অপ্রস্তুত হয় মেয়ের অবাক আর প্রশ্নময় চোখ দেখে। তানিয়া এত অবাক কেন? মাকে কি সে খুব অন্যরকম দেখছে?
তানিয়া স্কুলের জন্য তৈরী হচ্ছে, সেফটিপিন চাইছে কাঁধে ওড়না আটকাবার জন্য। হাতের চুড়ি থেকে সেপটিপিন খুলে ওর দিকে এগিয়ে দেয় দীপান্বিতা।
"মা, কী হয়েছে তোমার? খুব অন্যমনস্ক দেখাচ্ছে তোমায়।" তানিয় ...
সারাদিন এখান থেকে ওখান, অল্প অল্প বিরতি দেওয়া ঘোরাঘুরি, অনিশ্চয়তার সঙ্গে ইচ্ছেখেলা। তারপরে ক্লান্তিসন্ধ্যা। সরাইয়ে ঘর নিয়ে নেয়ে খেয়ে বিশ্রাম। চিরল ঘুমিয়ে পড়েছে।
ঘুমের সাধনায় বেশ কিছুক্ষণ কাটিয়ে ব্যর্থ হই। বেশী ক্লান্তিতে স্নায়ু টানটান, ঘুম আসে না। উঠে গিয়ে জানালার কাছে দাঁড়াই, পর্দা সরিয়ে তাকাই বাইরে। জ্যোৎস্নাশিহরিত মধ্যরাত।
বালিময় শুখা দেশ, দূরে দেখা যায় পাহাড়ের আবছ ...
ধারণাটা এই সচলায়তন থেকেই পাওয়া। মাহবুব মুর্শেদ ভাইয়ের সেই পোস্টটির নাম ছিলো, "সংগ্রহে রাখার মত ১০টি ছবির নাম বলুন।" অজস্র মানুষের নানামুখী পছন্দের এই তালিকা থেকে হঠাৎ করেই আরেকটি তালিকা তৈরীর ধারণা এলো মাথায়। এবার পালা পড়ুয়াদের।
পাঠক মাত্রেই সাহিত্য পাঠ করেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই। পদ্যের চাইতে গদ্যে লোকের আগ্রহ বেশি, এতাও সত্যি বলে জানি। কাজেই ব্লগের পাঠকেরা জীবনে ছ ...
লিখে যাচ্ছি নিঃসঙ্গতা আর খুলে যাচ্ছে
একটি বাদামী-দরোজা........................
জিতে যচ্ছে
জিতে যাচ্ছে প্রবল-প্রতাপ অবসাদ;
অসহ-দহনে ক্ষয়ে যাচ্ছে আয়ুর সোনালী ডানাগুলো
কোথায় পালাবো?
কোথায় ফিরবো?
যুদ্ধ-বিধ্বস্ত নগরীতে ঠিকানা দিক্-চিহ্ন হীন।
অথবা
কোথাও কি কখনো আদৌ কোন ঘর ছিল?
দূরাগত মিহি সুরে বেজে ওঠা বীণ;
স্পর্শাতীত দিগন্ত-বলয়;
দিগন্ত-বালিকার কোন ঘর থাকেনা।