০১।
"মুসলমানমঙ্গল" বইটি পাঠের পর জাকির তালুকদার সম্পর্কে খোঁজ নিতেই হলো। লোকমুখে শোনা ভদ্রলোক একজন গল্পকার। ছোটগল্প লেখেন। গুগলে খোঁজ নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে তাঁর লেখা গল্পের কিছু পাঠপ্রতিক্রিয়ার সন্ধান পাওয়া গেলো। দারুণ লাগলো একটি অপঠিত ছোটগল্পের প্রেক্ষাপট, যেটির নাম 'বিশ্বাসের আগুণ'। কেউ একজন পবিত্র কোরান মাজিদ পুড়িয়ে ফেলছেন ঘৃণায় বা ক্রোধে নয়- স্থির বিশ্বাসে, যে বিশ্বাস...
অদ্ভুত কান্ড! এরকম আগে কখনো হয়েছিলো কি? স্বপ্নটা এরকম: মনে হলো একটা নামী সাহিত্য পত্রিকায় একটা বড়গল্প পড়ছি, কাহিনীও পরিষ্কার পরপর একেবারে পাতা উলটাচ্ছি আর পড়ে যাচ্ছি, একটুও বেমানান লাগছে না কোথাও। এমনকি নামটাও দেখলাম পাতা উল্টে -"মৌমাছি ও সমুদ্র"। পাশে একটা ছবি, একটা জাহাজের কেবিন, জানালা দিয়ে সমুদ্র দেখা যাচ্ছে।
কী আশ্চর্য! এ কার গল্প? কোথা থেকে কেমন করে এলো স্বপ্নের মধ্যে? এ জ...
কবি তাকে ডেকেছিলো অতন্দ্রপ্রান্তরে
রতিদীর্ঘ রাতের রেশমী আবেশ ছিঁড়ে-
তাই সে বেরিয়ে এসেছিলো কৃষ্ণপক্ষ পথে।
ধারালো বাতাসের সাথে যুদ্ধ করতে করতে
সে এগিয়ে যাচ্ছিলো দেবদারু অরণ্যের দিকে।
কোথাও যুদ্ধ চলছিলো, শুভ ও অশুভের দ্বন্দ্ব-
আলো ও আঁধারের সংগ্রাম,
সমানে সমানে লড়াই, শেষহীন শক্তিপরীক্ষা।
সে ও লড়লো, ভুলে গেল কার পক্ষে লড়াই।
তারপরে সবকিছু ভুলে তার ভ্রমে চলে যাওয়া-
দূরে আরও ...
কল্লোল লাহিড়ী 'কাকমানুষের চকখড়ি' গল্পের বইটি নিয়ে একটি পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখেছেন। বইটির লেখক কুলদা রায়। তিনি আট/ দশ মাস গল্প লিখছেন। সাহিত্যের লোকও না। নিতান্তই কৃষিকর্মী। মাঠেঘাটে বেড়ানো লোক। শুদ্রবংশজাত। এবং কোন সাহিত্য পত্রিকায় লেখেন নি--লেখার ইচ্ছেও করেন না। ইচ্ছে হলে লিখবেন--ইচ্ছে হলে প্রকাশ করবেন। কোনো তেলাতেলির মধ্যে নাই। অন্তর্জাল এই সুযোগটি অনেকাংশে করে দিয়েছে। সুত...
লিখতে পারে না বলে লিখে না বা বলতে পারে না বলে কিছু বলে না এমন কিছু নয়। ওর ইচ্ছার কাছে সব কিছু নতজানু হয় যখন চৈত্র সংক্রান্তির মেলা থেকে একটা বাঁশের বাঁশি কিনে রাত্রি দ্বিপ্রহরে গায়ের বুড়ো কৃষ্ণচুড়া গাছের তলে বসে বাঁশিতে সুর তুলে "ও আমার দেশের মাটি তোমার পরে ঠেকাই মাথা"। সে সুর শুনে দেশের জন্য যে মায়ের সন্তানটি জীবন দিয়েছে সেই মায়ের চোখের কোনে ঝরে অশ্রুধারা আবার কেউবা দেশ প্রেমের ...
-শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [অভিসার- বোধিসত্ত্বাবদানকল্পলতা। ]
[justify] বেশ কিছু দিন আগের কথা। একটা বই পড়ছিলাম, "জিওগ্রাফি অফ ব্লিস" বলে (নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিভিউ এখানে)। দুনিয়া বদলে দেওয়া বই কিছু নয়, তবে চিন্তার উদ্রেক ঘটায়। তাতে ভূটান নিয়ে একটা অধ্যায় ছিলো। আমি ভূটানে বিশেষ ঘুরি নি, সামচি ছাড়া কোত্থাও যাই-ই নি আদতে। তা বলে বিভূতিবাবুর উদাহরণ মানা যাবে না সে কথা কেউ বলে নি, ভূটান তো কিলিমাঞ্জারোর চেয়ে ঢের ঢের কাছ...
মহাপ্রভু ছক্কা চালেন খেলার ছলে,
তাঁর খুশিতে ছক্কা ঘোরে ওলটপালট
ঘূর্ণনে তার রঙ বদলায় দুনিয়াদারি-
একই খেলায় কাটান তিনি অনন্তকাল।
চার উঠলে আস্তাকুঁড়ে গলিত শব,
দুই উঠেছে? হত্যা করো অবোধ শিশু।
তিন ফোঁটাতে লাঞ্ছিতা মেয়ের জারজ প্রসব।
লাখে একবার ছয় পড়লে
ভিখিরিকে আমীর করে
প্রভু মোদের আত্মশ্লাঘায় সুড়সুড়ি খান।
মহাপ্রভু ছক্কা ছোঁড়েন ইতস্তত-
আঘাতে তার চূর্ণ হৃদয়
লাগছে মড়ক আসছে প্রলয়...
"আমাদের বাঁচিয়ে রাখা এ সময়ের সবকিছুই যেন বড় উচ্চকিত, গল্পও তার ব্যতিক্রম নয়। সশব্দ জনজীবনের নির্যাস নিয়ে লেখা অনেক চড়া তারের গল্পের ভিড়ে তারেক নূরুল হাসানের গল্পগুলি যেন নিঝুম দুপুরে পুকুরপাড়ে চালতা খসে পড়ার মতো- অতর্কিত মৃদু বোলে যে ইঙ্গিত দেয় ঘটনার, চরিত্রের। রোদেলা দিনে কিশোরের বাইসাইকেলের মতো সচেতন কিন্তু ছায়াময় সেই গল্পের ...
বোলিঙ ক্লাবের ঘুঁটির মতো বারান্দার রেলিং ঘেঁষে বীয়ারের সারি। শেষ দুটো বীয়ার নামিয়ে রেখে খালি বোতলগুলি তুলতে গেলে সোহাগ বলে,
- থাক ওগুলি সকাল পর্যন্ত। ভালো একটা ডেকোরেশান লাগতাছে।
- হ...এই দুইটা খালি হইলে ছবি তুইলা রাখতে হইবো।
কেইসের শেষ দুই বোতলের ঢাকনা খুলে সোজা চোখের দিকে তাকিয়ে "প্রৌস্ট" (চিয়ার্স!) করলো দুই বন্ধু।
দশটা বাজতে তিন মিনিট বাকি। এতক্ষণ...