গ্রাস
খিদা নাগে বাহে, বড্ড খিদা
দিমিতরের শোকের শোধ জন্ম-জন্মান্তরে আমরা চুকাই
ভুগে, ধুকে, মরে হেজে ভস্ম সকল
শস্য নেই? আয়রে সবাই, মাটি কেটে খাই-
ওই মাটিতে সকল ফলে, দে উদরে, দলা দলা ফেল।
ভীষণ হাসে মনাটা, খিদে পেলে বুঝি আরো হাসে
দেখ না, ছোট বোনটাও যমের দুয়ারে
তবু অকাতরে হেসেই যাচ্ছে। খিদা লাগে মনা খিদা?
অই পিছনপাকের পুকুরে পানি আছে, খাগে যা।
হিহিহি...
কিংবা শস্য আছে
আছে লক্ষ সোনালী শ...
কবি পাগল হলে কবির কী লাভ
কী যায় আসে কবির তাতে
তুমি কি তাহলে ভুলে গেলে?
ঘাটাবে না। কবি তো কবিই।
বাঁচলো না মরলো
তাতে কিছু যাবে আসবে না
তার কবিতার।
পুরনো কবিদের কিংবদন্তিজীবন দিয়ে
প্রভাব নিও না, ক্ষতি হয়ে যাবে
কবি পাগল হলে
কবিতার লাভ হবে?!
বইয়ের প্রথম গল্প পুরনো বাড়ি।
একটি পুরনো বাড়িকে কেন্দ্র করে লেখক মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেন কাঠের বন্দুক আর কাককে, টুলু আর ভীষণদর্শী হাসানকে, পুরনো আর নতুনকে, প্রকৃতি আর নগরায়নকে। যে বাড়িতে হাসানরা যায় টুলুরা আসে। টুলুরা হাসান হয়ে যায়, হাসানরা হয়ে যায় টুলু।
চায়ের শহরে একটি বাড়ি। যেই বাড়ির জানালা জুড়ে একসময় ছিলো নীলরঙা আকাশমাঝে লালরাঙা শিমুল, ছিলো একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ। হারিয়ে যাওয়...
আজকাল শ্রবণের খুব শীত লাগে। শীতের দেশেই তো আছে অনেকদিন, কিন্তু এখন যেন বেশী বেশী লাগে শীত! অদ্ভুত কান্ড! তুষারে যদিও মাটি ঢাকা, ঝিরঝির করে পড়েও তুষার সময়ে অসময়ে, কিন্তু ন্যাড়া গাছভর্তি হাজার কুঁড়ি ধরেছে, ফুল ফুটতে দেরি নেই। তারপরে ফুলেদের সঙ্গ ধরে আসবে নতুন পাতার দিন। বসন্ত, আবার!
সময় একলা চলে নিজের মনোমতো, সে কখনো ফুল ফোটায়, পাতা জাগায় আবার কখনো সব শূন্য করে ধুয়েমুছে কোথায় নিয়ে ...
ছাদটা বেশ বড়। এখানে শুয়ে উপরে তাকালে অনেকখানি আকাশ ঝম করে ওঠে। ঋতি প্রায়ই রাতের খাবার পরে একবার ছাদে আসে। আর মাদুরটা পেতে শুয়ে পড়ে। চোখ মেলে দেখে আকাশভর্তি তারা কেমন ঝমঝম করে বাজছে! না, আসলে তারারা ঝিকঝিক করে জ্বলছে শুধু, কোনো শব্দ নেই। তবু ঋতির কানে আসে কেমন এক অপূর্ব সঙ্গীত যা আর কেউ শুনতে পায় না।
পুবের দিকে নারকেল বাগান। ওদিকে তাকালে গাছের মাথাগুলো দেখা যায়, সারি বেঁধে দিগন্...
ঝুম বৃষ্টি দরকার!
মিনমিনে-ফ্যাতফ্যাতে-ইলশে গুড়ি না,
কোনও কিছুকে তোয়াক্কা করেনা যে বৃষ্টি,
সেরকমটাই চাই!
এর কম কিছু না,
বরং পারলে আরও বেশি,
একটা ব্যক্তিগত কালবোশেখী চাই,
তছনছ চাই একটা,
তুমুল ধ্বংসযজ্ঞ!
একটু নাহয় বেহিসেবী হই,
গাছের সবক'টা আম নাহয় নাই বা পাকলো।
হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান কি হয় কখনও?
নাহয় একটু উশৃংখল আমি,
একটু খেপাটে,
কান্ডজ্ঞানেরও নাহয় একটু বেশিই অভাব রইলো আমা...
[কবি জীবনানন্দ দাশ স্মরণে]
জন্ম: বাংলা ৬ই ফাল্গুন, ১৩০৫; ১৮ই ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯।
মৃত্যু: তার রচনা অমর।
================================
প্রতিটি মানুষ অচিরে মানুষ হয়ে নয়
তবু কারো খোঁপায় নিয়ে রোদের ক্ষয়
বরুণফুলের কাছে দাঁড়ানোর ইচ্ছে হয়
কয়েকটি নষ্ট-পাখি ভুল মার্চে চলে এলেবেলে আকাশ
মেঘের কালি ঈশ্বর লিখে গেছে কবে সেসব নাঙ্গা কাশ
পরিনির্বাণ বিষয়ক যা জানি
জানে অবশ্যই চুরি যাওয়া রেবতী
সুরমা মধুডাঙা অই ...
- উৎসর্গের পাতার এই ঝরঝরে লেখনীর সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত বটে! জ্বী পাঠক, ঠিক ধরেছেন, দাদাভাইর লেখা। সচলে যার লেখার বিস্তারিত পড়তে হয় কাট্ কাট্, চমক লাগা লাইনগুলোর লোভে।
“ত্রিধা”তে এর ব্যতিক্রম হওয়ারতো কথা নয়। বরং বাড়তি কিছু পাওয়া গেল কিনা তাই দেখার বিষয়। “ত্রিধা” বইমেলা ২...
যারা প্রথম পর্ব পড়েন নি, তাদের জন্য তারার হাতছানি(প্রথম পর্ব)
০৩
অরিত্র বসে আছে বাঁশি হাতে... আজ সে বাজাচ্ছে না। মন তো এখন অন্য খেয়ালে। অরিত্রের উত্তেজনা দেখে মনে হয় গাছ আর গাছের বানরগুলোও মজা পাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে কি আজ তার খেয়াল আছে! তার যেন আজ মূহুর্ত কাটে না... সময় যাচ্ছে বড় ধীরে... অরিত্র শুধু একটু পর পর এদিক ওদিক তাকায়। একসময় তার মনে হয়, ঠিক তার পিছনেই দাঁড়িয়...
ঘনকালো পর্দায় ঢাকা সেই রাতের কথা নাহয় একেবারে সমাধিস্থ হয়ে যাক, অনেক অনেক গভীরে, সূর্যতারাহীন অন্ধকারে। সব ক্ষত সব ক্ষতি সব প্রতিশোধবাসনা সব ভুল সব হিংসা চাপা পড়ে থাক সেখানে। বিপুল মৃত্যুর স্তর সরিয়ে জীবন ভেসে উঠুক তেজী রাজহংসীর মত। তার আলোর মতন পাখায় লেগে থাক নতুন আকাশের প্রতিশ্রুতি। এসো, চোখ মেলি বাউল ভোরে।
এসো আবার চোখ মেলি বাউল ভোরের হাওয়ায়-
অনিঃশেষ রাতের জলতরঙ্গ অন্ধকা...