দ্য অ্যালকেমিস্ট-৩
অনেক চেষ্টার পরেও বইতে আর ছেলেটির মন বসলনা। অস্থিরতা আর উত্তেজনা তাকে চেপে ধরে, লোকটির কথার বাস্তবতা তাকে নাড়া দিয়ে যায়। উঠে গিয়ে চিন্তামগ্ন ভাবে সে রুটি কিনতে বেকারীতে ঢোকে, একবার ভাবে রুটিওয়ালাকে জানাবে কী না মেলশিজদেক তাকে যা বলেছেন। কিন্তু কী হবে এসব বলে?, জীবনকে তার স্বাভাবিক গতিতেই চলতে দেয়া উচিৎ -এসব ভেবে সে চুপ থাকে। যদি সে রুটিব...
কেঁদেছে একেলা
সারাটা দিন মেজাজটা খিচরে থাকলেও নিশি মনটাকে বোঝালো অয়ন বাড়ি এলেই এগুলো নিয়ে কথা বলবে না সে। নিজেও সময় নিবে আর অয়নকেও সময় দিবে শান্ত হয়ে নিজেকে গুছিয়ে নেয়ার। সারাটা দিন গেলো নিজের সাথে এই বোঝাপোড়ার মধ্যে দিয়ে। নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টায়। সারাক্ষন মনকে বলে চলল, “সংসার মানেই এই, সবতো নিজের ইচ্ছে মতো হয় না, বেশীর ভাগ মানুষই যা চায়, তা পায় না। এগুলো আসলে বড় কোন ব্যাপার ...
১৯৭৯ এর মাঝামাঝি সময়ে মিডনাইটস চিলড্রেন লেখা শেষ করি আর পাঠিয়ে দেই আমার বন্ধু প্রকাশক লিজ ক্যালডার কে যে তখন জোনাথন কেইপে কাজ করতো। পরে জানতে পরেছি প্রাথমিক পাঠ-প্রতিক্রিয়া ছিলো সংক্ষিপ্ত আর চূড়ান্ত রকমের নেতিবাচক - "লেখকের উচিত ছোটগল্পে হাত পাকানো, অ...
রূপাবলী
ভেতরে আমার সতেরোশ’ ডাহুক ডাকে
হতে পারে শুধুই সতেরো, অথবা সতেরো হাজার-
এমন নির্জনে এলে যার কথা মনে পড়ে খুব
যে আমার কষ্টের ক্ষরণ মুছে মুছে বাড়ায় কেবল
সেই তো সে রূপাবলী...
চেনা চেনা অক্ষরে এতো যে অচেনা সে-
নাম তার রেখেছিলাম ‘রূপাবলী দে’। #
(১৯৯৬)
[কাব্যগ্রন্থ: অদৃশ্য বাতিঘর]
শুকনা তুষের ভ্যাবসা হাওয়া
বকনা দিলের পিছেই ধাওয়া
ধূমবরাবর সিদ্ধি পাওয়া
ঝুমবরাবর ঋদ্ধি তাওয়া
ঝুমঝুমিতে জালিম শাবাব
ধূম্রচেতন আলীম আযাব
হাবলু নজর ভোগলু চমন
ফিরতি টানে সবই কমন
রমনসাধন "সাধন" কবে?
গাঁদনঝিলের বাঁধন তবে
ফস্কা গেরো তুলসী ঝোঁপে
ডোস্কা মাতন হাবশী কোপে
ধোঁয়ার ঝিলে পল্টি মারা
চিকার ঘরে ছুঁচোর পাড়া
এতেক বিধান যতেক ঘঁচু
জংলা ঝিলে হাজার কচু
তারই চিপায় যতন করে
...
প্রিয় পাঠক,
লিখব লিখব করে লেখা আর হয়ে উঠছে না এই চিঠি। দু-এক লাইন লেখা হয়, খসড়ার খাতায় গিয়ে জমা হয়। এই সার্বক্ষণিক বিষন্ন, মেঘলা আকাশ, কাছে-দূরের ওই ঘন সবুজ পাহাড়, যত্র-তত্র ফুটে থাকা নাম না জানা অসংখ্য, অজস্র ছোট-বড় ফুল, যখন তখন বিনা নোটিশে নেমে পড়া এই বৃষ্টি যেন বলে দেয়, এইখানটায় চুপটি করে বসে থাকো, থাকো, থাকো তুমি আমার সঙ্গে...
মন যে কেমন করে তাহা মনই জানে।।
পাশের স্কুলবাড়িটিতে সকা...
লোকজন কত অদ্ভুৎ কথাই না বলে-ছেলেটি ভাবল ।
এর চেয়ে অবলা প্রানীদের সঙ্গ ভালো । আরো ভালো একটা বই হাতে একলা হয়ে যাওয়া। ইচ্ছে হলেই বইগুলো থেকে চমৎকার সব গল্প শুনে নেয়া যায়। কিন্তু মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা খামখেয়ালী হয়ে এমন উলটা পালটা সব কথা বলে বসে যে আলাপ চালিয়ে যাওয়ার কোন রাস্তা খোলা থাকেন...
সন্ধ্যাভাষা বুঝে ভালো পাখি--পাখির নিকট তাই বার্তাবাহী মেঘেদের ভীড়--
পাঠ নিতে গিয়ে বুঝে ফেলি কীসব অদ্ভূত শলাকায় বাঁধা পড়ে আছে আমাদের প্রত্যাবর্তন। তাতে রহস্য ঘনীভূত হলে আমার বারবার মনে পড়ছে অচেনা পাখিটির ছুটাছুটি এবং তার ভেতর থেকে উঠে আসা ক্রুদ্ধ চিৎকার
আজ লুকিয়ে রেখেছি ভয়--চোখে কৌতুহল। আমার চোখের উপর ধাই ধাই নেচে বেড়াচ্ছে অচেনা পাখিটির মৃতদেহ
তিনশো টাকা
বইসা থাইকা থাইকা অধৈর্য্য হইয়া উঠছিল করম আলী। বাদ জুম্মা সালিশ হওনের কতা, এহন বেইল আসরের দিকে গড়ায় গড়ায় কিন্তু মাতবর সাব আর ইমাম হুজুরের দেহা নাই। না খাইয়া না দাইয়া তহন থাইকা বইসা রইছে এই ভাদ্দর মাসের গরম মাতায় লইয়া। দেহ দেহি! করম আলী গরীব মানুষ তার ডাকা সালিশে মানুষ জন বেশী আসার কতা না। ইটা এমুন মজার কুন সালিশও না। চ্যাংড়া পুলা মাইয়ার পিরীতের কেস কিংবা পরের বউ লইয়া ই...
ভর চৈত্র মাস। সেই যে ফাল্গুনের পনের তারিখে সূর্যদেব মাথার ওপর উঠে বসে আছেন, আর নামার নাম নেই। ন্যাড়া চক-পাথার, ফসলহীন। চৈতালী উঠে গেছে। শুধু গম পড়ে আছে, পড়ে থেকে পেকে ঝনঝন করার পর তাদের কেটে আনা হবে। সকালে উঠে আমাদের বাড়ির সামনের বড় উঠোনে দাঁড়িয়ে সামনে তাকালে মাইল দেড়েক দূরের ত্রিভাগদি গ্রাম কেমন আবছা দেখা যায়, অথচ এই মাত্র কিছুদিন আগেই শীতের সকালে এই উঠোনে দাঁড়িয়ে চোখ মেললে একধ...