আমাকে নিয়ে গেল ভোর--রাত্রিযাপনে
পথে কিছু মেঘখণ্ড পড়ে আছে ফাঁকা--নিমিলিত
তুলে নিতে গিয়ে তাতে ঢুকে গেল হাওয়া
হাওয়াদের কথা তাই বারবার ফিরে-ফিরে আসে
এইসব হাওয়া ভারবাহী
রেখা হতে কিছুটা তফাতে ছুটে গেলে
তাতে নির্জনতা ঘনীভূত হতে থাকে--ফলে
কামবোধ আরও তীব্রতর হয়ে ঘিরে ফেলছে ভোর
আর চোখের সামনে তাই বারবার বদলে যাচ্ছে
কাম ও ক্রোধের মহিমা
শোমচৌ-এর অটোমান হারেমের কিচ্ছা বা তুর্কী কামসূত্র দ্বিতীয় ভাগের অংশবিশেষ থেকে এই কমিক্সের কথা মাথায় আসে। কবি ফাজিল ফাজলামি করে পার পেয়ে গেছেন, কিন্তু নারীদের দিয়ে এই আনাড়ি নাড়াচাড়া কোনো পাঠিকাকে গোঁসাঘরে না পাঠালেই ভালো।
যাক এই প্রাথমিক প্যাচালটা ম্যান্ডেটরি, নীড়পাতায় কমিক্সের টুকি মারা ঠেকাতে। পড়েন, মতামত জানান, এই সবও জানা কথা।
শোমচৌ-এর "অটোমান হারেমের কিচ্ছ...
ইচ্ছে ছিল পথিক হব
পৃথিবীর ধুলো গায়ে মেখে ঘুরে বেড়াব মাঠ
নদী, ক্ষেত, সুউচ্চ পর্বতমালা আর বিস্তৃত জলরাশি।
মধ্যদুপুরের খাঁ খাঁ রোদে যেমন চিল
মেঘ ছুঁয়ে ছুঁয়ে উড়ে চলে অনন্ত উচ্চে
আমিও তেমনি ছুঁয়ে যাব মেঘমালা ঝর্ণার জলে তপ্ত দুপুরে।
ভোরের শান্ত নদীটির বুকে বয়ে যাব
রাত শেষে ঘরে ফেরা তৃপ্ত জেলের মত প্রশান্ত হাসি মুখে।
সাগরতীরে লাল কাকড়ার মত দৌড়ে বেড়াব বলে
কতবেলা কাটালাম...
কোনো কোনো মাঝরাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি অন্ধকারের ফাঁকে ফাঁকে জ্বলে-ওঠা আগুনের দিকে ছুটে যাচ্ছি আমি,
আমাকে তাড়া করছে শীতরাত্রি, আমাকে তাড়া করছে মৃত্যুভয়
আর দেখি শরীরে আগুন নিয়ে তুমি ছুটে আসছো আমার দিকে...
এ কি কোনো বিভ্রম নাকি বিস্ময়চিহ্ন !
কে কাকে চমকাচ্ছে আজ,
কে কাকে মুগ্ধ করছে অবিরত
দীর্ঘ আলাপচারিতার পর
কে বেশী অন্ধকার নিয়ে ফিরে যায়
তোমার চুল ভর্তি লুকানো কথার ছুরি--স্পর্শ...
*আগের পর্ব পড়ুন এখানে
বৃদ্ধা ছেলেটিকে পথ দেখিয়ে বাড়ীর পেছনের দিকের একটি কামরায় নিয়ে গেলেন , রঙ্গীন পুঁতির তৈরী পর্দা দিয়ে এটি বসার ঘর থেকে আলাদা করা । কামরাটিতে আসবাব বলতে কেবল একটি টেবিল , যীশুখ্রীষ্টের পবিত্র হৃদয়ের একটি দেয়ালচিত্র আর দু’টি চেয়ার।
চেয়ারে বসার পর কোন ভণিতা ছাড়াই ছেলেটির হাত দু’টি নিজের দু’হাতে তুলে নিয়ে ...
"সিন সিটি" সিনেমাটা নিয়ে আমার উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। ফ্রাঙ্ক মিলারের একই নামের গ্রাফিক নভেল সিরিজের ভিত্তিতে তৈরি এই ছবির প্রতি আমার প্রেম মুখ্যত এর ভিস্যুয়াল ট্রিটমেন্টের কারণেই। গল্প কিছু যুগান্তকারী নয়, তবে যেহেতু অনেকগুলো বই থেকে নিয়ে বানানো এই ছবি, কাহিনীসূত্রের মধ্যে কিছুটা জটিলতা রয়েছে, ঘটনাগুলোর কালের ক্রমটাও ছবিতে আগেপরে করে দেওয়া আছে। এতে করে গল্পটা বেশ ইন্টা...
আজকে একটা হিট্টাইট উপকথা। হিট্টাইটরা থাকতো আনাতোলিয়ায়(বর্তমান তুরষ্ক), এদের খুব রমরমা ছিলো খ্রী:পূ: ১৫৯০ নাগাদ, তারপরে খ্রী:পূ: ১২০০ নাগাদ আস্তে আস্তে পতন ঘটে, তারো পরে আরো কয় শতাব্দী এরা ছিলো ঐখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে, তবে তখন ক্ষমতা-টমতা আর বিশেষ ছিলো না জাতি হিসাবে।
ইহুদীদের সঙ্গে এদের একসময় কিছু কানেকশান হয়েছিলো, সলোমনের মা বাথশেবা একজন হ...
আফ্রিকা মহাদেশের উপকথাগুলি বিচিত্ররকম সুন্দর। হয়তো এতরকমের মানুষ, এত রকমের সমাজভাবনা, এত ভূপ্রাকৃতিক বৈচিত্র, এত ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, গল্প বলা আর শোনার দীর্ঘ ট্রাডিশন-এইসবই উপকথার এত সমৃদ্ধ ভান্ডার গড়ে তুলেছে।
মিশর-সেই আশ্চর্য রহস্যময় দেশ। এদের উপকথাও আশ্চর্য সুন্দর। সৃষ্টির ঊষালগ্নে সূর্যদেবতা রা নিজেকে সৃষ্টি করেন, নিজেকে একা দেখে তারপরে সৃষ্টি করেন বাতাসদেবতা শু কে আর বাষ্পের দেবতা তেফনাতকে। শু আর তেফনাত মিলিত হন, সৃষ্টি হয় গেব (ভূমিদেব) আর নাত (আকাশদেবী)। রা য়ের অশ্রুজল থেকে সৃষ্টি হলো প্রথম মানুষ, তারপরে তিনি বানালেন পাহাড়, বন, পশুপাখি---বাকী সবকিছু।
প্রত্যেকদিন পুব আকাশে উদি...
আজ মারলং কাকার গল্প বলি, উনার নাম মারলং না অন্য কিছু আমি জানি না, উচ্চারণটা কেমন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করিনি। মানুষটা লম্বায় ছ’ফুট বা তার চেয়েও বেশি হবেন। খুব ছোট্টবেলার কথা, যখন সবকিছু দেখতে বিশাল মনে হতো। মারলং কাকার গায়ের রং “পাটনাই গমের” মতোন; আমাদের ওদিকে কেউ ফর্সা হলে তাকে গমের মতো ফর্সা বলে তুলনা করা হয়। চোখে সুর্মা টানা, লম্বা আলখাল্লা পরনে, কোঁকড়া চুল, পায়ে চামড়ার চটি, স...