আমাকে মাঝে মাঝে ভূত-এ পায়, আমার পাশের মানুষটি এই ভূত-এ পাওয়া আমিকে খুব ভয় পান, আমি নিজেও বুঝি যে, তিনি খুব অসহায় হয়ে পড়েন এই সময়গুলিতে। এ যেনো চাঁদগ্রস্ততা এক, হাঁটছি ফিরছি সংসার করছি জীবনের ঘানিতে তেল দেয়ার প্রয়োজনেও নিত্য জীবনক্ষয়কারী চাকরিটিও ঠিকই করে যাচ্ছি, কিন্তু আমি নেই, এই জীবনে কোথাও নেই। তাহলে কোথায় আমি? প্রশ্নটা করি, উত্তর নেই। এ এক অসম্ভব হেঁয়ালিময়তা, নিজেরই সাথে নিজের।...
প্রকাণ্ড চর- ধূ ধূ করছে- কোথাও শেষ দেখা যায় না-...। হঠাৎ পশ্চিমে মুখ ফেরাবামাত্র দেখা যায় স্রোতোহীন ছোটো নদীর কোল, ও পারে উঁচু পাড়, গাছপালা, কুটির, সন্ধ্যাসূর্যালোকে আশ্চর্য স্বপ্নের মতো।
================================
বাঙালি যা চিরকাল দেখে এসেছে তাই দিয়ে শুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বইখানি! রবীন্দ্রনাথ তখন বন্দোরা সমুদ্রের তীরে : “ভারি বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত বৃষ্টি হচ্ছে...
চিতায় অঙ্গার
জুয়েইরিযাহ মউ
লেলিহান আগুনের শিখায় ধোঁয়াটে আকাশটা
কেবল পুড়ছে নিঃসাড় মানবদেহ,
মৃত্তিকার গভীরে বিলীন হয় দেহ -
মৃত্তিকা হয়ে ওঠে উর্বর।
জ্বলন্ত অঙ্গারে পুড়ছে মনটা
সন্ধান পাই প্রকৃত অনুভূতির।
নিস্তব্ধ দেহের মতো নিথর সম্বন্ধ,
নিঃশেষ মোহময় ভাললাগা।
শেষ ??? হাহাকার ওঠে অন্তঃস্থল হতে,
জীবনের ভান্ডারে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা -
জানায় শুধু ; শেষ হয়নি তবু।
অবোধ মন, অবুঝ হৃদয় -
দেয়...
আর পারা গেল না,নেমে আসতেই হলো। গেছিলাম ইচ্ছাপাহাড়ে নিরুদ্দেশে, ভেবেছিলাম ফিরব যখন ইচ্ছা হবে তখন। অনেকদিন পরে, যখন আমাকে ভুলে যাবে সবাই, তখন এসে জানালায় টুকি দিয়ে বলবো, এই এই শোনো, মনে আছে সেই নীল পাখিটাকে?
কিন্তু কোথায় কি? ঝড় ঝর্ণা বিজলী বাদল পার হয়ে ডানায় জড়িয়ে যায় কিসের জানি টান। বুঝি কি বুঝি না করতে করতে দেখি সচল খুলে ফেলেছি। খুলে খুলে দেখছি আর আমার ভুলে যাওয়া গতজন্মবাড়ীর বিষাদ ...
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা(চলছে)
দেবতারা প্রচুর জ্বালানি বিস্ফোরক সাজিয়ে রেডি হলেন, যেই না চিল লোকী সগ্গের পাঁচিলের উপর দিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েছে, অমনি ওনারা আগুন দিলেন বিস্ফোরকে। থেয়াসের পাখায় আগুন লেগে গেলো। থেয়াস মরে গেলো আর তার চোখজোড়া আকাশে ছুঁড়ে দিয়ে তারা বানিয়ে দিলেন আদিদেবতা অদীন, যাকে কিনা সাহেবরা বলে ওডিন, যার নামে বুধবার।
থেয়াসের মেয়ে সব শুনে অত্যন্ত শোকে কাতর হলো তা...
কারামেন। জঁ লুক গোদার।মাই ব্লুবেরি নাইটস, ওয়াং কার ওয়াই। এক চ্যানেলে শব্দ এল, অন্যটা মা গা রে সা। আমাদের রবিশঙ্করের মেয়ে সে ট্রাফিক জ্যামে আটকে গেল জুনিয়ার ল্যবরেটরি ইস্কুলের সামনে সেই জন্য ডাবওয়ালা দাম বাড়িয়ে দিল পাঁচটাকা। বত্রিশের ঐ মাথায় ফরম্যালিন মুক্তির পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখলাম আমের হলদে রঙ, অন্তমিলে গাছের পাতার ভেতর।
কিস্কিন্ধ...
--কী সব চ্যাঁচাচ্ছিস বল তো?এগুলোকে গান বলে?
কালোমতন মেয়েটি মাথা গোঁজ করে তক্তপোষের ওপর পেতে দেয়া চাদোরের ফুলগুলো দেখতে থাকে। চরণ চুম্বনে বিশ্বকমল ফোটার গুঢ় রহস্য তার হৃদয়ের কোথাও ঠাঁই পায় না। তার নিজের চিত্তকমল সেই অজানা রসে সিক্ত হয় না কোনোভাবেই। এতোগুলো সাজানো শব্দের মানে তাকে কেউ বলে দেয়নি। যে শব্দের মানে জানা নেই তাকে সে কন্ঠে ধারণ করতে পারে না। না পেরে মাথা নুইয়ে বসে থেকে স...
স্ক্যান্ডিনেভিয়ার উপকথা
১
দেবতারা থাকতো স্বর্গে মানে আস্গার্ডে, মানুষেরা মর্ত্যে মানে মিডগার্ডে আর দত্যি দানো অসুরেরা আর সব বাকীরা নয়টি লোকের বাকী সাতটিতে। ভারী সুন্দর এক রংধনুর সেতু ছিলো স্বর্গ থেকে পাতাল অবধি। আগে ঝগড়াঝাঁটি ছিলো না কিনা, তাই ভাবভালোবাসা আর যাতায়াত ছিলো দেবতাদৈত্যে। কিন্তু পরে ঝগড়াঝাঁটি হয়ে আলাদা হয়ে গেলো। সেতুর উপরে পাহারা বসলো। বিরাট শিঙা নিয়ে দেবতা হ...
পাতা নং-০৬
ধর্ম পুড়তে পুড়তে বেগুনি হয়ে যাচ্ছ যাচ্ছেতাই, আর মরে যাওয়া সিগন্যালের মত এক বিষন্ন বিস্তারিত আতাগাছের তলায় পুলিশেরা টাকা কেড়ে নিয়ে ডাইলের বোতল দেয়। সবাই খুশি তাই নদী হয় কেউ, রাত বাড়লে ঢেউ।
পাতা নং-৫৮
আমি পায়ে টের পাচ্ছি অদৃশ্য ঘুঙুরের, আমার মুখময় রঙ। আমার যেন আতাগাছ হওয়ার কথা ছিল আজ রাতে। যেভাবে পানি সামান্য আলোয় চিকচিক করে ওঠে অপর...
এক দঙ্গল ছেলেমেয়ে, মুখে চুন, কালি, চুন-হলুদ মিশিয়ে লাল রং বানিয়ে সেটা মেখে, পাটের “ফেউসা” দিয়ে দাঁড়ি-গোঁফ বানিয়ে, ছেঁড়া কাপড় বা চটের আলখাল্লা পরে এ বাড়ি থেকে ওবাড়ি যাচ্ছে, তাদের মাঝে এক কুমারী, কলাপাতা দিয়ে মোড়া, পাড়ার বউঝিরা আগে থেকেই তাদের চালের কোণায় কুলো গুঁজে রেখেছে, সবাই জানে, আসবে “দ্যাওয়া-নামানিরা”।
উঠোনের কোণে রাখা এক হাড়ি জল, দুষ্প্রাপ্য জল, চৈত্র মাস। গ্রামের পুকুরগুলো ...