ধরো এক নদী আমি, চোখ পাতলে স্রোতধারা; বুক রাখলে কলকল; শরীর ডোবালে বীনা বাজে, অসংখ্য জলপরী প্রতিটি রোমে ঠোঁটের চিহ্ন আঁকে, আরব্য রজনী থেকে রক্তমাংসের নারী বেরিয়ে এসে নাভির নীচে ঘূর্ণি তুলে নাচে; ধরো আমি এক নদী, উদাম রাতে পূর্বদেশীয় মোলায়েম চাদর ওড়ানো নদী।
২.
যা বলি, যা বলি না, একেবারেই তুচ্ছ কোনও কথা, বলতে চেয়েও ফিরিয়ে নিই, যেমন ধরো, কখনও কি বলেছি, এসো আমাদের দু’জনের হাতখানি মেপে দেখি...
আমি কখনো মরুভূমি দেখিনি। রাজস্থানে গেছি দু'বার কিন্তু দিগন্ত অবধি ধূ ধূ করা বালির সমুদ্র দেখা হয় নি। তবে ছবি দেখেছি অনেক, স্থির ও চলমান। আর দেখেছি মরুভূমির মানচিত্র, যার আরেক নাম English Patient.
পাঠক ও দর্শক হিসেবে নীতির আগে আমি নান্দনিকতাকে স্থান দিই, কাজেই আগেভাগেই জানাই, এই সিনেমা ও বই, দুটোই অনৈতিকতার দোষে দুষ্ট। এখানে নীতি ও সততার খোঁজ নেহাৎ পন্ডশ্রম হবে। এক সমালোচক লিখেছেনও দেখলা...
আমার কিছু বন্ধুর মত একেবারেই ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর অত বড় ফ্যান ছিলাম না আমি। রেগুলার আসিমভ ইত্যাদি পড়ি নাই তা না (ফাউন্ডেশন তো আমাদের প্রজন্মের স্টেপল-ই বলা যায়, তবে বাংলা রূপান্তর এর থেকে ইংরেজিটা পড়ে অনেক বেশি তৃপ্তি পেয়েছি), তবে ফ্যান্টাসি, গোয়েন্দা কাহিনী ইত্যাদি বেশি ভাল লাগতো।
গত তিন বছরে হঠাৎ আবার আবিষ্কার করলাম সাই-ফাইকে। বড়খালার বাসার ভাড়াটে রাব্বি ভাই-এর ...
আমরা যেদিন নরকের পথে হাঁটছি, মাথার ওপর পরিষ্কার আকাশ নিয়ে, পায়ের পাশে আগুন জ্বলছিলো তার ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য নিয়ে। ঈশ্বর সুন্দর সব পাখিদের লোহায় বদলে দিয়েছে বলে তারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে; বৃষ্টির দিনে খড়ের গাদার মতো।আমাদের মধ্যে যাদের লোভ তীব্র, তারা শেষ সময় পর্যন্ত প্রহর গুনছিলো, এই বুঝি ঈশ্বরের মন বদলে যায়, তাদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হবে স্বর্গের পথে। এখানে সবুজ নেই, তারা পানির মতো রংহীন; আজকে ...
সুতরাং, তুমি শুনতে চাইলে শোনো, তোমার ইচ্ছে
আমি আমার বলার স্বাধীনতা সম্পূর্ণটুকুই প্রয়োগ করতে চাই। আমি সন্ত নই, আমি তাই কোনও বয়ান দিচ্ছি না।আমি বলছি, আমি যথার্থই চিৎকার করে বলবো, যাতে তোমার কানের ভেতরে তা পৌঁছে যায়।কারণ, অনেকেই বলে থাকেন যে, তারা আসলে কিছুই শোনেননি, আর শোনেননি বলেই, তারা জানেন না। এটা এক ধরনের দোহাই। বন্দুকের মতো, নিজেকে কয়েকটি ঝাঁকুনি দিয়ে আমি প্রস্তুত করেছি; আমাক...
১.
ছেলেটির হাসি থামিয়ে দিয়ে, মেয়েটি, “না হাসবে না, একদম হাসবে না। এখন হাসির সময় নয়”।
- এখন তবে কিসের সময়? হা হা হা দ্যাখো দ্যাখো আমার চোখে পানি এসে যাচ্ছে।
- আমি কি এমন হাসির কথা বলেছি? আমি বলেছি, চলো বিয়ে করি।আহা আমার বাড়ি থেকে চাপ আসছে না বুঝি?
- তাই নাকি? চারদিকে এতো চাপ? ইয়াহিয়ার চাপে এই রাষ্ট্র চিড়ে চ্যাপ্টা; বঙ্গবন্ধুর চাপে এই চ্যাপ্টা চিড়ে থেকে নতুন রাষ্ট্র বের করে আনার চাপ। এতো চা...
দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে যাতায়াত শুধু
সময় মিশে যায় মহাকাল স্রোতে
এভাবেই বদলে যায় দৃশ্যপট
রূপান্তরের পালে দোলা দিয়ে যায়
কিছু স্মৃতিভারাতুর দীর্ঘশ্বাস।
কেউ জানেনা কোথায় পথের শেষ.........
মনে পড়ে
লেবু-গন্ধী উদাস-অলস দুপুরগুলো
সৌরভে বিভোর রমণীয় প্রজাপতি মেলা
লাল ফড়িংয়েরা বাতাসের গায়ে ডানা মেলে দিলে
হাওয়ায়
হাওয়ায়
কেমন মদালসা সুরের কাঁপন বেজে যেতো
থোকা থোকা রুধির-পুষ্পিত কৃষ্ণ...
"বিফোর সানসেট" কিছু গতকাল রিলিস করে নি। তবে ঘনঘন দুখানা পোস্ট কেন? এর দায় ফারুক হাসানের। এমন চমৎকার একটা রিভিউ লিখেছেন তিনি যে পড়া মাত্রই দেখে ফেললাম (এটাও নেটফ্লিক্স অনলাইনে পাওয়া যায়)। এবং দেখা মাত্রই লিখে ফেললাম আরেকপ্রস্ত রিভিউ। তবে এটা বোধ হয় ঠিক রিভিউ নয়, বরং ছবি দেখার পর যে অনুভূতি তার প্রকাশ।
এই বিপ্রতীপ সময়
গল্পের অনুকূল নয় মোটে
কথাগুলোর কোন ক্রমানুসার নেই ;যেন
বালকের অগোছালো খেলাঘর-----
কাঠের ঘোড়া
রোবোট-মানব
মাটির পুতুল
সাইরেন বাজানো গাড়ী
প্লাস্টিকের লাটিমগুলো
লাল-নীল ঘুড়ি
নাটাইয়ের এলোমেলো সুতো
রংগীন বেলুন
ঝিকি মিকি মার্বেল
----- সারা ঘরময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
জানিনা কোন কথা আগে বলা যায়
গোলাপ এবং বারুদের গন্ধ মিলে মিশে গেলে
সব কথা এলোমেলো হয়ে যায় বড়ো.........
সেন্সরড 'আ...
শহীদুল জহিরের উপন্যাস “মুখের দিকে দেখি”(২০০৬)-তে আমরা জাদুবাস্তবতার যা কিছু দেখে চমৎকৃত হই, চিন্তান্বিত হই তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুইজন মামুনের উপস্থিতি। একজন মামুনুল হাই পুরোনো ঢাকার ভূতের গলির বাসিন্দা সিলভারডেল কেজি স্কুল-সেন্ট যোসেফ স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র, পরবর্তীতে ইস্টার্ণ ব্যাংকের এভিপি, জুলি ফ্লোরেন্সের নাছোড়বান্দা প্রেমিক, সাদাসিধে-নিপাট ভদ্রলোক। অন্যজন মামুন ও...