মুক্তিযুদ্ধের প্রথম উপন্যাস আনোয়ার পাশার রাইফেল রোটি আওরাত। যুদ্ধের ঘনঘোর তাণ্ডব পেরিয়ে উপন্যাসটি আমাদের হাতে এসে পৌঁছলেও, তিনি আর পৌঁছতে পারেননি। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর আল বদরের ঘাতকেরা তাঁকে নিয়ে যায়। পৃথিবীতে এরকম নজির আর কি আছে? আর কাউকে কি নিজের জীবন দিয়ে লিখতে হয়েছে জাতীয় জীবনের করুণ-কঠিন ট্র্যাজিক আখ্যান?
আজ যদি আমরা জানতে চাই ওই ভয়াবহ দুর্যোগে কীভাবে বেঁচে ছিল জ...
ডাইনে পিপাসা বায়ে তৃষ্ণা
তুমি আমার সুদেষ্ণা
আমার গায়ে নাই প্রজাপতি
তাহলে কেমনে হবে রতি
তাই বলে চাহি না বিরতি
আমার কাছে তুলি আছে
রঙ যদিও নাই তব কাছে
গিটারে তুলিতে হতে পারে
কিছুটা আহারে আহারে
তবে আমি ভাত খাই না
চানাচুর ভালো লাগে
জলের ভেতরে তরল
তরলে তরলে গরল
ভোরে সূর্য জাগে
এইটা কিন্তু একটা কবিতা
মনে রাখতে হবে
যদি না মানেন তাইলে
গোল্লায় যাইতে হবে
কবিতা ভালো হইলে
প্রশংসা ...
কৃপাহত্যার বলিরেখা ফুটে আছে আমার বেওয়ারিশ ত্বকে, লোমকূপে সোঁদা গন্ধ দ্বিতীয় প্রেমের; মৃত্যু চাই। অঘোর মৃত্যু তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ
করার্থে নলখাগড়া-ঝোপে। আমাদের বাষ্পীয় সময় উবে যায় উবে যায় জগতের সকল উদ্বায়ী। নোনা দাগ পরে আসে সবুজ দেয়ালে। রজ্ঞনের সকল উপাদান তোমার হাতে তুলে দিলাম। কেবল
আমার
অঘোর
মৃত্যু
চাই।
জলসূত্রি মেঘের ডানায় চড়ে স্বপ্নগুলো ক্রমশঃ নিসর্গের ভেতরে ঢুকে পড়ে;
ক্যানভাসে আঁকা অসমাপ্ত ছবি...................................................
সারাদিন টেলিফোনের তারে আর গলির মোড়ের
গাছের ডালে হুটোপুটি করা ফিঙে,শালিকগুলো
অস্তাচলে--- কেমন বাসায় ফেরে
কেমন তাদের নীড়
কতটুকু স্বপ্ন-তৃণে বুনে রাখে সেই ঘরগুলো ;
কোনদিন দেখা হয়নি।এমনি
হাজার অজ্ঞানতা নিয়ে একটি সম্পূর্ণ জীবন কেটে যায়।
প্রতিদিন চশমার পাওয়ার ব...
বই বেরোক আর নাই বেরোক হৈ চৈ করতে আমাদের বাধা নেই। সচল কারুবাসনা'র বই 'বন্দুকের নলই ক্ষমতার প্রকৃত উৎস' যদিও উপলক্ষ্য। কিন্তু সে উপলক্ষ্য মাত্র। হৈ চৈ -য়ে থাকছে গান, পাঠ, আঁকি-বুকি আর গরম পানীয়। নো বকবক। যদিও সেরকম একটা সম্ভাবনা ছিল। রেহনুমা আহমেদ একজনকে রাজী করিয়েছিলেন, গদ্যকার আহমেদ মোস্তফা কামালকে, কথা ছিল তাঁর হাতে বই পৌঁছাতে হবে আজকে কিন্তু অনিবার্য কারণবশত বই আমি নিজেই না পা...
পড়ন্ত নভেম্বরের কোন এক শীতে ঘামি, মাইকের ঘোষনা মেশে অন্য মাইকে, চন্দননগর জুড়ে জগদ্ধাত্রী পুজো। কত লোক হারিয়ে যায়। বিশেষত ছোট ছোট বাচ্চারা। পুকুর পারে আলোর ভেল্কিতে সুকুমার রায় আর বেন লাদেন। আর কচি মুখগুলি থেকে উড়ে যাওয়া সিগারেটের ধোঁয়া তখনও শোনেনি মিশেল ফুকোর কথা। আর আমি কয়দিন ধরে ক্রমাগত ভাবছি আমার যে গল্পগুলো হারিয়ে গেল তাদের কথা। হালক...
আমার এখনো স্পষ্ট মনেআছে সেই ছোট্টবেলা আমাদের শহরের বাজারে যমুনি নামে এক পাগলী ছিল। আমাদের বাসা বাজারের লাগোয়া ছিল বলেই বোধহয় এই পাগলীকে আমরা রোজ দেখতাম। পাগলীটি মাঝে মাঝেই খুব চেঁচাতো আর মাঝে মাঝেই কি সব উদ্ভট আওয়াজ করতো তা লিখে বোঝাতে পারবো না। ওহ্ বলতে ভুলে গেছি মহিলাটি সম্ভবতঃ বিহারী ছিল কারন রেগে গেলে সে হিন্দীতে গালিগালাজ করত আ...
বিশাল ফুটপাত দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। সাধারণ(!) দৃশ্যই চোখে পড়ছিল। রাত তখন ১০ টার মত বাজে। হঠাৎ দেখি জীর্ণ পোশাক পরা বৃদ্ধ এক লোক রাস্তার প্রায় মাঝখানে দাড়িয়ে আছে।
মনে হলো, ধুর কোন ভবঘুরে হবে হয়তো, কাছে আসতেই বুঝতে পারলাম ব্যাপারখানা কি। ভবঘুরে হোক আর যাই হোক, লোকটার মাথা মারাত্মকভাবে কেটে গিয়ে রক্ত ঝরছে। আমি জিজ্ঞেসই করে ফেললাম,
"এই যে ভাই। আপনার কি হয়েছে? মাথা কেটে রক্ত ঝরছে, আর আপন...
চা পানের দীর্ঘ বিরতির আগে...
[=12]আমরা জেনেছিলাম, ফারজানা নাজনীন লিপস্টিক না মাখা ঠোঁট চায়ের কাপে ডুবাতো। রাজন জিজ্ঞেস করতো ফারজানা লিপস্টিক দেয় না কেনো। ফারজানা এ প্রশ্নের উত্তরে কী বলতো তা আমাদের জানা নেই। তবে তারা চা খেতো। চিনি কম, দুধ বেশি, কিংবা রঙ চা'য়ে লেবু চিপে। তারা চা খেতো ক্যান্টিনে, রুস্তম চাচার দোকানে, মেরিনা কুলিং কর্ণারে। মাঝে মাঝে রাজন জিজ্ঞেস কর...
গত দশ বছরে লেখা ছোটগল্পের বাছাই। প্রথম প্রকাশিত গলপ " অনন্তের সিগারেটের প্যাকেট' এতে স্থান পায় নি বাজে বলে। কয়েকটি গলপ বাদ গেছে খুঁজে না পাওয়ায়, " জীবনানন্দের বিড়াল' বা শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের আধারে লেখা লেডি ম্যকবেথকে নিয়ে " গ্লোব থিয়েটার' আমার প্রথম দিকের জোরালো গল্প। এই সংকলনে থাকলে খুশি হতাম। এগুলো সব ছোট পত্রিকায় ছাপা হওয়ায়, বারবার বাসা বদলে আর সেল ফোন চুরি যাওয়ার বই প্রকাশকালে ক...